মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার
পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার
- আপনার বাজেট ঠিক করুন। মোবাইল কেনার আগে করণীয়
- অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইওএস কোনটি আপনার জন্য তা দেখুন। মোবাইল কেনার নিয়ম
- মোবাইলের স্পেসিফিকেশন গুগলে দেখুন।মোবাইল কেনার উপায়
- ইউটিউবে বিভিন্ন ফোনের রিভিউ দেখুন। মোবাইল কেনার টিপস
- শেষ আলোচনা: মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার
আপনার বাজেট ঠিক করুন। মোবাইল কেনার আগে করণীয়
মোবাইল কেনার নিয়ম আমারা অনেকেই সঠিক ভাবে জানি না। মোবাইল কেনার আগে আমারা ছোট বড় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গুলো নিতে ভুল করি। আবার অনেকেই আছি যারা কোন চিন্তা ভাবনা না করেই হুট করেই দোকানে গিয়ে একটা ফোন কিনে নিয়ে আসি। যার প্রভাব পরবর্তীতে আমাদের ওপর পড়তে পারে। তাই মোবাইল কেনার আগে করণীয় গুলো জেনে মোবাইল কেনার টিপস গুলো ফলো করলে মন্দ হয় না। মোবাইল কেনার নিয়ম এর মধ্যে সর্বপ্রথম একটি নিয়ম হলো আপনার বাজেট ঠিক করা।
আরো পড়ুন: কিভাবে কডি অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করবেন
মোবাইল কেনার টিপস গুলো ফলো করার সময় আপনি অনুমানিক একটি বাজেট ধরে রাখবেন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী। মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে সবার বাজেট একই হয় না। কারো কারো বাজেট ৫-১০ হাজারের মধ্যেও হয়ে থাকে। আবার কারো কারো ১ লক্ষও হতে পারে। এটা যার যার সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে। সবার সামর্থ্য এক হয় না। ধরুন আপনি ১৫-২০ হাজার এর মধ্যে মোবাইল কিনতে চান অথবা ৩০-৩৫ হাজারের মধ্যে মোবাইল কিনবেন। মোবাইল কেনার উপায় গুলোর মধ্যে বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম।
এরকম আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আনুমানিক একটি বাজেট ধরে রাখবেন। এবং সেই বাজেটের মধেই মোবাইল কেনার টিপস গুলো ফলো করে যাচাই বাছাই করে মোবাইল কিনবেন। আপনি চেষ্টা করবেন আপনার সামর্থ্যের মধ্যেই সব চেয়ে ভালো ফোনটি কিনতে। তাহলেই আপনার ফোনটি কেনার পর আপনাকে আর কোনোভাবেই পস্তাতে হবে না বা আফসোস করতে হবে না। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে শুরুতেই আপনার বাজেট আনুমানিক ধরে রাখতে হবে। এটি আপনার মোবাইল কেনার আগে করণীয়।
অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইওএস কোনটি আপনার জন্য তা দেখুন। মোবাইল কেনার নিয়ম
মোবাইল কেনার আগে মোবাইল কেনার উপায় গুলো জানুন। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস মোবাইল কেনার আগে করণীয় এবং মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার:
- দাম
- অ্যাপ স্টোর
- সিকিউরিটি
- ব্যাক আপ করা এবং ফাইল ট্রান্সফার করা
- কাস্টমাইজেশন
দাম
একটি আইফোন কিনতে চাইলে আপনার বাজেট সর্বনিম্ন ৪৫,০০০+ হতে হবে। আর যদি অ্যান্ড্রয়েড কিনতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৩/৪ হাজার হলেই হবে। এখন মোবাইল কেনার নিয়ম মেনে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী ঠিক করতে পারেন যে কোন ফোনটি আপনার জন্য। অ্যান্ড্রয়েড এর দাম কম হলেও আপনি এখানে প্রায় হাজার হাজার মডেল পাবেন যা আইফোনে পাবেন না। অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইওএস মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে মোবাইল এর দাম টাও জেনে নেয়া খুবই জরুরি।
অ্যাপ স্টোর
