রুক্ষ চুলের যত্ন - রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? এই পোস্টে রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন। তাহলে রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

এছাড়াও আরো জানতে পারবেন রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক ও রুক্ষ চুলের শ্যাম্পু এবং শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন ঔষধ সম্পর্কে। পাশাপাশি ছেলেদের রুক্ষ চুলের যত্ন ও ড্রাই চুলের যত্ন নিয়েও আলোচনা করা হবে। যারা রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন আর দেরি না করে রুক্ষ চুলের যত্ন ও রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত পোস্টটি শুরু করি।

সূচিপত্র: রুক্ষ চুলের যত্ন - রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায়

রুক্ষ চুলের যত্ন - ছেলেদের রুক্ষ চুলের যত্ন

মানুষের অর্ধেক সৌন্দর্য তার চুলে। কিন্তু সে চুলই যদি দেখতে ভালো না লাগে বা রুক্ষ সুক্ষ হয় তাহলে কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই দেখতে খারাপ লাগবে৷ আমাদের মধ্যে অনেকেই চুলের প্রতি অধিক যত্নবান হয়। আবার অনেকে তার বিপরীত। বিশেষ করে ছেলেরা নিজের চুলের প্রতি যত্নবান হন। কেননা একজন ছেলের স্মার্টনেস তার চুলেই অনেকটা নির্ভর করে। রুক্ষ চুলের যত্ন কিভাবে নেয় সে সম্পর্কে অনেকেঔ জানেন না। বিশেষ করে ছেলেদের রুক্ষ চুলের যত্ন সম্পর্কে বেশিরভাগ ছেলেই অবগত নয়। এই পাঠে আমরা ছেলেদের রুক্ষ চুলের যত্ন সম্পর্কে আলোকপাত করবো। চলুন দেখে নিই রুক্ষ চুলের যত্ন গুলো।

পানিঃ যখন শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র থাকে না সাধারণত তখনই আমাদের চুলের ডগা ফেটে যায়। এর থেকে চুল রুক্ষ সুক্ষ হয়ে যায়। চুল গঠন করার জন্য আমাদের চার ভাগের এক ভাগই পানির প্রয়োজন হয়। আর এই পানির অভাবে চুলের রুক্ষতা আসে। তাই এই রুক্ষতা থেকে মুক্তি পেতে একজন ছেলের বা মেয়ের দৈনিক আট থেকে নয় গ্লাস পানি পান করার দরকার। 

ডিম ও অলিভ অয়েলঃ চুলের রুক্ষতা দূর করতে ডিম ও অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী উপাদান। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে তৈরি প্যাক চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ১/৪ কাপ অলিভ অয়েল এর সাথে ১ টি ডিম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার সে পেস্ট চুলে ভালো ভবে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

নারিকেল তেলঃ রুক্ষ সুক্ষ চুলের যত্ন নিতে নারিকেল তেল এর কোনো বিকল্প নেই। পরিমাণ মতো নারিকেল তেলের সাথে অল্প ক্যাস্টল অয়েল মিশিয়ে চুলের আগাতে লাগান। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটির কোনো জুড়ি নেই। অ্যালোভেরা জেল এর সাথে একটু মধু মিশিয়ে সে উপাদান টি মাথায় লাগান কয়েক দিন ধরে। এভাবে কিছু দিন লাগানোর পরে চুলের রুক্ষতা দূর হবে ইনশাআল্লাহ। এই পদ্ধতিটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি। 

উপরে দেওয়া পন্থা গুলো অবলম্বন করে আপনি এ সমস্যা হতে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া অনেকে রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় খুঁজে। যারা রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় জানতে চান তারা নিচের পাঠটি অনুসরণ করুন। তাহলে রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় 

আপনি কি রুক্ষ চুল নিয়ে চিন্তিত? রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় খুঁজছেন? এই পাঠে আমরা রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। যারা রুক্ষ চুলের সমস্যায় জর্জরিত তাদের জন্য এই পাঠটি গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন দেখে নিই রুক্ষ চুল মসৃণ করার উপায় গুলো।

