পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

 পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র: পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

উপস্থাপনা

সাধারণত নারীরাই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। পুরুষগণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। জন্মনিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কিত অনেক বিষয় রয়েছে। আপনি কিভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তা নির্ভর করবে আপনি কত দিনের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান। যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। 

পক্ষান্তরে যদি আপনি স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। যাই হোক এই আর্টিকেলটিতে পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত। 

পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। কেননা নিচে, পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তো আসুন জেনে নেয়া যাক, পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।  

কনডম ব্যবহার করা: পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সহজ পদ্ধতি হলো কনডম ব্যবহার করা। কনডম ব্যবহার করলে খুব সহজেই আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আবার চাইলেই কনডম ব্যবহার সাময়িকভাবে পরিহার করে গর্ভধারণ করতে পারেন। কনডমের বড় সুবিধা হলো: এটি যে কোন সময় ব্যবহার করা বন্ধ করে দেওয়া যায়। এবং কনডম ব্যবহার করলে  সেক্সচুয়ালি ট্রান্স লিমিটেড ডিজিজ অর্থাৎ যৌনবাহিত সংক্রামক রোগ থেকেও নিরাপদ থাকা যায়। 
এটি শরীরের কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটায় না। সম্পূর্ণ নিরাপদ পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে কনডমের খুবই জনপ্রিয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনডম শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি রং সাইজের কনডম ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন কনডম যদি অনেক ঢিলেঢালা হয় সেক্ষেত্রে স্লিপ করতে পারে, আর যদি অধিক পরিমাণে চাপা বা টাইট হয় সেক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই পারফেক্ট সাইজের কনডম ব্যবহার করতে হবে। 

স্পার্মিসাইড ব্যবহার করা: পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলোর মধ্য থেকে আরেকটি জনপ্রিয় পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো: স্পার্মিসাইড ব্যবহার করা। স্পার্মিসাইড ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কনডম ব্যবহার করলে ন্যাচারাল ইন্টিমেশনের ফিলিংস নষ্ট হয়ে যায়। কেননা, কনডম ব্যবহার করার ফলে পেনিসের অনুভূতি বাধাগ্রস্থ হয়। 

তাই অনেকে কনডম ব্যবহার করা পছন্দ করে না। আপনি যদি কনডম ব্যবহার করা পছন্দ না করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো স্পার্মিসাইড ব্যবহার করা। বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের স্পার্মিসাইড রয়েছে। একেক কোম্পানির স্পার্মিসাইড ব্যবহারের নিয়ম একেক রকম। স্পার্মিসাইড ব্যবহারের নিয়ম সংশ্লিষ্ট স্পার্মিসাইডের প্যাকেটের গায়ে বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে। 

তবে স্পার্মিসাইড সাধারণত সহবাসের ১০মিনিট পূর্বে ব্যবহার করতে হয়।আর স্পার্মিসাইডের কার্যকারিতা একঘন্টা পর্যন্ত বহাল থাকে। তাই স্পার্মিসাইড ব্যবহার করে নিরাপদে আপনি সঙ্গম করতে পারবেন। তবে, অন্যান্য পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সাথে স্পার্মিসাইড ব্যবহার করলে অধিক উপকার পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি স্পার্মিসাইড ব্যবহার করার ১০ মিনিট পূর্বে অথবা এক ঘন্টা পরে সঙ্গম করেন সেক্ষেত্রে স্পার্মিসাইড যথাযথভাবে কাজে নাও করতে পারে। তাই অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সঙ্গম করতে হবে। 

পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধটি কোনটি

ইতোমধ্যেই উপরে পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধটি কোনটি? সেই বিষয়ে সম্পর্কে নিচে আলো বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী পদ্ধটি কোনটি? সে বিষয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশের তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। 

সেইফ পিরিয়ডে সঙ্গম করা: নারীদের মাসিক ঋতুচক্রের হিসেবে সেইফ পিরিয়ড রয়েছে। আপনি যদি সেইফ পিরিয়ডে সহবাস করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে না। সাধারণত সেই সময় গুলোতে সারভিক্সে ইজাকুলেশন করলেও কোন সমস্যা নেই।কেননা নির্দিষ্ট সময় সেই গুলোতে স্পার্ম ফার্টিলাইজ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 
তাই আপনি ন্যাচারাল এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক এই নিয়ম সব সময় শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারে। তাই সেইফ পিরিয়ডের উপরের সম্পূর্ণ নির্ভর করে অন্যান্য অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিও গ্রহণ করা যেতে পারে।

যোনির বাইরে বীর্যপাত করা: অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো: যোনির বাইরে বীর্যপাত করা। এই পদ্ধতিতে কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই খুব সহজেই অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে সব সময় এই পদ্ধতির শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারে। বিশেষ করে, আপনি যদি সামান্য ভুল করে বসেন অর্থাৎ যোনির বাইরে বীর্যপাত করতে গিয়ে কখনো যদি মিসটেক হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে। 

আর তাই শুধুমাত্র এই পদ্ধতির উপরে নির্ভর না করে অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বীর্য ব্যতীত প্রিইজাকুলেশন ডিসচার্জের মধ্যেও শুক্রাণু থাকতে পারে, এর ফলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ডাক্তারগন সাধারণত এই পদ্ধতির পাশাপাশি অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন

পুরুষের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলতে শুধুমাত্র কনডম এবং ভেসেকটমি ছিল। কিন্তু বর্তমানে পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য হরমোনাল ইনজেকশন পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি ইনজেকশন গ্রহণ করার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে অস্থায়ী ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন গ্রহন করতে পারেন। 

পুরুষের জন্য যে সকল অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন। পুলিশের ক্ষেত্রে আরেকটি খুবই স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেটি হলো: ভেসেকটমি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি আর কখনোই সন্তান জন্ম দান করতে পারবেন না। কেননা এই পদ্ধতিতে, সন্তান জন্মদিনের ক্ষমতার সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট করে দেওয়া হয়। তবে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়ে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবেই আপনি সঙ্গম করতে পারবেন। 
ভবিষ্যতে সন্তান নিতে না চাইলেই কেবলমাত্র আপনার জন্য ভেসেকটমি পদ্ধতিটি গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে যদি আপনি ভবিষ্যতের সন্তান নিতে চান তাহলে কখনোই ভেসেকটমি করা যাবে না। কেননা এতে করে আপনি ভবিষ্যতে আর কখনো সন্তান গ্রহণ করতে পারবেন না। তাই ভেসেকটমি করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে জেনে বুঝে তারপরে এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। 

উপসংহার

পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। কেননা পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। উপরে বর্ণিত পুরুষের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। আশা করি উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো আপনার অনেক ভালো লেগেছে। যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url