আইফোনের অ্যাপ স্টোরে অ্যাপের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২.২ মিলিয়ন। অপরদিকে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ স্টোরে অ্যাপের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন। তবে অ্যান্ড্রয়েডে যদি আপনি কোন অ্যাপ সার্চ করেন তাহলে অহেতুক অনেক অ্যাপ পাবেন যেটা আইফোনে পাবেন না। আবার অনেক নতুন গেম অ্যাপ গুলো রিলিজ করার সাথে সাথেই আইফোনে পাওয়া যায়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে পাওয়া যায় না।
ব্যাক আপ করা এবং ফাইল ট্রান্সফার করা
সাধারণত নতুন কোন ফোন কিনলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাক আপ করা এবং ফাইল ট্রান্সফার করা। তা অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে করা খুব ই সহজ। অপরদিকে আইফোন দিয়ে ব্যাক আপ করা এবং ফাইল ট্রান্সফার করা সহজ নয়। এজন্য দরকার আই টিউনস অ্যাপ্লিকেশনটি। নতুন কোনো আইওএস মোবাইল কিনে প্রথম সুইচ করতে হলে পিসির দরকার হয়। এটি আইওএস মোবাইল কেনার নিয়ম এর অন্তর্ভুক্ত। এজন্য এই মোবাইল কেনার টিপসটি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
সিকিউরিটি
আইফোনের সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো আইফোনর সিকিউরিটি। আপনার ফোন টি যদি চুরিও হয়ে যায় তাহলেও আপনার ফোন থেকে কেউ আপনার ডাটা গুলো চুরি করতে পারবে না। অপরদিকে এত বড় সিকিউরিটি কখনোই অ্যান্ড্রয়েড আপনাকে দিতে পারবে না। অ্যান্ড্রয়েড থেকে খুব সহজেই আপনার ডাটা চুরি করে নিতে পারবে। মোবাইল কেনার উপায় গুলোর মধ্যে সিকিউরিটি ব্যাপারটার দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
কাস্টমাইজেশন
আপনার অ্যন্ড্রয়েডটি আপনি চাইলেই আপনার মনের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। অপরদিকে আইফোনের ডিফল্ট গুলো সেট করা থাকে। ফলে আপনি চাইলেও আপনার আইফোনটি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন না। আপনার নিজের ইচ্ছে মতো কাস্টমাইজ করবেন কি করবেন না তা সিদ্ধান্ত নেয়া আপনার মোবাইল কেনার আগে করণীয় গুলোর অন্তর্ভুক্ত।
আরো পড়ুন: ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
কিছু দিক দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ভালো আবার কিছু কিছু দিক দিয়ে আইওএস ভালো। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার সেগুলো সব জেনে বুঝে অন্যান্য মোবাইল কেনার নিয়ম গুলো মেনে আপনাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে মোবাইল কেনার উপায় গুলো জানাও প্রয়োজন। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড কেনার আগে এই মোবাইল কেনার টিপসটি অবশ্যই ফলো করুন।
মোবাইলের স্পেসিফিকেশন গুগলে দেখুন। মোবাইল কেনার উপায়
মোবাইল কেনার আগে করণীয় বিষয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মোবাইলের স্পেসিফিকেশন গুলো দেখে নেয়া। এটি একটি মোবাইল কেনার টিপস। এখন কথা হচ্ছে আপনি দোকানে গিয়ে তো আর সব মডেলের স্পেসিফিকেশন গুলো দেখতে পারবেন না। তাই আগেই বাসায় বসেই গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন মডেলের স্পেসিফিকেশন গুলো দেখে নিন। এতে করে মোবাইল কেনার সময় বেশি দেখা দেখির প্রয়োজন হবে না। এটি মোবাইল কেনার উপায়। যা অনেকেই জানেন না।
মোবাইল কেনার নিয়ম গুলোর মধ্যে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার: RAM, ROM, প্রসেসর, ডিসপ্লে, ক্যামেরা, ব্যাটারি, নেটওয়ার্ক, ফিচার, সাউন্ড, সাইজ, রং, দাম, কবে রিলিজ হয় ইত্যাদি। অর্থাৎ একটি ফোনের সব কিছুই জানতে পারবেন আপনি এই স্পেসিফিকেশন এর মধ্যে। এজন্য ফোন কেনার আগে অবশ্যই ফোনের স্পেসিফিকেশন গুলো ভালো করে দেখে নেয়া খুবই জরুরি।
ডিসপ্লে ও স্ক্রীন সাইজ
মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো মোবাইল এর ডিসপ্লে কেমন হবে তা জেনে নিন। ফোনের ডিসপ্লে ও স্ক্রীন সাইজ জানা আপনার মোবাইল কেনার আগে করণীয় বললেই চলে। আমরা অনেকেই আবার ডিসপ্লে বলতে শুধু মাত্র ডিসপ্লে সাইজকেই বুঝি। কিন্তু মোটেই এমনটা করা যাবে না। শুধু সাইজে বড় হলেই যে আপনার ফোনটি ভালো হবে এমনটা নয়। তবে ফোনের সাইজ ৫-৬ ইঞ্চি এর মধ্যে হলে ভালো হয়। এছাড়াও আপনাকে আরো দেখতে হবে ফোনটি HD, HD+ নাকি wvga এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে HD+ ডিসপ্লে দেখে ফোন কিনতে হবে। ফোনের ডিসপ্লে ফুল এইচডি হলে গেম খেলে বা ভিডিও দেখে মজা পাবেন। আর যদি wvga হয় তাহলে দেখতে খুবই সাধারণ লাগবে।
RAM
মোবাইল এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো মোবাইলের RAM। মোবাইল কেনার নিয়ম গুলোর মধ্যে RAM জেনে নেয়া অন্যতম। একটি ফোন দ্রুত এবং হ্যাং না হওয়ার জন্য RAM বেশি হওয়া খুবই জরুরি। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হলো এই RAM। আপনি দেখে নিবেন ফোনের RAM যেন ৩/৪/৬ জিবি হয়ে থাকে। আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে যেই কাজ গুলো করি সেগুলো RAM এ গিয়ে জমা হতে থাকে। আপনি ভালো ফোন কিনতে চাইলে ভুলেও ১/২ জিবি RAM এর ফোন কিনতে যাবেন না। কারণ এই সকল ফোন কিছুদিন পরেই হ্যাং হওয়া শুরু করে।
আরো পড়ুন: গুগল মিট কি? গুগল মিট ব্যবহারের নিয়ম
সাধারণত ৬ জিবি RAM এর ফোন গুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার বাজেট বেশি হলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন বেশি RAM এর ফোন গুলো কিনতে। আর বাজেট কম হলেও চেষ্টা করবেন ৩ জিবি RAM এর ফোন গুলো কিনতে। বর্তমানে বাজারে ৩ জিবি RAM এর ফোন গুলো এখন হাতের নাগালে। মোবাইল কেনার টিপস গুলোর মধ্যে RAM দেখে নেয়া খুবই জরুরি।
ROM
ROM হলো আপনার ফোনের অ্যাপস, ছবি, ভিডিও, ফাইল এর ধারণ ক্ষমতা। এক কথায় আপনার ফোনে মত বেশি ROM থাকবে তত বেশি ফোনে জায়গা থাকবে। ফোনের ROM জেনে নেয়া মোবাইল কেনার আগে করণীয়। আপনার ইচ্ছে মত আপনার ফোনে অ্যাপস, বিভিন্ন ফাইল রাখতে পারবেন। বর্তমানে ১৬/৩২/৬৮ জিবি ROM এখন হাতের নাগালে এসে গেছে। সর্বোচ্চ হলে ১২৮ জিবি ROM পাওয়া যাবে। আপনি চেষ্টা করবেন যেন আপনার ফোনের ROM ৩২ বা ৬৮ জিবি হয়। আর ১২৮ জিবি হলে তো আরো ভালো। ROM কম হলে আপনার ফোনে বেশি জায়গা থাকবে না। ফোন কেনার কিছু দিন পর ই কোনো কিছু ডাউনলোড করতে গেলে ফোন থেকে কিছু ডিলিট করতে বলবে। পাশাপাশি আপনার ফোন হ্যাং হতেও শুরু করবে। মোবাইল কেনার নিয়ম গুলো মানতে হলে আপনাকে অবশ্যই ফোনের ROM জেনে নিতে হবে।
ব্যাটারি ক্ষমতা
আপনার মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তা হলো মোবাইলের ব্যাটারি ক্ষমতা কত? মোবাইলের অন্যান্য বিষয় গুলোর দিকে আমরা এতটাই লক্ষ্য করি যে অনেক সময় মোবাইলের ব্যাটারি ক্ষমতার কথা একেবারেই ভুলে যাই। কিন্তু না মোটেও এমনটা করা যাবে না। কারণ মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ব্যাটারি ক্ষমতা। মোবাইল কেনার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মোবাইল এর ব্যাটারি ক্ষমতা ৫/৬ হাজার mAh যেন হয়। ব্যাটারি ক্ষমতা জেনে নেয়া মোবাইল কেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম। সর্বনিম্ন ৪০০০ mAh যেন হয়। এর থেকে কম হলে আপনার ফোনের চার্জ কিছুক্ষণ পর পর ই কমে যাবে এবং বার বার ফোন চার্জে লাগাতে হবে।
আর এমনিতেও অ্যান্ড্রয়েড ফোন আপনি ব্যবহার না করলেও চার্জ কমতে থাকে। তাই ব্যাটারি ক্ষমতা বেশি দেখে কেনাটাই শ্রেয়। তাই ব্যাটারি ক্ষমতার এই মোবাইল কেনার টিপসটি মনে রাখবেন। বিশেষ করে যারা গেম খেলেন, ইউটিউব দেখেন তাদের উচিত অবশ্যই মোবাইল কেনার নিয়ম গুলোর অন্তর্ভুক্ত ব্যাটারি ক্ষমতা ৫০০০ বা ৬০০০ mAh দেখে কেনা।
প্রসেসর
