চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায়

আপনি কি চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় সম্পর্কে জানেন? হ্যাঁ বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করব চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায়। আমাদের চোখে অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধে। কেন বা কি কারনে এটি হয় অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আলোচনা করব চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায়।

চোখে আঘাত লাগলে আমাদের চোখে অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিন্তু এখানে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ এই সমস্যাটি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। এছাড়াও আমরা চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত জেনে নিব।

পোস্ট সূচীপত্র : চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায়

রক্ত জমাট দূর করার ঔষধ  

বন্ধুরা আমাদের অনেক সময় চোখে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখে যদি রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। চোখে রক্ত বাধার সমস্যাটিকে বলা হয় সাবকনজাংটিভাল হেমারেজ। এটি নানা কারণে হতে পারে। হঠাৎ করে অতিরিক্ত বমি, কাশি, প্রচুর হাঁচি ইত্যাদি কারণে স্ট্রেইন পড়লে চোখে রক্তক্ষরণ হতে পারে। 

আরো পড়ুন বন্ধ্যাত্বের কারণ কি - পুরুষ বন্ধ্যাত্বের কারণ - পুরুষ বন্ধ্যাত্বে চিকিৎসা

কখনো কখনো চোখে আঘাত পেলে বা চোখের ভিতরে কিছু ঢুকলে এমনটি হতে পারে। সাধারণত চোখে রক্ত জমাট বাধা সমস্যাটি আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। তবে এটি যদি আঘাত বা কাশি এর কারণে হয়ে থাকে চিকিৎসা করলেই চলবে। জ্বরের সাথে এমন হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। চোখে সাধারণ অস্বস্তি বোধ করলে টিয়ার ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। 

চোখে রক্ত জমে কেন  

চোখে রক্ত জমে কেন আমরা অনেকেই জানিনা। চোখে বিভিন্ন কারণে রক্ত জমতে পারে। শারীরিক পরিশ্রম এর কারণে আমাদের চোখে রক্ত জমতে পারে। এছাড়াও হাঁচি, কাশি, বমি, মলত্যাগ ইত্যাদির সময় আমাদের চোখে রক্ত জমতে পারে। অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অথবা রক্ত জমাট বাধার সমস্যা গুলিও চোখের মধ্যে রক্তকে ট্রিগার করতে পারে। তাই এই ধরনের রোগীকে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা উচিত।

চোখে আঘাত লাগলে ড্রপ  

বন্ধুরা কাজ করার সময় আমাদের চোখে অনেক সময় আঘাত লাগে। আমরা অনেকেই চোখে আঘাত লাগলে ড্রপ বা কি ড্রপ ব্যবহার করব তা জানি না। চলুন জেনে নিই চোখে আঘাত লাগলে কি ড্রপ ব্যবহার করবেন। সাধারণত এখান থেকে বাঁচতে আপনাকে সব সময় সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। চোখে কোন বড় ধরনের আঘাত লাগলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। 

আরো পড়ুন শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত

এ ধরনের সমস্যায় একজন বিশেষজ্ঞ আপনার উপসর্গ গুলির পরীক্ষা করবেন। আপনার দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক করতে ডাক্তার ডাইডেটিং ড্রপগুলি দিতে পারেন যেটি আপনার পিউপল বা চোখের তারাকে বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি ডাক্তারদেরকে চোখের ভেতরের সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে এবং সঠিক রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ চোখে আঘাত লাগার কারণে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে ডাক্তার তার চিকিৎসা করে প্রয়োজনে ড্রপ সাজেস্ট করবেন।

চোখে আঘাত জনিত ব্যথা দূর করার উপায়  

চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা প্রথমেই জেনে নিয়েছি। এখন চোখে আঘাত জনিত ব্যথা দূর করতে আপনি কি করবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। চোখ আমাদের শরীরের এমন একটি অঙ্গ যা না থাকলে আমাদের পৃথিবী অন্ধকার। 
তাই আমাদের কাজ করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আমাদের দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় চোখের মধ্যে কোন পোকা বা কণা ঢুকে যায়। এমন অবস্থায় নরম পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অথবা যদি এমনটি মনে হয় যে চোখের মধ্যে কোন কিছু বেঁধে আছে তাহলে স্পর্শ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আবার অনেক সময় বাচ্চারা খেলতে খেলতে তাদের চোখে ধুলাবালি ঢুকে যায়। এমনটি হলে চোখ পরিষ্কার পানি দিয়ে পানির ঝাপটা দিতে হবে। এতে আপনার চোখ পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। একটু আঁচড় লেগেছে এছাড়া তেমন কোন কিছু চোখে পড়েনি এমনটি হলে যেকোনো একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

চোখের লাল কমানোর উপায়  

চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় উক্ত মর্মে এখানে আমরা আলোচনা করব চোখের লাল কমানোর উপায়। চোখ ওঠা, এলার্জি, চোখে ধুলাবালি গেলে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ লাল হলে প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কেন চোখ লাল হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরের উপর নির্ভর করবে আপনার চোখের লাল কমানোর চিকিৎসা। আপনার চোখের লাল ভাব কমাতে হোয়াইটেনিং ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি চোখে রক্ষণালিকে সংকুচিত করে এবং চোখের লালচে ভাব দূর করতে অনেক সাহায্য করে। উক্ত পদ্ধতি গুলো এপ্লাই করার পর যদি সমস্যা ঠিক না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চোখে রক্ত জমাট বাধা  

বন্ধুরা সাধারণত চোখ ওঠা, ইউভাইটিস, এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস ইত্যাদির সঙ্গে পার্থক্য হলে চোখে রক্ত জমে থাকতে দেখা যায়। এই সমস্যাটিকে বলা হয় সাবকনজাংটিভাইটিস। হঠাৎ করে অতিরিক্ত বমি, কাশি, হাঁচি ইত্যাদি কারণে স্ট্রেইন পড়লে চোখে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আবার চোখের মধ্যে কিছু ঢুকলে বা আঘাত লাগলেও চোখে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। 

অনেক সময় কিছু কিছু ভাইরাস জ্বর যেমন ডেঙ্গু বা অন্যান্য হেমোরেজিক জ্বর হলেও চোখে এই রক্তক্ষরণ দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা ডায়াবেটিস রোগীদের এই ঝুঁকিটা বেশি থাকে। এছাড়াও যাদের রক্ত পাতলা তারা খুব সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। এর চিকিৎসা বলতে গেলে শক্ত কোন আঘাত বা কাশি ছাড়া উপরোক্ত কারণে যদি আপনার চোখে রক্তক্ষরণ হয় তাহলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এটি আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়। এই সমস্যার সাথে সাথে যদি আপনার মাথায় বা চোখে প্রচন্ড ব্যথা থাকে তাহলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। এছাড়াও চোখের সাধারন অস্বস্তি দূর করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন টিয়ার ড্রপ।

আরো পড়ুন শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ - রক্ত বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদেরকে চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। চোখে রক্ত জমাট দূর করার উপায় এই ধরনের আরো আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি কথা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন নতুন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।২৩২৬১

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url