হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত - কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন

 

আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন? এটা জানা প্রয়োজন। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? যদি জানতে চান হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? তাহলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

দিনে কতক্ষণ হেডফোন পরা উচিত, নিরাপদ হেডফোন ভলিউম কত হওয়া উচিত। আপনারা আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত তা নে জেনেই সবসময় হেডফোন ব্যবহার করে যাচ্ছেন তাই আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত বা কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন নিচে বিস্তারিত পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত - কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন

কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন - এখানে কিছু এভারেজ শব্দের গড় দেওয়া হলো

আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? বা কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ডেসিবেল নামক এককে শব্দ পরিমাপ করা হয়। ৭৫ ডেসিবেলের কম শব্দ, এমনকি দীর্ঘ এক্সপোজারের পরেও, শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়ার সম্মভাবনা কম। তবে ৮৫ ডেসিবেল বা তার বেশি শব্দের দীর্ঘ বা বারাবার এক্সপজার শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে। শব্দ যত জোরে হবে, NIHL ঘটতে যত কম সময় লাগবে। 

  • একটি রেফ্রিজারেটরের শব্দ 
  • ৪৫ ডেসিবেল
  • স্বাভাবিক কথোপথন
  • ৬০ ডেসিবেল
  • শহরের ভারী যানজটের আওয়াজ
  • ৮৫ ডেসিবেল 

কিভাবে শব্দ শ্রবণশক্তির ক্ষতির কারণ হয়

শব্দ যোগাযোগের একটি অপরিহার্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আমাদের কানের ভিতরের জন্যে শব্দ খুব সংবেদনশীল। তাই জানা দরকার আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? আমাদের কানের ভিতর হাজার হাজার কোষ আছে, যার মধ্যে কিছু চুলের মতো ছোট গঠন আছে যাকে হেয়ার সেল বলা হয়। যা কান থেকে মস্তিষ্কে শব্দ পাঠায়। কিন্ত অতিরিক্ত শব্দ এই কোষ গুলোর অনেক ক্ষতি করে। 
যা চিরদিন থাকতে পারে। যা শব্দ সংক্রমনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। চুলের কোষ এবং স্নায়ু কোষের মধ্যে সংযোগের ফলেও সমস্যা হতে পারে, যদি সেটা অতিরুক্ত শব্দ দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়। যদি কানের ভিতরের চুলের কোষ স্বাভাবিক থাকে তবুও বেশি শব্দে কানের সমস্যা হবে। এক কথাই বলা যায় খুব জোরে শব্দ ক্ষতিকর। এ জন্য আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? সে সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন। 

কত জোরে শব্দ আমাদের জন্যে খুব বেশি 

আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্তারিত পরে জানতে পেরেছি ,আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মের সাথে যুক্ত শব্দ বা ভলিউম ডেসিবেলে পরিমাপ করা হয়। আমরা যে হেডফোন ব্যবহার করি সেগুলো ১০৫ থেকে ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন তা আমাদের জানা উচিত। হেডফোন ব্যবহার করার সময়  আমাদের একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যখন আমরা যে কনো কাজের হেডফোন ব্যবহার করি সেটা অবশ্যই  ৮৫ ডেসিবেল ভলিউম এ ব্যবহার করা উচিত। 
তারপর ও ৮ ঘণ্টার বেশি কানে হেডফোন ব্যবহার করা কানের ভিতরের জন্যে খুব ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যদি ১০৫ থেকে ১১০ এ ভলিউম ব্যবহার করেন তাহলে মাত্র ৫ মিনিটেই আপনার কানের অনেক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আপনি ৭০ ডেসিবেলের কম শব্দে ব্যবহার করেন তাহলে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয় না কিন্তু তারপরেও ৩০ মিনিট এর বেশি কানে হেডফোন ব্যবহার ক্ষতির কারন হতে পারে। 

