মাইক্রোফোন কি। মাইক্রোফোনের ব্যবহার বিধি।কোন মাইক্রোফোন আপনার জন্য সেরা। Microphone

মাইক্রোফোন কি। মাইক্রোফোনের ব্যবহার বিধি।কোন মাইক্রোফোন আপনার জন্য সেরা। Microphone

 আসসালামু আলাইকুম, আজকে আপনারা একটি বর্তমান সময়ের উন্নত ডিভাইস সম্পর্কে জানতে চলেছেন। চলুন তাহলে সে বিষয়ে আলোচনা করি।

মাইক্রোফোন এমন একটি ডিভাইস যা প্রতিনিয়ত সাউন্ড সিগন্যাল কে ইলেকট্রিক সিগন্যাল কেইলেকট্রিক সিগন্যাল কে পরিণত করে। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোফোন রয়েছে। কিন্তু সকল মাইক্রোফোনের মূল ম্যাকানিজম সেম টু সেম। আমরা যখন মাইক্রোফোনে কথা বলি তখন কিভাবে এটি উচ্চ সাউন্ডে পরিণত হয় সেটা আমরা বুঝতে পারি না।তাহলে সে সম্পর্কে একটু জেনে নেই, মাইক্রোফোন এর ভিতরে একটি ড্রাই ফ্রেম এবং ভয়েস কোয়েল থাকে। বাতাসের অণুগুলো যখন প্রতিনিয়ত ড্রাইফ্রেমে ধাক্কা দিতে থাকে এবং ড্রাইফ্রেম যেহেতু ভয়েস কয়েলের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেহেতু কোয়েলটি সামনের দিকে আসা যাওয়া করতে থাকে তাতে ইলেকট্রিক সিটি সিগন্যাল দিয়ে থাকে। কয়েল যেহেতু বাতাসের কারণে সামনের দিকে আসা-যাওয়া করে সেহেতু বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তন হতে থাকে অর্থাৎ এসি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ খুবই
কম এত অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ স্পিকারে পাঠালে যে সাউন্ড উৎপন্ন হবে তা একেবারে নগণ্য।


তাই প্রথমে
উৎপন্ন সিগন্যালকে এমপ্লিফ্যায়ার এর মাধ্যমে ভোল্টেজ বাড়ানো হয় তারপর সেই হাইভোল্টেজ সিগন্যালকে স্পিকারে পাঠানো হয় এবং স্পিকারের মাইক্রোফোন এর বিপরীত কাজটি সম্পন্ন হয়। যার মাধ্যমে আমরা পুনরায় ইলেকট্রিক সিগন্যালে সাউন্ড সিগন্যালে রূপান্তরিত করি।

সূচিপত্র :

  • মাইক্রোফোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
  • মাইক্রোফোন কি বা কাকে বলে
  • মাইক্রোফোন কত প্রকার
  • আপনার জন্য কোন মাইক্রোফোন টি বেস্ট
  • মাইক্রোফোনের গুণগতমান
  • ডায়নামিক মাইক্রোফোন কি
  • কনডেন্সর মাইক্রোফোন কি
  • মাইক্রোফোনের সুবিধা ও অসুবিধা
  • সর্বশেষ


এটি হলো ভয়েসকয়েল। কয়েলটি একেবারে হালকা এবং ইন্সুলেশন তার দিয়ে তৈরি যা অল্প পেসারে আপ ডাউন করে। ভয়েস কয়েলের চারদিকে চুম্বক হয়েছে। চুম্বকের উভয় মেরুর ভেতরের কয়েল আপ ডাউন হয়। কোয়েলের সবচেয়ে উপরে থাকা Diaphragm টি প্লাস্টিকের তৈরি।

মাইক্রোফোন বলতে কি বুঝায়

যে যন্ত্রের সাহায্যে শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হয় তাকে মাইক্রোফোন বলে। অর্থাৎ আরো সহজ করে বলতে গেলে যেটি আমাদের মুখের আওয়াজ কে ইলেকট্রিক সিগন্যালে পরিবর্তন করে তাকে মাইক্রোফোন বলে।

মাইক্রোফোন কয় প্রকার এবং কি কি

মাইক্রোফোন চার প্রকার। এক পলকে এই চার প্রকারের মাইক্রোফোনের নাম জেনে নেই। মাইক্রোফোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

