যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার

 

যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার তা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো। অনেকেই গর্ভধারণের পরে সিজার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু সিজার করানোর আগে কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার এগুলো যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে উপকারী হবে। 

যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার

তাহলে চলুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার।  সিজার কখন করাতে হয়  যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার সিজার করলে কি কি সমস্যা হয় এ সকল বিষয় সহ সিজার সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হবে তাই সকল বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার 

সিজার কখন করাতে হয় 

সিজার কখন করাতে হয় অনেক মেয়েরাই জানতে চান কারণ যখন সন্তান গর্ভে থাকে তখন কিছু অস্বাভাবিকতার কারণে সিজার করতে হয়। সিজার না করলে সন্তান এবং মা দুজনেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আপনি যদি আগে থেকে জেনে থাকেন যে সিজার কখন করাতে হয় তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক ভালো উপকারী হবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে 

যদি গর্ভবতী মায়ের নরমালে সন্তান জন্মদানের জন্য জটিলতা থাকে তাহলে সিজার করানো প্রয়োজন।আমার অনেক সময় শিশুর ওজন বা সাইজ ও স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সিজার করাতে হয়। তবে শিশু ভালোভাবে পরিপক্ক না হলে সিজার করা যাবে না এতে করে শিশু হওয়ার পরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিবে। এমন কি শিশুটা মারা যেতে পারে। আজ আপনাদের যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার সেগুলো বিস্তারিত ভাবে নিচের অংশে বলবো। 

সিজারিয়ান প্রয়োজন হলে কিভাবে বুঝবেন 

যদি গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভের সন্তানের কিছু লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে সিজার করা প্রয়োজন যেমন যদি পেটের ভেতর শিশুর অবস্থান সঠিকভাবে না থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে এটি সিজার করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের যদি জরায়ুতে কোন রকম সমস্যা থেকে থাকে এবং নরমালে বাচ্চা না হয় তাহলে সিজার করানো প্রয়োজন। 

যদি নরমালে বাচ্চা জন্মদানের চেষ্টা অনেক সময় ধরে করে না হয় তাহলে সে সময় দ্রুত সিজার করানো প্রয়োজন। এ সকল লক্ষণ যদি কোন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে যে এটি সিজারিয়ান পদ্ধতিতে বাচ্চা বের করে নিতে হবে। অনেকে সিজারের কথা শুনলে ভয় পেয়ে যান এটা একদমই করা যাবে না। 

যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার 

যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার এগুলো আপনাদের জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে সন্তান জন্মদানের আগে যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার যদি জেনে থাকেন তাহলে এগুলো আপনার জন্য গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক ভালো হবে। তো জেনে নিন যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার।

  • শিশুর অবস্থান ঠিক না থাকলে
  • শিশুর মাথা বড় হলে
  • মায়ের প্রসবের রাস্তায় টিউমার থাকলে
  • গর্ভবতী নারী দুর্বল হলে
  • জরায়ুতে কোন সমস্যা থাকলে
  • গর্ভবতী মায়ের হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে
  • গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে
  • প্রসবের রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
  • অপেক্ষা করেও সন্তান না হওয়া
  • জমজ শিশু হলে

শিশুর অবস্থান ঠিক না থাকলেঃ মায়ের পেটের মধ্যে যদি কোন শিশুর অবস্থান ঠিক না থাকে এবং সন্তান যদি ওদিকে থাকে তাহলে এই সময় সিজার করানো প্রয়োজন। এতে করে মা এবং শিশু দুজনেই নিরাপদ থাকবে। পেটের মধ্যে শিশুর অবস্থান ঠিক না থাকলে নরমালে শিশুর জন্ম গ্রহণ করাতে চাইলে এতে করে শিশু এবং দুজনেরই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

শিশুর মাথা বড় হলেঃ অনেক সময় পেটের মধ্যে কিছু শিশুর মাথা তুলনার চেয়ে বড় হয়ে থাকে তখন নরমাল ভাবে জরায়ু দিয়ে বাচ্চা বের করতে গেলে মায়ের প্রচন্ড কষ্ট হয়। এমনকি সন্তানের মাথা বেশি বড় হয়ে থাকলে নরমালে হবে না সেজন্য সিজার করানো প্রয়োজন। 

মায়ের প্রসবের রাস্তায় টিউমার থাকলেঃ কোন গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসবের রাস্তায় টিউমার থাকে। তাহলে নরমাল ডেলিভারি না করানো চিন্তাভাবনা করে সিজার করানো ভালো হবে। যদি প্রসবের রাস্তায় টিউমার থাকে তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে।

গর্ভবতী নারী দুর্বল হলেঃ অনেক মহিলা রয়েছেন যারা গর্ভবতী কালীন সময়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েন। সে জন্য কেউ যদি অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে সিজার করানো তার জন্য অনেক ভালো হবে। তবে সিজার করানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

আরো পড়ুনঃ প্রেগন্যান্ট বা গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ০৮ টি কার্যকরী উপকারিতা  

জরায়ুতে কোন সমস্যা থাকলেঃ কোন গর্ভবতী মহিলার জরায়ুতে যদি কোন রকমের সমস্যা থেকে থাকে এবং সন্তান জন্ম দিতে গেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই সময় সিজারের মাধ্যমে সন্তান বের করে নেওয়া ভালো হবে। 

