কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি

 কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেটে আপনার জন্য। কম্পিউটার আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবন সহজ করতে কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন ও কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কম্পিউটার হল একটি যান্ত্রিক মেশিন যা আমাদের জীবনের বিভিন্ন জটিল সমস্যাকে সমাধান করে থাকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে আর্টিকেলটি পড়লে কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি

ভূমিকা

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এ সময় কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তার যে কতখানি তা অল্প কথায় লিখে শেষ করা যাবে না। আধুনিক বিশ্বের উন্নয়ন কম্পিউটার ছাড়া চিন্তাই করা যায় না তাই দিন দিন এই যান্ত্রিক ব্যবহার এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে এই যন্ত্রটি ছাড়া বিশ্ব অচল। আমাদের জীবনে কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি।

কম্পিউটার আমাদের জীবনে এমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে আমরা কম্পিউটার ছাড়া এক ধাপ চলতে পারি না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে তার জন্য আমাদের কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।

কম্পিউটারের ধারণা

ল্যাটিন শব্দ কম্পিউট থেকে কম্পিউটার কথার উদ্ভব। এটি এমন একটি যন্ত্র যা তথ্য ও উপাত্ত গ্রহণ করে সক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে পারে। মানুষ যেভাবে মস্তিষ্কের স্মৃতিতে তথ্য ধরে রাখতে পারে তেমনি কম্পিউটার ও তার মেমোরিতে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক গণতান্ত্রিক যন্ত্র যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং কম সময় প্রচুর তথ্য সম্বলিত বা বড় গাণিতিক হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়।
এতে রয়েছে মেমোরি কার্ড। একটি সব ধরনের ডাটা কে বাইনারিতে রুপান্তরিত করে। কম্পিউটার সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের জানতে হবে কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে। কম্পিউটার আমাদের জীবনে এমন ভাবে প্রভাব ফেলেছে যে আমরা কম্পিউটার ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারি না তার জন্য আমাদের কম্পিউটারের সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরী।

কম্পিউটারের জনক কে

কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের কঠিন কাজ খুব সহজেই করে থাকি। তাই এ সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে এবং জানতে হবে কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন ও কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কেও। কিন্তু চলুন তার আগে জেনে নেওয়া যাক আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে এত সহজ করার জন্য যে কম্পিউটার রয়েছে তার আবিষ্কারক কে।

কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ দিয়েছিলেন। তিনি ১৮৩৩ সালে সর্বপ্রথম অ্যানালাটিক্যল ইঞ্জিন নামে একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা এবং নকশা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তার তৈরি নকশা এবং কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। তাই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। অপরদিকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক হলেন জন ভন নিউম্যান। তিনি একজন মার্কিন গণিতবিদ। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম হল-এনিয়াক

কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন

কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে তাই আমাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সকল তথ্য জানা খুব প্রয়োজন। অবশ্যই আমাদের জানতে হবে কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে। বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয় এবং কম্পিউটার ছাড়া কিছু ভাবাটা বোকামি। এই ভার্চুয়াল যুগে আপনি যদি কম্পিউটার না জেনে থাকেন তাহলে আপনি সবার থেকে এক ধাপ পিছিয়ে থাকবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন ও কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে।
কম্পিউটার ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো খুব কষ্টসাধ্য। তাছাড়াও এখন কম্পিউটার লেখা পড়ার কাজে বিভিন্ন ধরনের ইনকাম সোর্স এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখনকার যুগে কম্পিউটারের প্রতি  লোকে চাহিদা দিন দিন ব্যাপক বেড়ে চলেছে। আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে প্রাচীন যুগ বা আদিম যুগ থেকে শুরু করে মানুষ তার কাজকে সহজ করার জন্য যতগুলো পন্থা বা উপায় অবলম্বন করেছেন তার প্রত্যেকটি বিজ্ঞানের অন্তর্ভ। কিন্তু আর সেই বিজ্ঞানের একটি বিরাট শাখা বা অংশ হলো কম্পিউটার।

কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি

কম্পিউটার সম্পর্কে জানার সময় আমাদের অবশ্যই জানা দরকার কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে। বর্তমান বিশ্বের জীবিকা নির্বাহ করে বাঁচতে হলে কম্পিউটার শিখতে হবে এই কথাটা নতুন করে বলার কিছু নাই। শুধু যে কম্পিউটার সংক্রান্ত কোনো কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয় তা কিন্তু নয় যে কাজ কম্পিউটার নির্ভর নয় সে কাজও কম্পিউটার করে থাকে। কম্পিউটার জানা একজন লোকের কর্ম ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ চাহিদা। তাই কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে।