1 Dynamic Microphone - ডায়নামিক মাইক্রোফোন 2 Condenser Microphone - কনডেন্সার মাইক্রোফোন 3 Larg Diaphragm Microphone - লার্জ ডায়াফ্রাম মাইক্রোফোন 4 Small Diaphragm Microphone - স্মল ডায়াফ্রাম মাইক্রোফোন।

ডাইনামিক মাইক্রোফোন
ডাইনামিক মাইক্রোফোন হলো স্পিকার এর বিপরীত দর্শন স্পিকারে যখন কোন অডিও প্লেব্যাক হয় তখন স্পিকারের যে পর্দা রয়েছে তখন সেটি ভাইব্রেশন হয় এবং সেখান থেকে অডিও জেনেটার হয় সেটাই আমরা শুনতে পাই। ডাইনামিক মাইক্রোফোনের ক্ষেত্রে এ জিনিসটা উল্টো সেটা একটা ছোট স্পিকারের একটি ক্যাপসুল রয়েছে। আমরা যখন কথা বলি ক্যাপসুলের পর্দা ভাইব্রেট হয় তখন একটি সিগন্যাল জেনেটার হয়ে USB ইন্টারফেস রয়েছে বা রেকর্ডার রয়েছে। সেখানে গেলে প্রোপার একটি অডিও আমরা শুনতে পাই এটা হল মূলত ডায়নামিক মাইক্রোফোনের কার্যপ্রণালী। এই ধরনের মাইক্রোফোন আউটডোর অথবা লাইভ অনুষ্ঠানে বেশি উপযোগী। ডাইনামিক মাইক্রোফোনের বৈশিষ্ট্য হলো এই ডাইনামিক মাইক্রোফোন বাইরের কোন শব্দকে ক্যাচ করে না। ডাইনমিক মাইক্রোফোনের সামনে থেকে যে শব্দ বা আওয়াজ করা হয় শুধুমাত্র সে শব্দকেই স্পিকার আকারে নেয় ডায়নামিক মাইক্রোফোন চার ধরনের হয়ে থাকে

* Audio technica AT2020 * Feidu Fm40 wireless lav . microphone * Rode video mic N+G * Zoom H1N

কনডেন্সার মাইক্রোফোন

কনডেন্সার মাইক্রোফোন সাধারণত ইনডোরে বা রেকর্ডিং স্টুডিও তে ব্যবহার করা হয়। এটি শুধুমাত্র একটি রুমে রেকর্ডিং করা হয়। কারণ এটি অনেক সেনসিটিভ আওয়াজকে বা শব্দকে ক্যাচ করতে পারে। কনডেন্সার মাইক্রোফোন এমন একটি সাউন্ড সিস্টেম যা আপনার মূল সাউন্ডের পাশাপাশি বাড়তি কোন সাউন্ড হলে সেটিও ক্যাপচার করে নাই। এজন্য খুব কেয়ারফুলি এই মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়।কনডেন্সর মাইক্রোফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি অনেকটাই ভালো।

আপনার জন্য কোন মাইক্রোফোন টি বেস্ট

আপনি কি ভালো মানের মাইক্রোফোন খুঁজতেছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোন মাইক্রোফোন টি আপনার জন্য প্রযোজ্য। চলুন তাহলে দেখে নিন আপনার জন্য কোন মাইক্রোফোনটি বেস্ট

panasonic em 2800a = প্যানাসনিক মাইক্রোফোন দিয়ে আপনি শর্ট ফিল্ম করতে পারবেন। আবার যারা ইন্টারভিউ নিতে চান তারা এই প্যানাসনিক মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এ প্যানাসনিক মাইক্রোফোন কাছে বা দূর থেকে সাউন্ড রেকর্ডিং করতে পারে। যার কারণে প্যানাসনিক মাইক্রোফোন অনেকে ব্যবহার করে থাকে।

BM 800= আপনি যদি কোন গান রেকর্ডিং এবং কোন কিছু উপস্থাপন করেন তাহলে বিএম মাইক্রোফোনটি আপনার জন্য। এটি শুধুমাত্র মুখের সামনে রেখে আওয়াজ করতে হবে সামান্য পিছনে বা সাইডে কোন সাউন্ড করলে এদের শব্দ বা কথা অনেকটাই কম হয়। এতে বুঝা গেল এই মাইক্রোফোনটি কাছে থেকে সাউন্ড রেকর্ড করতে পারে। কাছে থেকে বিএম মাইক্রোফোনের সাউন্ড সিস্টেম অনেক ক্লিয়ার।

