গাজর খাওয়ার উপকারিতা

 গাজর খাওয়ার উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম, আমরা দৈনিক খাবার হিসেবে অনেক খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু সেই খাবারগুলো কতটা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর তার খেয়াল রাখি না। প্রতিদিন পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার হিসেবে আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারি গাজার রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজের সমাহার। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গাজরের উপকারিতা চলুন তাহলে শুরু করা যাক-



সূচিপত্র :

  • গাজরের উপকারিতা
  •  আমাদের কেন বেশি বেশি গাজর খেতে হবে 
  • গাজরে কি কি ভিটামিন রয়েছে
  • গর্ভ অবস্থায় গাজর খাওয়ার জরুরি
  • শেষ কথা

ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত আমরা গাজরের সাথে বেশ পরিচিত কারণ ছোট থেকেই আমাদের মা দাদিরা আমাদের গাজর খাইয়েছেন এবং এখনো আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু এটির গুণগত মান সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। তাহলে চলুন গাজর সম্পর্কে আমরা কিছু বিশেষ তথ্য আলোচনা করি।

গাজরের উপকারিতা

১. গাজর খেলে ত্বক চুল এবং চোখের জ্যোতি ভালো রাখে। ২.গাজর খেলে দেহের উচ্চ রক্তচাপ বলতে সাহায্য করে। ৩.গাজর আমাদের লিভার, দাঁত, হাড়,মজবুত রাখে। ৪.গাজর প্রতিদিন খেলে স্টোক করার ঝুঁকে কমে। ৫.শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস,বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। ৬.গাজর খেলে রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

৭.গাজর খেলে অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে নিজেকে ফিট রাখা যায়। ৮.গাজর খেলে ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।

কেন বেশি বেশি গাজর খাওয়া উচিত

গাজর বিভিন্নভাবে আমরা খেয়ে থাকি।খাবারের ক্ষেত্রে আমরা গাজরের সালাত এবং পোলাও খিচুড়ির সাথে খেয়ে থাকি। গাজরের হালুয়া, জুস ইত্যাদি করে খেয়ে থাকি গাজর খুব পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি এতে রয়েছে ভিটামিন A, K, B 6 এবং বায়োটিন। আলফাক্যারোটিন এবং বিটাক্যারোটিন।গাজর মরণবাদী ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাচ্চাদের জন্য গাজর খুব ভালো একটি খাবার এতে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস রয়েছে। যেসব বাচ্চারা একদম খেতে চায় না তাদের মায়ের উচিত বাচ্চাদেরকে অন্তত গাজরের সূপ করে খাওয়াতে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি যা বাচ্চার চোখের জ্যোতি চুল হাড় ও ত্বক মজবুতর রাখতে সাহায্য করে। গাজরের যেহেতু বায়োটিন রয়েছে এটা শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য খুবই ভালো একটি খাবার।

যারা চুল ও ত্বক নিয়ে বেশি চিন্তিত তাদের প্রতিদিন একটি করে গাজর খাওয়া উচিত। গাজর কুঁচকে যাওয়া ত্বককে টান টান করে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ব্রাইটনিং করে। গাজর চুলের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি উপকারী গাজর খেলে চুল মজবুত ঘন ঝলমলে উজ্জল ও মসৃণ হয়।

গাজর ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এই ফাইবার শরীরের মেটাপলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। গাজর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তার পাশাপাশি বাজারে যেহেতু মিনারেল রয়েছে তাই শরীরের বিভিন্ন অংশে কাজ করে। যেমন হার্ট ভালো রাখে হজম শক্তি বাড়ায় ভালো ঘুম হয় ক্যান্সার মুক্ত রাখে গর্ভের বাচ্চার জন্য মায়ের পুষ্টিকর খাবার

গাজরে কি কি ভিটামিন রয়েছে

গাজরের যে ভিটামিন রয়েছে তা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর করে। গাজর আমাদের বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক গাজর থেকে আপনি কি কি উপকার পেতে পারেন ১০০ গ্রাম গাজর থেকে ৮২৮৫ মাইক্রগ্রাম বিটাক্যারোটিন এবং ১৬৭০৬ ভিটামিন "এ"পাওয়া যায়।

এছাড়া ৪১ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি, ৩৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,২.২ মিলিগ্রাম লৌহ,১৯ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ভিটামিন বি ১'০.০৪ মিলিগ্রাম, ৩২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ইত্যাদি পাওয়া যায়।


গর্ভ অবস্থায় গাজর খাওয়ার জরুরি

গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া প্রয়োজন কেননা এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজ পদার্থ।অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে থাকে গর্ভ অবস্থায় গাজর খাওয়া যাই নাকি যায়না! আপনি অবশ্যই গাজর খেতে পারেন একটি শিশু বিকাশের ক্ষেত্রে এটি অনেক প্রয়োজনীয় একটি খাবার। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গাজর একটি পুষ্টিকর খাবার যাতে রয়েছে হাই ফাইবার।একজন গর্ভবতী মা অনায়াসে তার খাবার তালিকায় প্রতিদিন একটি করে গাজর খেতে পারেন তাতে মা ও শিশু দুজনের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গর্ভাবস্থায় অনেক মা ভিটামিনের অভাব ভোগ করে প্রতিদিন গাজর খেলে এই অভাব পূরণ হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ দেখাতেই আবার মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব করে। গর্ব অবস্থায় একজন মা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই সময়টা পারি দেয় তাদের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে এতে করে মায়েদের সঠিক খাবার বেছে নেওয়া উচিত। মায়েদের খাবার তালিকায় সুষম খাদ্য পুষ্টিকর খাদ্য বেছে নেওয়া উচিত যাতে বাচ্চা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে। একজন মায়ের বিকাশের সাথে সাথে বাচ্চার ও বিকাশ ঘটে।

এছাড়া ও একজন মা গর্ভের সময় চোখে কম দেখে প্রতিদিন একটি করে গাজর অথবা জুস করে খেলে এটি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ভ্রনের স্নায়ুতন্ত্র বিকাশে সহায়তা করে ভ্রনেন সুস্থ মস্তিষ্ক, হাড় মজবুত করে। এজন্য বেশি বেশি গাজর খেতে হবে।

শেষ কথা
নিজেদেরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে চাইলে গাজর খেতে হবে এর উপকারিতা বলে শেষ করার মতো না। গাজরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন আমাদের দেহকে সুস্থ সুন্দর করে তোলে।মাত্র একটি সবজির মধ্য দিয়েই আমরা অনেক কিছু পেয়ে থাকি। আমাদের দৈনিক কাজের জন্য শরীরের যে শক্তি বল থাকা প্রয়োজন তাই এগুলো থেকেই পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেমে আমরা ব্যবহার করে থাকি। শীতকালের অনেক সবজির মধ্য গাজর একটি অন্যতম সবজি।

বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।













Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url