কম্পিউটার ব্যবহার একজন কর্মীর উৎপাদনশীলতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এমন একটি প্ল্যাটফর্ম জীবন করার জন্য আপনি যে কোন ট্রেনে যান না কেন এই ভাবটি পার হয়ে যেতে হবে শুধু তাই নয় বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে একজন দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে কম্পিউটার শেখার বিকল্প নেই। আপনি যে কোন পেশায় নিয়োজিত হন না কেন কম্পিউটারের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে শুধুমাত্র কম্পিউটার শিক্ষা ও দক্ষতা থাকলে আপনি অন্যদের তুলনায় এক ধাপ বেশি এগিয়ে যাবেন। কম্পিউটার ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো খুব কষ্টসাধ্য। বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটারের জানার লোকের চাহিদা ব্যাপক তাই নিজেকে উত্তমরূপে গড়ে তুলতে এবং ভালো কোন চাকরি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার শিখে থাকতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটার কেন আমাদের দিকে রাখা প্রয়োজন।

কম্পিউটার ব্যবহার করে কি কি কাজ করা যায়

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। যে কাজগুলো করতে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায় সে কাজ কম্পিউটার এক মিনিটেই করে দেয়। এতক্ষণ আমরা জানলাম কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন । চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার ব্যবহার করে কি কি কাজ যায় সে সম্পর্কে।

কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে কতিপয় কিছু কাজের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা হলো-
  1. ডাটা এন্টি- বিভিন্ন অফিসে বা বিভিন্ন প্রজেক্ট এর অনেক ধরনের ডাটা থাকে। যেগুলো কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করতে হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের ক্লাব/সমিতি বা এই ধরনের অনেক সংস্থা আছে যেখানে অন্যের সদস্য থাকে, সেই সদস্যের কিছু ডাটা ক্লাব/সমিতি বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। আবার আমাদের দেশের যে আদমশুমারি হয়ে থাকে অথবা ভোটার লিস্ট ইত্যাদি কম্পিউটারে এন্টি দিতে হয়।
  2. প্রেজেন্টেশন তৈরি ও উপস্থাপনা- নতুন কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পূর্বে সে প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা/ভিউ/পদক্ষেপ বাপ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তি বা ক্লায়েন্টের নিকট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়। যা মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খুব সহজে উপস্থাপন করা যায়। এই প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।
  3. হিসাব সংক্রান্ত কাজ- মাইক্রোসফট এক্সেল এমন একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে হিসাব নিকাশ সংক্রান্ত অনেক জটিল কাজ খুব সহজে সমাধান করা যায়। যেমন- বেতন শীট, এজেন্ট শীট ইত্যাদি। এই কাজটি যদি হাতে কলমে করা হতো তাহলে অনেক ভুল হতো কিন্তু মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে এ কাজটি নির্ভুল ভাবে করা যায়।
  4. ভিডিও এডিটিং- ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্র কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম কারণ কম্পিউটারে সব থেকে ভালো ভিডিও এডিটিং হয়।
  5. শিক্ষার মান উন্নয়ন- শিক্ষার মান উন্নয়ন করার লোকে কম্পিউটারে অনেক ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষা বিষয়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনলাইন থেকে খুব সহজেই সংগ্রহ করছে।
  6. চিকিৎসা- উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবহার করা হয়। যার বেশিরভাগই কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।
  7. তথ্য সংগ্রহ- কিছুদিন পূর্ব আমাদের যে কোন বিষয়ে তথ্যের প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের আশেপাশের জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাহায্য গ্রহণ করতাম। সেক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যেত এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যেত না। কিন্তু বর্তমানে যে কোন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আমরা গুগল,  ইউটিউব এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে দেখি।
  8. গবেষণা- গবেষকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। গবেষণা করার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করে থাকেন এই গবেষণামূলক কাজের জন্য অনেক তথ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কম্পিউটারের মাধ্যম কয়টি ও কি কি

কম্পিউটার সাধারণত যান্ত্রিক শক্তি দ্বারা চালিত একটি যন্ত্র। কম্পিউটারও কিছু মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে কম্পিউটার পরিচালনা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন  কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটারের মাধ্যম কয়টি ও কি কি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