K - 35 wireless = কে থার্টি ফাইভ ওয়ারলেস মাইক্রোফোনটি সাউন্ড সিস্টেম অনেক কম। এই মাইক্রোফোনের সাউন্ড আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চেয়েও কম শোনা যায়। এটি একটি নিম্নমানের মাইক্রোফোন।

Boya By M1 = বয়া মাইক্রোফোনটি আপনার জন্য বেস্ট মাইক্রোফোন হতে পারে। কেননা, উপরের মাইক্রোফোনগুলো একটু এদিক সেদিক হলেই সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু Boya By M1 মাইক্রোফোন একাই একশ। বর্তমান মার্কেটে এর চাহিদা অনেক বেশি। বয়া মাইক্রোফোন অনেক ক্লিয়ার সাউন্ড সিস্টেম। এটি আপনার সব কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

Logitech H111= আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে এ মাইক্রোফোনটি আপনার জন্য সেরা। কেননা, এটি অনলাইন ক্লাস এবং ল্যাপটপে ফোনে ব্যবহার করার জন্য বেস্ট একটি মাইক্রোফোন। এটি কাছ থেকে সাউন্ড সিস্টেম অনেক ভালো ।



বর্তমান সময়ে মাইক্রোফোন অনেকে ব্যবহার করে আসছে। তবে এই মাইক্রোফোনের আলাদা আলাদা কিছু দাম রয়েছে। মাইক্রোফোন বা মাউথ স্পিকার সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মাইক্রোফোন। আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি অথবা অনলাইন ক্লাস মিটিং গান রেকর্ডিং অথবা ইউটিউব ব্লগিং করি সবগুলোর ক্ষেত্রে microphone ব্যবহার করা হয়। চলুন একটু জেনে নেই এ মাইক্রোফোনের প্রাইস রেট কত।বাজারে গেলে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোফোনের দাম সম্পর্কে জানা যায় এটি কম দাম থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দামের হয়। অতিসাধারণ মাইক্রোফোনগুলো বাংলাদেশে ৪০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় । এছাড়াও ভালো মানের ভিডিও ক্যামেরার সাথে ব্যবহার করার জন্য ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে কোয়ালিটি ভিত্তিক এটি কনডেন্সার মাইক্রোফোন গুলোর দাম কম বেশি হতে পারে।

মাইক্রোফোন যে কাজগুলোতে ব্যবহার করা হয় তাহলে যোগাযোগ মিউজিক স্পিচ এবং সাউন্ড রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বড় বড় স্টেজ শো তে গানের মঞ্চে এগুলো ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে মাইক্রোফোনের গুরুত্ব অনেক বেশি।

মাইক্রোফোনের সুবিধা ও অসুবিধা
মাইক্রোফোন ব্যবহারে কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে যা সবার ধারায় হয়ে থাকে মাইক্রোফোনের সুবিধা হল ভয়েস দেওয়ার সহজ এবং কোন ভিডিও ও অডিওতে নিজের ভয়েস দেওয়া যায়।মাইক্রোফোনের অসুবিধা হলো অনেক ক্ষেত্রে সাউন্ড স্টোরেজ নিতে পারেনা এবং সঠিক ডিভাইস ব্যবহার করা না হলে কখনো কখনো ভয়েস বিকৃত হয় আবার অনেক সময় চার্জার প্রয়োজন হয়।

পরিশেষে

মাইক্রোফোন আমাদের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এটির ব্যবহার অনেকেই করে থাকে। তবে মূল্য ভেদে অনেকের টায় আলাদা আলাদা। মাইক্রোফোনের বিশেষ গুন থাকায় এটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। তাহলে আমরা উপরের আলোকে আলোচনা করলাম মাইক্রোফোন সম্পর্কে মাইক্রোফোন কি বা কাকে বলে। মাইক্রোফোনের গুণাবলী। নিজেদের জন্য কোন মাইক্রোফোন ব্যবহার করবেন। মাইক্রোফোন কি কাজে ব্যবহৃত হয়। এবং মাইক্রোফোন কয় প্রকার। মাইক্রোফোনের যাবতীয় তথ্য এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন এবং অন্যকে দেখানোর জন্য বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন। আর আপনার মূল্যবান কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url