ইতিকাফ করা কি ফরজ - ইতিকাফ কিভাবে করে
ইতিকাফ করা কি ফরজ? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলে ইতিকাফ করা কি ফরজ? বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইতিকাফ করা কি ফরজ? জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ইতিকাফ করা কি ফরজ? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ইতিকাফ করা কি ফরজ? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ইতিকাফ করা কি ফরজ - ইতিকাফ কিভাবে করে
ইতিকাফ করা কি ফরজ - ইতিকাফ কিভাবে করেঃ ভূমিকা
আমরা জানি যে ইতিকাফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। পৃথিবীর সকল ধরনের চিন্তাগুলোকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার এবাদতে মশগুল থাকার জন্য ইতিকাফ করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে ইতিকাফ করা কি ফরজ? ইতিকাফ কিভাবে করে? ইতিকাফ করার নিয়ম, ইতিকাফে করণীয়, ইতিকাফ কয়দিন এবং ইতিকাফ কখন থেকে শুরু? এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইতিকাফ করা কি ফরজ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানতে চায় ইতিকাফ করা কি ফরজ? কারণ ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই আমাদের মধ্যে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় ইতিকাফ করা কি ফরজ? সাধারণত আজকে এখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব।
ইতিকাফ সাধারণত তিন ধরনের সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
ওয়াজিব ইতিকাফঃ মানতের ইতিকাফ সাধারণত ওয়াজিব ইতিকাফ হয়ে থাকে। কেউ যদি মানত করে আমার একটি কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হলে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ ইতেকাফ করব। তাহলে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পরে ইতিকাফ করা তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যাবে। তবে ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখার কোন বিধান নেই। রোজা ছাড়াই ইতিকাফ করা যাবে।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাঃ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এটি কাফ হল মাহে রমজানের শেষ দশকে যে ইতিকাফ পালন করা হয় তাকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ বলে। এটি মহল্লা বাসের পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন ব্যক্তি হলেও আদায় করতে হবে। না হলে গ্রামবাসীর সকলেই গুনাহগার হয়ে যাবে।
মুস্তাহাব বা নফলঃ মুস্তাহাব ইতিকাফ হলো কিছুক্ষণের জন্য ইতিকাফের নিয়ত করে মসজিদে অবস্থান করা। এটা অত্যন্ত বরকতময় এবং সওয়াবের কাজ। স্বাভাবিকভাবে সবাই মসজিদে প্রবেশ করার সময় ইতিকাফের নিয়োগ করলে ইতিকাফ আদায় হয়ে যাবে।
ইতিকাফ কিভাবে করে - ইতিকাফ করার নিয়ম
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা প্রথমবার ইতিকাফ করতে চাই সাধারণত তাই ইতিকাফ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকে। আবার অনেকেই গুগলে প্রশ্ন করে ইতিকাফ কিভাবে করে? এ বিষয়টি জানার জন্য। আমরা এখন ইতিকাফ কিভাবে করে এবং ইতিকাফ করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত ইবাদত। রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ শব্দটি বেশি শোনা যায় কারণ এটি হল আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত। এই ইতেকাফকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলা হয়। অর্থাৎ পুরো গ্রামবাসীর মধ্যে একজনকে হলেও ইতিকাফ পালন করতে হয়।
রমজানের শেষ দশকে অর্থাৎ ২০ রমজান সূর্য অস্তের পর থেকে ঈদের চাঁদ দেখা অর্থাৎ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া পর্যন্ত ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। ১০ দিনের কম যেকোনো পরিমাণ সময় ইতিকাফ করা নফল ইতিকা হিসেবে গণ্য হবে। ইতিকাফ এর জন্য রোজার শর্ত কিন্তু একদিনের কম হলে তার জন্য রোজা রাখার শর্ত নেয়।
ইতিকাফ সহিহ হওয়ার শর্ত হলো মুসলমান হওয়া, জ্ঞান বান হওয়া, হায়িজ ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া। এটি কাফের অবস্থায় নেকের কথা ছাড়া অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। এছাড়া রমজান মাসের ২০ তারিখ আসরের নামাজের পর হতে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। ২৯ অথবা ৩০ তারিখ শাওয়ালের চাঁদ দেখার পর মাগরিবের পূর্বে ইতিকাফ শেষ করতে হয়।
ইতিকাফে করণীয়
প্রিয় বন্ধুরা ইতিকাফে করণীয় গুলো আমাদের অবশ্যই জেনে থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা প্রথমবার ইতিকাফ করে। যার ফলে তাদের ইতিকাফে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকে না তাই বিভিন্ন রকমের ভুল করে থাকে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ইতিকাফে করণীয় গুলো আলোচনা করব। আশা করি আপনি ইতিকাফে করণীয় গুলো জানতে পারবেন।
- বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে।
- কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে
- মসজিদে থেকে নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে।
- আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে হবে সব সময়।
- আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে এবং ধর্মীয় গ্রন্থ অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে
ইতিকাফ কয়দিন
ইতিকাফ কয়দিন এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। বিশেষ করে যারা এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা কম রাখে সাধারনত তারাই ইতিকাফ কয়দিন? এ ধরনের প্রশ্ন বেশি করে থাকে। আপনারা যারা ইতিকাফ কয়দিন জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে এখন ইতিকাফ কয়দিন? এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব ইতিমধ্যে উপরের আলোচনায় আমরা ইতিকাফ করা কি ফরজ? এ বিষয়টি জেনে এসেছি।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইথিকা হল সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ। যা সাধারণত বিশ রমজান এর সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা অর্থাৎ ১০ দিন মসজিদে অবস্থান করতে হয়। অর্থাৎ ১০ দিন ইতিকাফ করতে হয়।
ইতিকাফ কখন থেকে শুরু
ইতিকাফ কখন থেকে শুরু? এ বিষয়ে অনেকেই জানেনা। সাধারণত তাই আমাদের ইতিকাফে বিভিন্ন রকমের ভুল হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলের যেহেতু আমরা ইতিকাফ করা কি ফরজ? এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি সেহেতু ইতিকাফ কখন থেকে শুরু? এ বিষয়টি জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলুন ইতিকাফ কখন থেকে শুরু? বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে যে ইতিকাফ করতে হয় তাকে বলা হয়। ২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্তেই মসজিদে প্রবেশ করতে হয় এবং বিনা কোন প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হতে হয় না। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে ২০ রমজানের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই মসজিদে প্রবেশ করতে হয়।
ইতিকাফ করা কি ফরজ - ইতিকাফ কিভাবে করেঃ উপসংহার
ইতিকাফ কখন থেকে শুরু? ইতিকাফ কয়দিন? ইতিকাফে করণীয়, ইতিকাফ করা কি ফরজ? ইতিকাফ কিভাবে করে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা সত্যি অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