শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়

 

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় সম্পর্কে আপনি কি বিস্তারিত জানতে চান? কথায় আছে, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষাদানের জন্য যারা সর্বদা নিয়োজিত তাদেরকে শিক্ষক বলে। আমরা অনেকেই জানিনা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় গুলো কি কি। আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। 

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় অনেক । বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি না টেনে সম্পূর্ণরূপে পড়ুন। একজন শিক্ষক তার নিজ পেশার উন্নয়ন করার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন এবং কলাকৌশল শিখে থাকেন। আসুন আমরা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিই।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়

নিয়মিত জ্ঞান অর্জন

শিক্ষকরা হচ্ছে সকল জ্ঞানের আধার। একজন শিক্ষক তার জ্ঞান দ্বারা একটি সমাজকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলে। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে শিক্ষার্থীরা অনেক কৌতুহলী প্রকৃতির। তাদের মনে জানার আগ্রহ অনেক বেশি সেজন্য প্রতিটি শিক্ষক তাদের নিজ নিজ জ্ঞান কে ত্বরান্বিত করতে হবে যেন তারা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারে।

আরো পুড়ুন কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা কি - কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

শিক্ষক যদি তার জ্ঞান দ্বারা খুশি করতে না পারে তার শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীর শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা কমতে থাকে। তাই প্রতিটি বিষয়ই প্রত্যেকটি শিক্ষককে জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে জানতে হবে। নিয়মিত জ্ঞান অর্জন বা চর্চা করা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়।

শিক্ষকের ব্যক্তিগত দর্শন

দর্শন হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। একজন শিক্ষকের শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, কুসংস্কারমুক্ত ভাবে গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, হাতে-কলমে শিক্ষা দান, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান দান করে থাকেন। একজন আদর্শ শিক্ষক তার নিজের ভেতরের আদর্শ গুলি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে থাকেন।

পেশা উন্নয়নের গুরুত্ব

জ্ঞান-বুদ্ধি বিচক্ষণতা দক্ষতায় পরিপূর্ণ শিক্ষক হচ্ছে আমাদের দেশ ও মানব জাতির অমূল্য সম্পদ। একটা সুষ্ঠ সুন্দর সমাজ গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষক পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ এবং সর্ব সাধারণের কাছে একজন শ্রদ্ধা এবং সম্মানের পাত্র।

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় জানার মাধ্যমে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এর মাধ্যমে পাঠদানে সাহায্য করে। একজন শিক্ষক হতে হলে শিক্ষককে সবচেয়ে প্রথমে দায়িত্ববান হতে হবে।

শিক্ষকদের দক্ষতা

শিক্ষক হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আদর্শ একটি মডেল। একজন আদর্শ শিক্ষক সাধারণত সহনশীল, সুচিন্তক, সুবিচারক, আন্তরিক, আত্মবিশ্বাসী, সচেতন এইসব আদর্শ গুণাবলী দ্বারা গুণান্বিত। একজন শিক্ষক তার নিজ দক্ষতা এবং গুণাবলী মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন করতে সাহায্য করে।

শিক্ষকদের ব্যাক্তিগত মূল্যবোধ

শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধ সৃষ্টি করা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। একজন শিক্ষক মূল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থী তথা সমাজের মধ্যে বিকাশের সঞ্চার করেন। ভালো মন্দের বিচার, পারস্পরিক সহযোগিতা, উন্নত চিন্তা ভাবনা, প্রশংসা করা, বন্ধুসুলভ আচরণ, রুচিসম্মত পোশাক, মার্জিত আচরণ, শালীনতা, সত্য কথা বলা নিজেদের মধ্যে ধারণকৃত গুণাবলীর প্রকাশ ঘটান শিক্ষার্থীর মধ্যে। ব্যক্তিগত মূল্যবোধ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়।

শিক্ষকের দক্ষতা অর্জনের পরিকল্পনা

একজন শিক্ষক হবেন একজন শিক্ষার্থীর সহায়তাকারী, মডেল, নেতা, দূরদর্শী, অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন পন্ডিত ব্যক্তি। বিভিন্ন কাজে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা শিক্ষার্থীদের ওপর যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে একজন পারদর্শী শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষকের দক্ষতা অর্জনের পরিকল্পনা করা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়।

পেশা উন্নয়ন কি

শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাদানের জন্য যারা সর্বদা নিয়োজিত তাদেরকে শিক্ষক বলে। মানুষের জীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে অবশ্যই পেশাগত দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। মানুষের জীবনে সফল হতে হলে পেশাগত দক্ষতা এবং জ্ঞান  উন্নয়ন প্রয়োজন। পেশাগত উন্নয়ন ছাড়া কোন মানুষ জীবনে উন্নতি সাধন করতে পারেনা। শিক্ষাগত পেশা অন্যান্য পেশার তুলনায় তা অতি মাত্রায় প্রযোজ্য। কারণ শিক্ষকগণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কারিগর। তাই শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জন করা অপরিহার্য।