শিশু ও বয়স্কদের হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? তাতো আরো কম হওয়া উচিত কারন শিশু এবং বয়স্করা ভিতর থেকে খুব দুর্বল হয়। আমাদের সবার জন্যেই হেডফোন গুলি কম শব্দে আরামদায়ক হওয়া উচিত।

কিভাবে শব্দ শ্রবনশক্তি ক্ষতির কারন হয়

শ্রবণশক্তি একজন মানুষের সবচেয়ে বড় বিশিষ্ট। পুরো পৃথিবীতে শ্রবনক্ষমতা হ্রাস পাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তেই আছে। এজন্য আমাদের খুব সাবধান থাকতে হবে। মানুষ সাধারনত ২০ বা ২০,০০০ হার্জের কম বা বেশি শব্দ শুনতে পাই না। বিভিন্ন কারনে আমাদের শ্রবনশক্তি হ্রাস পেতে পারে তার মধ্যে উচ্চ শব্দে হেডফোন ব্যবহার করা একটা। 
এছাড়াও আরো কিছু কারন আছে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার তা নিচে দেওয়া হলঃ
  1. রক্তজনিত কারনে 
  2. হেয়ার ড্রায়ার 
  3. উচ্চ শব্দের গানবাজনা
  4. বার্ষিক চেকআপ উপেক্ষা 
  5. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  6. ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ
  7. তীব্র জ্বর

নিরাপদ হেডফোন ভলিউম ব্যবহারের পরামর্শ

Word Health Organization এর তথ্য অনুযায়ী হেডফোন ৮৫ ডেসিবেল ভলিউম স্তরে মাত্র ৮ ঘণ্টা শুনতে পারবেন। বেশিরভাগই গড় অডিও ডিভাসের সাউন্ড লেভেল ৭৫ থেকে ১৩৬ ডেসিবেল পর্যন্ত থাকে। সাধারনত বেশিরভাগ সময় আমরা ৭৫ ডেসিবেল থেকে ১০৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের মাত্রা বজায় রাখি।
আমাদের কান অতিরিক্ত শব্দ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং শব্দের অতিরিক্ত মাত্রা এবং এক্সপোজারের সময়কালের সমন্বয় সম্ভাব্য শ্রবণ সমস্যায় অবদান রাখে।
  • আপনি যদি হেডফোন এ কিছু শুনেন তাহলে তা কতক্ষন এবং কত জোরে শুনছেন সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • যদি অধিক সময় শোনার দরকার হয় তাহলে মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং কম ভলিউম এ শুনুন।
  • আপনি যদি এমন কনো জায়গায় জান যেখানে প্রচন্ড জোরে শব্দ হবে আগেই প্রস্তুতি নিয়ে যান।
  • অডিওলজিস্ট দ্বারা পরীক্ষিত এমন অনেক ডিভাইস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে প্রচন্দ শব্দ থেকে নিজের কান কে বাচান।
  • সবশেষে আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? বা কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন কিংবা দিনে কতক্ষণ হেডফোন পরা উচিত সে সম্পর্কে  কনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অডিওলজিস্ট এর কাছে গিয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

শেষ কথাঃ আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত?

কোনো শব্দের তীব্রতার লেভেল মাত্রা যখন ৮৫ ডেসিবেল এর বেশি হয়ে যায় তখনই তা আমাদের কানের জন্য ক্ষতিকর হওয়া শুরু হয়। এ জন্যই  আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? বা কিভাবে হেডফোন ডেসিবেল পরিমাপ করবেন সেটা সম্পর্কে ভালভাবে জানা প্রয়োজন। 

আর সবথেকে আতঙ্কের বিষয় হলো একটি হেডফোনে সাধারনত ১০০ ডেসিবেল বা তার থেকে বেশি শব্দ উৎপন্ন করে। আপনারা যদি দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে তা সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি খুব ভালভাবে পড়ুন।আপনার হেডফোন কত জোরে হওয়া উচিত? সেটা খুব ভালভাবে জেনে নিন। [job id=22498]
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url