  • কলাঃ চুলকে মসৃণ করতে কলা একটি অভিনব উপাদান। একটা পাকা কলার সাথে কয়েক চামচ মধু ও নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। সে প্যাকটি চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর ভালো ভাবে কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে চুল মসৃণ হয়ে ওঠবে।
  • মেয়ানেজঃ মেয়ানেজ সাধারণত আমাদের সবার ফ্রিজেই থাকে। এই উপাদানটির সাথে একটি ডিম ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলে লাগান কয়েক দিন পর পর। লাগানোর ৩০ মিনুট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে কয়েকদিন পর চুল মসৃণ হয়ে উঠবে।
  • লেবুর রসঃ হালকা গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই উপাদান মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন কন্ডিশনার বা শ্যাম্পু দিয়ে। এটি শুধু চুলকে মসৃণই করবে না। চুলের খুশকি থাকলে সেটিও দূর করবে।
  • ভিনেগারঃ চুলে শ্যাম্পু করার পরে সে শ্যাম্পু অবস্থায় আধা কাপ ভিনেগার সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে সে পানি মাথায় লাগান। এর কিছুক্ষণ পর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে চুল মসৃণ দেখাবে। 
এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে নিয়মানুসারে, তাহলে রুক্ষ চুল কে মসৃণ করে তুলতে পারবেন অতি অল্প দুনের মধ্যেই। নিশ্চয়ই উপরের দেখানো নিয়ম গুলো বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক ও রুক্ষ চুলের শ্যাম্পু এবং শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টের সাথে থাকুন। 

রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক

আমরা চুল নিয়ে বেশি যে কারণে ভোগান্তির মধ্যে থাকি সেটা হলো রুক্ষ চুল। রুক্ষ চুল আমাদের টেনশন যেন দিন দিন বাড়িয়ে তুলে। তাই এই সমস্যা হতে বাঁচতে আমরা রুক্ষ চুলের হেয়ার প্যাক সম্পর্কে জেনে নিবো। যাতে চিরতরে রুক্ষ চুলকে বিদায় জানাতে পারি। 

টক দই, কলা ও তেলঃ প্রথমে ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ টক দই নিন, এরপরে একটা পাকা কলাকে গ্রেট করে নিন, সর্বশেষে এক টেবল চামচ হেয়াল অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি চুলে ভালো ভাবে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। চুলে দেওয়ার এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুল অনেকটা দেখতে মসৃণ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।

অ্যালোভেরা, নারিকেল তেল ও মধুঃ দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল নিন এবং এক চা চামচ মধু নিন এবং সর্বশেষে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরার শাঁস নিন। এরপরে উপাদান গুলো ভালো ভাবে মিশ্রণ করুন। তারপরে চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তার পরে কন্ডিশনার বা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই নিয়মে কয়েক দিন ব্যবহার করলে ফলাফল আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।

রুক্ষ চুলের শ্যাম্পু - শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন

রুক্ষ চুলের জন্য আমরা বেশিরভাগ যে পদ্ধতি অবলম্বন করি সেটি হলো নিয়মিত শ্যাম্পু। রুক্ষ চুলের শ্যাম্পু ও শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। যাদের চুল  তেলতেল তারা "বটানিক ডিটক্স এন্ড রেস্টোর শ্যাম্পু" ব্যবহার করতে পারেন। আর যাদের চুল শুষ্ক তাদের জন্য "ডাভ ড্রাইনেস কেয়ার শ্যাম্পু" টি অধিক ভালো হবে। আবার অনেকের চুল পাতলা। পাতলা চুলের জন্য "বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ন্যাচারাল কোকোনাট ওয়াটার অ্যান্ড মিমোসা ভল্যুম শ্যাম্পু" টি ব্যবহার করুন। তবে সপ্তাহে ২ বারের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়। 

আর শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুতে হবে৷ যাদের ঠান্ডা লেগেছে তারা প্রয়োজনে কুসুম ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। আর শ্যাম্পু করার পর চুল পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছুন। তবে বেশি ঘষাঘষি করবেন না। চুলকে আরো মসৃণ করতে চাইলে চুলে সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি চুলে শ্যাম্পু করার পর চুল কখনো বাধা যাবে না৷ চুলকে কিছুক্ষণ খোলা রাখুন। 

ড্রাই চুলের যত্ন

আপনি কি ড্রাই চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন তা নিয়ে চিন্তিত? চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরা এই পাঠে ড্রাই চুলের যত্ন সম্পর্কে ধারণা পাবো। চলুন দেখে নিই সেসব পদ্ধতি গুলো।

ডিম, মেয়ানেজ ও অলিভ অয়েলঃ একটি ডিম ও অল্প অলিভ অয়েল এর সাথে কিছুটা মেয়ানেজ নিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট করুন। সে উপাদান চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে৷ এভাবে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।

দই, অলিভ অয়েল ও ডিমঃ এক চা চমচ দই এর সাথে ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। এর সাথে একটি ডিম নিয়ে ভালো ভাবে মিশান। তারপরে সে পেস্ট ভালো ভাবে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েক দিন পর পর ব্যবহার করুন। ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন। 

আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url