RAM এর মতোই ফোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রসেসর। আপনার ফোনের প্রসেসর যত বেশি হবে আপনার ফোন তত দ্রুত এবং ভালো কাজ করবে। অপরদিকে ফোনের প্রসেসর কম হলে কিছুদিন পরেই ফোন হ্যাং হওয়া শুরু করবে এবং ফোন দ্রুত কাজ করবে না। ফোন কেনার সময় আপনি চেষ্টা করবেন octa core প্রসেসর দেখে কিনতে। আরো খেয়াল রাখতে হবে ফোনের প্রসেসর স্পীড যেন ২ হার্জ হয়। সর্ব নিম্ন যেন ১.৫ হার্জ হয়। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে অন্যগুলোর পাশাপাশি প্রসেসর ও জেনে নিবেন। এটি আপনার মোবাইল কেনার আগে করণীয়।
ক্যামেরা
বর্তমান যুগে ছেলে মেয়েরা ফোন কিনতে গেলে ভালো ক্যামেরার ফোনটি খুঁজে। আপনি যদি ফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনার ক্যামেরাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সর্বপ্রথম মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তা হলো ফোনের ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল। মোবাইল কেনার টিপস গুলোর মধ্যে ক্যামেরার গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়। সাধারণত একেক ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি একেক রকম রকম হয়ে থাকে। আপনি যদি মোটামুটি ভালো মানের ছবি তুলতে চান তাহলে ১৩ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা হলেই যথেষ্ট। আর যদি এর থেকেও ভালো ক্যামেরা চান অথবা আপনার ফোনের মূল ফোকাস আপনার ক্যামেরা হবে এমনটা চান তাহলে ১৬+ মেগাপিক্সেল দেখে নিবেন। এই ধরনের ফোন গুলোর দাম একটু বেশিই হয়ে থাকে।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মূল বিষয় গুলো অর্থাৎ মোবাইল কেনার টিপস গুলো এতক্ষণে বলেছি। এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত আরো কিছু মোবাইল কেনার উপায় গুলো দেখতে পারেন। যেমন ধরুন ফোনটির ডিজাইন কেমন, ফোনটির রং কেমন ফোনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফিচার ইত্যাদি মোবাইল কেনার নিয়ম। অথবা মোবাইল কেনার উপায় গুলোর মধ্যে আরো একটি বিষয় হলো আপনার যদি পছন্দের কোনো ব্রান্ড থেকে থাকে তাহলে সেই ব্রান্ডের নতুন কোনো মডেল রিলিজ হয়েছে কিনা তা দেখে নিতে পারেন।
ইউটিউবে বিভিন্ন ফোনের রিভিউ দেখুন। মোবাইল কেনার টিপস
মোবাইল কেনার আগে করণীয় হলো ইউটিউবে বিভিন্ন ফোনের রিভিউ দেখা। আজকাল নতুন কোনো ফোন বাজারে এলে সেই মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তা নিয়ে বিভিন্ন রিভিউ দিয়ে থাকেন ইউটিউবাররা। মোবাইল কেনার টিপস গুলোর মধ্যে এই টিপসটি আপনি বাসায় বসেই ফলো করতে পারেন। তাদের রিভিউ দেখে যদি আপনার মনে হয়ে থাকে যে ফোনটি ভালো হবে তাহলে ফোনটি কিনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একাধিক রিভিউ ভিডিও দেখার চেষ্টা করবেন। কারণ অনেক ইউটিউবাররা ভুয়া রিভিউ দিয়ে থাকেন। তাই কয়েকটি রিভিউ ভিডিও দেখে তারপর একটি সিদ্ধান্ত নিবেন।
এছাড়াও আপনার যদি ফোন বিশেষজ্ঞ কোনো বন্ধু থাকে এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়ে বন্ধুদের কাছ থেকে মোবাইল কেনার উপায় গুলো জেনে নিতে পারেন। কারণ হুট করে মোবাইল কেনার নিয়ম গুলো না দেখেই মোবাইল কিনে ফেললে সেই মোবাইল ভালো নাও হতে পারে।
শেষ আলোচনা: মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার
সর্বশেষে আমি একটি কথাই বলব মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তা না জেনে মোবাইল কিনতে যাবেন না। আমাদের আজকের এই পোস্টে মূল বিষয় ছিল: মোবাইল কেনার আগে করণীয়, মোবাইল কেনার নিয়ম, মোবাইল কেনার উপায় , মোবাইল কেনার টিপস সম্পর্কে। মোবাইল কেনার টিপস গুলো ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার এবং তাদেরকেও জানিয়ে দিবেন মোবাইল কেনার উপায় গুলো। এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট। এরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট পড়তে আমাদের অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। জব আইডি: ২২০৭০