গর্ভবতী মায়ের হাই ব্লাড প্রেসার থাকলেঃ যদি কোন গর্ভবতী মহিলার হাই ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে নরমালে ডেলিভারি করার চিন্তা না করে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি করানো অনেক ভালো হবে। কারণ যাদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাদের নরমালে ডেলিভারি করাতে গেলে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেঃ গর্ভবতী মায়ের যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে তার জন্য সিজারের মাধ্যমে সন্তান তুলে নেওয়া ভালো হবে। তাই যদি কোন গর্ভবতী মহিলার ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি না করিয়ে সিজার করাতে পারেন। তবে যেটাই করেন আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। 

প্রসবের রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণঃ যদি সন্তান জন্মের কয়েকদিন আগে প্রসবের রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে সেই সময় সিজার করানো অনেক ভালো হবে। এতে করে মায়ের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

অপেক্ষা করেও সন্তান না হওয়াঃ সন্তান প্রসবের জন্য যদি পেটের ব্যথা উঠে থাকে এবং কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করার পরেও যদি নরমালে সন্তান প্রসব না হয় তাহলে খুব দ্রুত সিজার করাতে হবে। তবে সিজার করানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ শুনে নিবেন। 

জমজ শিশু হলেঃ কোন গর্ভবতী মহিলার গর্ভে যমজ সন্তান থাকে এবং সন্তানগুলো যদি একটু বড় হয়ে থাকে আর গর্ভবতী মহিলার যদি নরমালে প্রসব করানোর জন্য কোন রকম সমস্যা থাকে তাহলে সিজার করানো ভালো হবে। এমনিতেও গর্ভে যদি একের অধিক সন্তান থাকে তাহলে নরমালের সন্তান প্রসব করাতে গেলে অনেক কষ্ট হয় তাই সিজার করানোই ভালো। আশা করছি যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার তা জানতে পারলেন।  

সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয়

সিজার করলে যেহেতু অস্ত্র পাচার করে পেট কাটতে হয় সেজন্য সিজারের পর অনেক ব্যথা হয়ে থাকে। সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয় কিছু কাজ রয়েছে। সেগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে কিছুটা হলেও ব্যথা কমাতে পারবেন। সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয় কাজগুলো হলো।

সিজারের পরে যদি কোমরে ব্যথা হয় তাহলে এটি হতে পারে ক্যালসিয়ামের অভাবের ফলে তাই সিজারের পর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং অনেকের বসার নিয়ম ঠিক না থাকার জন্য সিজারের পর কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে সেজন্য বসতে হলে আগে আপনাকে সঠিকভাবে বসতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জাম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা 

সিজারের পর যদি ব্যথা হয় তাহলে কিছু হালকা ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো করতে পারেন। সেগুলো করলে এই ব্যথা গুলো দূর হয়ে যাবে এগুলো করার পরেও যদি ব্যথা না কমে তাহলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 

সিজার করলে কি কি সমস্যা হয়

এখন বেশিরভাগ মহিলাদের সন্তান জন্মগ্রহণ করে থাকে সিজারের মাধ্যমে। কিন্তু সিজার করলে সিজারের পরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। নরমাল ডেলিভারি করাতে গেলে ডেলিভারির সময় প্রচন্ড রকম ব্যথা পেতে হয় এই ভয়ে বেশিরভাগ মায়েরা সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মগ্রহণ করিয়ে থাকেন কিন্তু সিজারের পরে দেখা দেয় বিভিন্ন রকম সমস্যা। সিজার করলে কি কি সমস্যা হয় জেনে নিন।

১। সিজার করলে সিজারের পরে ঘাড়ে ব্যাথা করে।

২। সিজারের পরবর্তী সময়ে কোমরে ব্যথা করে যা অনেক অসহ্যকর হয়ে থাকে।

৩। আবার অনেক সিজারিয়ান মায়ের পেটের ডান সাইড অথবা বাম সাইড অনেক সময় অবশ হয়ে যায়।

৪। সিজার করলে যেহেতু পেট কাটা হয় এবং কাটার পরে সেলাই করে দেয়া হয় সেটা শুকাতে অনেকদিন লেগে যায় এতে করে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। 

৫। সিজারের কাটা অংশের জায়গাটাই সেলাই তুলে নেওয়ার পরেও অনেক সময় কাটা অংশ দিয়ে রক্ত পোজ বের হয়ে থাকে। 

৬। নরমাল ডেলিভারি হলে যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায় সিজার করলে ততো তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায় না এবং কোন কাজ করা যায় না করতে গেলে সিজারে জায়গার সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে একজন সিজারিয়ান মায়ের। 

যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকারঃ শেষ কথা

সিজার কখন করাতে হয় সিজারিয়ান প্রয়োজন হলে কিভাবে বুঝবেন, যে ১০ টি লক্ষণে বুঝবেন সিজার করানো দরকার, সিজারের পর ব্যাথা হলে করণীয় সিজার করলে কি কি সমস্যা হয় এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এগুলো জানতে পেরে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। 

তার পরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭ 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url