শিক্ষকের সেবার মনোবৃত্তি

শিক্ষকের সেবার মন মানসিকতা তৈরি করা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। বলা হয়ে থাকে শিক্ষাকতা হলো মহান বৃত্তি। এধরনের আদর্শ কাজের সাথে নিজেকে নিযুক্ত করার সৌভাগ্য সবার হয় না। একজন আদর্শ শিক্ষক কখনোই নিজের স্বার্থে বা স্বার্থের বিনিময়ে কোনো কাজ করতে পারে না। একজন আদর্শ শিক্ষক অন্যের প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আদর্শ শিক্ষক তো তিনিই যিনি লোক সেবার মনোবৃত্তি প্রকাশ করে সব সময়।

পেশাগত জ্ঞান অর্জন

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় রয়েছে অনেক। দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জন ছাড়া কোনো মানুষ সাফল্য লাভ করতে পারে না। পেশাগত জ্ঞান অর্জন করা যেতো একটি ধারাবাহিক চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষককে যার যার নিজ নিজ বিষয় এর উপরে সকল ধরনের ধারণা বা আপডেট রাখতে হবে। জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রত্যেকটি শিক্ষককেই সৃজনশীল হতে হবে। একটি ভালো শিক্ষকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হচ্ছে সৃজনশীলতা।

শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্ব বোধ 

একটা শিক্ষিত পরিবার সমাজ রাষ্ট্র দেশ গড়তে আদর্শবান শিক্ষকের প্রয়োজন। জীবনাদর্শ গঠনে, কুসংস্কার দূর করতে, জাতীয় সংহতি স্থাপনে ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষকের ওপর গুরু দায়িত্ব পড়ে যায়।একজন শিক্ষক এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জীবনাদর্শ গঠনে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে একজন শিক্ষক তার উন্নত চরিত্রের দিকে সর্বদাই খেয়াল করে থাকে। একজন আদর্শ শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে নৈতিক আদর্শ গঠনে সাহায্য করে এবং এদেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন আর এই বিষয়গুলোই শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়।

শিক্ষকের পেশাগত মনোভাব তৈরি

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় হচ্ছে শিক্ষকের পেশাগত মনোভাব তৈরি করা। আপনি যে পেশাকেই বেছে নেন না কেন সেই পেশার প্রতি যদি শ্রদ্ধাশীল না হন তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত স্থানে কখনোই পৌঁছাতে পারবেন না। তাই কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছাতে আপনি আপনার নিজ পেশাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষকের পেশাগত প্রশিক্ষণ 

জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষকের পেশাগত প্রশিক্ষণ এর কোন বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে যার কর্মস্থলে থেকে কর্ম অনুযায়ী নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে থাকে। সারা বিশ্বব্যাপী এই শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণকে শিক্ষাব্যবস্থার মৌল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ এমন একটি অপরিহার্য বিষয় যে প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো শিক্ষকও চলমান পৃথিবীর নবতর চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হতে পারে না।

নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন

শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করা। যেহেতু শিক্ষক হচ্ছে জ্ঞানের আধার সেজন্য নিজ দায়িত্ব থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষকের উচিত জ্ঞানভান্ডারে নতুন নতুন জ্ঞানের ভান্ডার যোগ করা। নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দান করা। কোন কোন সময় দেখা যায় বিভিন্ন ক্লাসে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর শিক্ষকের দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আরো পড়ুন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি - সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ কি

তখন দেখা যায় শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে চলেন। যেটা একেবারেই অনুচিত। আমাদের ভবিষ্যৎ আগামী প্রজন্মের প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি শিক্ষককেই নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনে বলিষ্ঠ থাকতে হবে।

আত্মসম্মানবোধ তৈরি

সমাজের মানুষের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ তৈরি করা একটি শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। আত্মসম্মানবোধ বলতে আমরা যা বুঝি সেটা হচ্ছে নিজে নিজেকে সম্মান বা গুরুত্ব দেওয়া। একজন মানুষ হিসেবে আমরা অবশ্যই সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকবো যে বিষয় আমার জন্য ভালো বা কোন বিষয় আমার জন্য খারাপ ইত্যাদি বুঝে শুনে চলা।

শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন

শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। সাধারণত আমরা সবাই কোন না কোন পেশার সাথে সম্পৃক্ত। তবে অন্যান্য সকল পেশার তুলনায় শিক্ষকতা পেশা টি অনেক সম্মানজনক। শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কাঠামোকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন। শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর আশানুরূপ উত্তর দিতে না পারে সে শিক্ষক থেকে ভালো কিছু সমাজ আশা করতে পারে না। প্রতিটি শিক্ষকের প্রয়োজন নতুন জ্ঞান, দক্ষতা যোগ্যতা অর্জন করা।

শিক্ষকের গুরুত্ব নিয়ে ধারণা দেয়া

একটা পরিপূর্ণ বয়সে আমরা যে পেশায় নিযুক্ত থাকি না কেন প্রাথমিক জীবনে আমাদের শিক্ষকদের কাছে শরণাপন্ন হতে হয়। শিক্ষক হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আর এই জ্ঞানের আলো সমাজের মানুষের প্রতিটি কোনাই কোনাই ছড়িয়ে দেন। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থেকে যে গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে দেওয়া শিক্ষকের কর্তব্য। কিন্তু বর্তমান সমাজে শিক্ষকদের সম্মান দেয়া অনেকটা বিলুপ্তির পথে।

ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক 

একজন ছাত্রের কাছে পিতা-মাতার পরে একজন শিক্ষকের স্থান হয়ে থাকে। ছাত্রজীবনে শিক্ষকের শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। মেধা, জ্ঞান, শ্রম দিয়ে যে একজন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন মূলত এ কারণেই একজন শিক্ষককে অভিভাবকগণ অনেক সম্মানের চোখে দেখেন। ছাত্র এবং শিক্ষকের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে জ্ঞান আহরনের জন্য।

আরো পড়ুন এ্যান্ড্রয়েড ক্রমের জন্য ১০ টি সেরা টিপস এবং ট্রিক্সস বিস্তারিত দেখুন

শিক্ষকগণ তাদের মন প্রাণ উজাড় করে ছাত্রদের জ্ঞান দান করতে কোনো কার্পণ্য করেনা। বরং ছাত্র যদি সুযোগ হয় তাহলে শিক্ষকগণ তাদের জ্ঞান বিতরণের অনেক আনন্দ অনুভব করেন। শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে ধীরে ধীরে সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তোলেন। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ছাত্র এবং শিক্ষক এর সু-সম্পর্ক  খুব গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষায় শিক্ষকের গুরুত্ব 

শিক্ষায় শিক্ষকের গুরুত্ব শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান অর্জন ছড়িয়ে দেয়ার আগে একজন শিক্ষকের শিক্ষার গুরুত্ব কি সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। শিশুর উন্নত চরিত্র গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে একজন শিক্ষক। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়।তারা সবসময় অনুকরণ করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।

একজন শিক্ষার্থী যখন একজন শিক্ষকের সান্নিধ্যে হয়, তখন তার জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা, পরিশ্রম, স্বাধীনতা, শালীনতা, ভদ্রতা একজন শিক্ষকের কাছ থেকেই গ্রহণ করে। শিক্ষক যদি বিভিন্ন পরিবেশে এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তাহলে শিশুরাও তাদের নিজেদের ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারে বা পারতে শেখে।

নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করা

নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায়। বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এবং প্রতিটি শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। আমরা পার্থিব জীবনে যে কাজই করি না কেন সেটা নিয়মিত না হলে খুব একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। যেহেতু শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর সেজন্য ব্যক্তি সমাজ আদর্শ পরিবার দেশ গঠনে শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম।

শুধু বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনায় না বর্তমান যুগ। তথ্য প্রযুক্তির যুগ এই চিন্তা মাথায় রেখে আমরা মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের জ্ঞান ভান্ডার কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারছি। পেপার পত্রিকা মিডিয়া তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করে থাকি।

পেশাগত শিক্ষা কি 

শিক্ষার কোন বয়স নেই। কথায় আছে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করো। শিক্ষকরাই আমাদের অন্ধকার সমাজকে আলোকিত করে। জ্ঞান অর্জন ছাড়া কোন জাতি উন্নতি সাধন করতে পারেনা। আমাদের পৃথিবীতে অনেক ধরনের পেশা রয়েছে। এই পেশা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা করা।

সকল শিশুর জ্ঞান অর্জনের চাহিদা পূরণের একটি টেকসই মাধ্যম হচ্ছে একীভূত শিক্ষা গ্রহণ করা।একীভূত শিক্ষা হচ্ছে এমন একটি শিক্ষা যা নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই যেকোনো শিশুই এ শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

প্রিয় পাঠক আশা করি সম্পূর্ন পোস্ট টি পড়ে শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা অর্জনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আমাদের এই পোষ্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার মতামত বা আরো কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। 23261


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url