ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচি ঔষধ

ঘামাচি কেন হয়? এরকম প্রশ্ন গরমের সময় অনেকেই করে থাকে। আজকে তাদের জন্য ঘামাচি কেন হয়? বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি ঘামাচি কেন হয়? এর কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ঘামাচি কেন হয়? তা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঘামাচি কেন হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচি ঔষধ

ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচি ঔষধঃ ভূমিকা

গরমের সময় কমন একটি সমস্যা হল ঘামাচি। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা গরমের সময় ঘামাচির সমস্যায় অনেক ভোগে থাকে। আমাদের পুরো শরীরে এবং মুখে সহ ঘামাচি বের হয়। এই ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আজকের এই আর্টিকেলে ঘামাচি কেন হয়? ঘামাচি কমানোর উপায়, ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো? মুখে ঘামাচি হলে কি করা উচিত এবং ঘামাচি ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ঘামাচি কেন হয়?

গরমে ঘামাচি হয় না এরকম মানুষ আমাদের সমাজে খুব কমই রয়েছে। সাধারণত গরমের সময় কমন একটি সমস্যা হল ঘামাচি। ঘামাচি কেন হয়? এর কারণ জানতে পারলে খুব সহজেই এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো বের করতে পারব। তাই ঘামাচি কেন হয় তা উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ এলার্জি হলে কি কি সমস্যা হয়

ঘামাচি সমস্যা হওয়ার সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে ঘাম হওয়া। যেহেতু গরমের সময় আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে থাকি তাই এ ঘাম জমে যাওয়ার ফলে ঘামাচি সৃষ্টি হয়। আমাদের স্কিনের পোর্সের মুখে যদি সারাদিন ধুলো, ময়লা জমে যাই ঘামের জন্য তা থেকে ঘামাচি হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে মিলিয়ারিয়া বলা হয়।

এটি সাধারণত আমাদের ঘাম গ্রন্থির সমস্যার কারণ। যখন ময়লাগুলো দিনের পর দিন ঘাম গ্রন্থের নিচে জমা হয় তখন তা জমে ফুসকুড়ি আকারে রূপ ধারণ করে যাকে আমরা ঘামাচি বলে থাকি। যখন খুব স্যাসসাতে পরিবেশ হয়ে যায় তখন ঘামাচি প্রকট বেড়ে যায়। সাধারণত এই কারো নেই আমাদের শরীরে ঘামাচি হয়ে থাকে।

ঘামাচি কমানোর উপায় - ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি আমাকে ভোগে থাকেন তাহলে ঘামাচি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় জেনে থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার শরীরের ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই এখন আমরা ঘামাচি কমানোর উপায় অর্থাৎ ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১। আপনি যদি ঘামাচি কমাতে চান তাহলে আপনার শরীরের যে স্থানে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামাচি রয়েছে সেখানে আইশ ব্যাগ অর্থাৎ ঠান্ডা পানি অথবা বরফ দিয়ে ওই স্থানে সেঁক দিতে হবে। কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট ভালোভাবে সেঁক দিতে হবে।

২। ঘামাচি কমানোর জন্য ঘৃতকুমারী অথবা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হলুদের সঙ্গে ঘৃণ কুমারের রস ভালোভাবে মিশিয়ে যে স্থানে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামাচি রয়েছে সেখানে লাগাতে হবে।

৩। আপনি যদি ঘামাচি তাড়াতে চান তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে নিম পাতা খুবই উপকারী। এর জন্য আপনাকে নিম পাতার রস করে গোলাপজল মিশিয়ে ভালোভাবে শরীরে লাগাতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই এর উপকারিতা দেখতে পাবেন।

৪। ঘামাচি দূর করার জন্য বেকিং সোডা বেশ কার্যকরী। এর জন্য আপনাকে ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে এরপরে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে।

৫। আপনি যদি ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে মুলতানের মাটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি মুলদানি মাটি এবং গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে যে স্থানে অতিরিক্ত পরিমাণ করতে পারেন।

৬। আমরা জানি যে বৃষ্টির পানি ঘামাচি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আপনি যদি ঘামাচি দূর করতে চান তাহলে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে পারেন।

৭। যদি সম্ভব হয় ঘামাচি থেকে রক্ষা পেলে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা করে থাকুন। এটি আপনার ঘামাচি দূর করতে এবং ঘামাচি থেকে রক্ষা করবে।

ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো

যাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামাচি থাকে সাধারণত তারা ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চায়। কারণ ঘামাচির সময় যদি ঘামাচির ভালো পাউডার ব্যবহার করা যায় তাহলে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই এখন আমরা ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো? এ বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ মাথার পিছনে ব্যথার কারণ - মাথার পিছনে ডান পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

আমরা ইতিমধ্যেই ওপরে ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি যদি ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে উপরের উপায়গুলো অবশ্যই অবলম্বন করুন। এছাড়া বেশ কিছু পাউডার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই নিয়মিত গোসল করতে হবে।

যে স্থানে ঘামাচির সংখ্যা বেশি সেখানে ঠান্ডা পানি অথবা বরফ লাগাতে হবে। ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পড়তে হবে। এছাড়া আপনি যদি ভালো পাউডার খুঁজে থাকেন তাহলে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এই পাউডার ঘামাচির জন্য খুবই উপকারী এবং ভালো।

মুখে ঘামাচি হলে কি করা উচিত

সাধারণত আমরা দেখে থাকি যে আমাদের শরীরে ঘামাচি হয়ে থাকে কিন্তু অনেক সময় সেই ঘাম আছে আমাদের মুখে হয়ে থাকে। সাধারণত যাদের মুখে ঘামাচি হয় তারা মুখে ঘামাচি হলে কি করা উচিত? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চায়।

ঘামাচি কমানোর সবথেকে কার্যকরী উপায় হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নেন এবং সকালে উঠে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করেন তাছাড়া বাইরে থেকে আসার পরে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন তাহলে ঘামাচি থেকে রেহাই পাবেন।

বারবার গোসল করা। আপনি যদি মুখে ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে বারবার গোসল করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসার পরে অবশ্যই গোসল করতে হবে। তাহলে আপনি ঘামাচি থেকে মুক্তি পাবেন।

মুখের ঘামাচি দূর করার এবং রোধ করার জন্য বাজার বিভিন্ন রকমের ভালো সাবান পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন অথবা বিভিন্ন রকমের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।

ঘামাচি ঔষধ - ঘামাচি ক্রিম

যাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামাচি বের হয় সাধারণত তারা ঘামাচি ঔষধ সম্পর্কে জানতে চায়। এছাড়া বাজারে ঘামাচি ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো ঘামাচির উপরে ব্যবহার করলে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ওপরের আলোচনায় আমরা ঘামাচি কেন হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে এসেছি। এখন আপনাদের সুবিধার্থে ঘামাচি ঔষধ এবং ঘামাচি ক্রিম সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন বন্ধুরা ঘামাচি ক্রিম ও ঘামাচি ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠা

আপনি যদি ঘামাচি দূর করতে চান তাহলে বাজারে ঘামাচি দূর করার বিভিন্ন রকমের পাউডার পাওয়া যায়। যেমন ট্যালকম পাউডার ঘামাচি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনি যদি ঘামাচি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই এই পাউডারটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ঘামাচি ঔষধ খাওয়া উচিত নয় কারণ এখানে বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

ঘামাচি কেন হয় - ঘামাচি ঔষধঃ উপসংহার

ঘামাচি ঔষধ, ঘামাচি ক্রিম, ঘামাচি কেন হয়? ঘামাচি কমানোর উপায়, ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, মুখে ঘামাচি হলে কি করা উচিত? ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url