কম্পিউটার সাধারণত দুটি মাধ্যমের সমন্বয়ে কাজ করে থাকে। যেমন-
  1. হার্ডওয়ার: কম্পিউটারের সকল বাহিক যন্ত্র বা ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়ার বলে। হার্ডওয়ারকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- ইনপুট যন্ত্রপাতিআউটপুট যন্ত্রপাতি ও সিস্টেম ইউনিট
  2. সফটওয়্যার: সমস্যার সমাধান বা কার্য সম্পাদনের জন্য কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নীতিমালাকে সফটওয়্যার বলে। কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

কম্পিউটার ও বেকারত্ব

আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা হল বেকারত্ব। আর এই বেকারত্ব দূর করতে কম্পিউটার অগ্রগতি ভূমিকা পালন করেছে। এদেশের বাস্তবতায় সবার পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই মাধ্যমিক শ্রেণীর পড়ে অনেকে কম্পিউটার শিখে বেকারত্ব দূর করেছে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার ও বেকারত্ব সম্পর্কে।
বেকারত্বের প্রধান কারণ হলো কারিগরি শিক্ষার অভাব। ক্ষেত্র বিশেষ কম্পিউটার শিক্ষার অভাব। আবার আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক যারা কম্পিউটার শিক্ষায় অজ্ঞ। ফলে যে কোন চাকরির ইন্টারভিউতে ঝরে পড়ছে বা অনেক সময় চাকরির আবেদন করতে পারছে না কম্পিউটার শিক্ষার অভাবে। অনেকেই বেকারত্ব কমাতে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করে বাসায় বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া আধুনিক বিশ্বের সাথে আমাদের মানিয়ে চলতে হলে কম্পিউটার শিক্ষা অত্যাশক।

কম্পিউটারের প্রকারভেদ

কম্পিউটার নির্ভুল ফলাফল দ্রুতগতি ডাটা সংরক্ষণ স্মৃতি বা মেমোরি কার্ড কর্মক্ষমতা নিরালোস কাজ করার ক্ষমতা বিদ্যমান। তেমনি কম্পিউটারের প্রকারভেদ রয়েছে-কার্যনীতি, আকার ও ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যা হলো-

  1. এনালগ কম্পিউটার:  কাজ করে পরিমাপন পদ্ধতিতে। যেমন বিদ্যুৎ তাদের ভোল্টেজ ওঠা নামা কোন পাইপের চাপ কম বেশি হওয়া, বাতাসের প্রবাহ ও চাপ পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি পরিমাণ ভিউ এনালগ কম্পিউটার এর কাজ।
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার:  ডিজিটাল কম্পিউটার কাজ করে প্রতীক সংখ্যা এর মাধ্যমে। বাইনারি যে কোড অর্থাৎ ভোল্টেজ উপস্থিত তো সনাক্ত এর মাধ্যমে কাজ করে। কাজ ক্ষমতা আকার ভিত্তিতেও ডিজিটাল কম্পিউটার আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়। 
  3. মাইক্রো কম্পিউটার: মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে একটি ছোট কম্পিউটার। একজন ব্যক্তি একটি মাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।

কম্পিউটার শিখার গুরুত্ব

বর্তমানে বিদেশ ভ্রমণে কথোপকথনের অন্যতম মাধ্যম ইংরেজি ভাষা। এটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আর কম্পিউটার কে বলা হয় আধুনিক সভ্যতার চাবিকাঠি এবং এর ভাষাও ইংরেজি। এর জন্য ইংরেজি ও কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। চাকরির বাজারেও রয়েছে এ দুটোর ব্যাপক চাহিদা। সুতরাং ইংরেজি ও কম্পিউটার শিক্ষা হল আপনার ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল হাতছানি। শুধু ইংরেজি ভাষা নয় আপনাকে সেটি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য কম্পিউটারের স্বীকার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি, তার সাথে আমাদের এটাও জানতে হবে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব। আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠানে যান আপনাকে সর্বপ্রথম জিজ্ঞেস করা হবে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যাপারে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবন সহজ করতে এবং চাকরির বাজারে নিজেকে প্রস্তুত করতে কম্পিউটার শিক্ষার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন কেন কম্পিউটার শেখা প্রয়োজন - কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা কি সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরও জানার জন্য সুযোগ করে দিন। এমন সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url