মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল - অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। যা হলো মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। যা আপনাদের সকলেরই জানা জরুরী। আমাদের ইন্টারনেটের দুনিয়ায় মোবাইল ফোন তথ্য যোগাযোগের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে চলেছে। 

কিন্তু মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল বয়ে আনতে পারে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল - অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল - অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকঃ ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আমরা জানি যে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে মোবাইল এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা আমাদের বিভিন্ন কাজে মোবাইল ব্যবহার করে থাকি কিন্তু মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল রয়েছে। আজকে আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব এছাড়া মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সংলাপ, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার, মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার ছাড়াও ছাত্র জীবনে মোবাইল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল - মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সংলাপ 

বর্তমান যুগে তারবিহীন একটি যন্ত্র মোবাইল ফোন। ফোনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার কাজগুলো সমাধান করতে পারেন। এবং দূর দূরান্ত থেকে সংবাদপত্র থেকেও মোবাইলের জুড়ি মেরা ভার। মোবাইল শুধু সুফলী বয়ে আনে না এর কিছু কুফল ও আছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানব।

তাহলে আসুন মোবাইল ফোনের সুফলগুলো আগে জেনে নিন।

১। বাড়ির আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকি।

২। যেকোনো অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করা যায়।

৩। গান শুনতেও মোবাইল ফোনের ব্যবহার হয়ে থাকে।

৪। রাস্তা ভুলে গেছেন তাহলে আপনি মোবাইল সার্চ করে রোডম্যাপ জেনে আপনার সঠিক রাস্তাটি জেনে নিতে পারেন।

৫। আমরা অনেক সময় আজ কত তারিখ তা ভুলে যেয়ে থাকি, তাই জলদি পথে কত তারিখ বা কয়টা বাজে সেটি জানা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অতি সহজ।

৬। আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৭। অনেক সময় আমাদের শরীর খারাপ হলে অফিসের কাজগুলো করতে পারিনা তাই ঘরে বসেই আপনার অফিসের কাজগুলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারা সম্ভব।

৮। আপনি প্রতিদিনের খবর জানতে আর খবরের কাগজ না পড়েই আপনার স্মার্টফোন ফোনের মাধ্যমেই পৃথিবীর বিভিন্ন খবর সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৯। আপনি যদি চাকরির এপ্লাই করতে চান তাহলে অফিসে না গিয়েও নিশ্চিন্তে এই ফোনের মাধ্যমে তা করা সম্ভব।

১০। এছাড়াও মোবাইলে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান এবং ইমেইল পাঠানো কাজগুলো সম্ভব।

এবার চলুন তাহলে মোবাইল ব্যবহারের কুফল গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

১। অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে অনেকেরই চোখে চশমা উঠেছে।

২। প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ কেন জানেন? কারণ মোবাইলে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে মানুষ বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছে যার ফলে প্রকৃতির আবহাওয়া থেকে তাদের শরীরকে বঞ্চিত রাখছে। যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

৩। মোবাইল এ নানান রকমের নোংরা ভিডিও মানুষ কে বিপথগামী করে তুলেছে।

৪। বাচ্চারাও মোবাইলে এডিক্টেড হয়ে থাকে অনেক সময় বাচ্চারা গোলমাল করলে, বড়রা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে বাচ্চাদের ব্যাস্ত রাখে। এইরকম দিনের পর দিন করতে থাকলে বাচ্চারাও মোবাইলে এডিক্টেড হয়ে যেতে পারে। যার ফলে তাদের দৃষ্টিশক্তি ব্যহত হতে পারে।

৫। অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার অনেক রোগের জন্ম দিয়ে থাকে , বিশেষ করে টিউমার এর মতো রোগ। যদিও এই নিয়ে অনেক রিসার্চ এখনো চলছে।

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক - মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার 

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকে। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এখন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন বন্ধুরা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার অর্থাৎ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ঘাড় ব্যথা - দীর্ঘ সময় ধরে মাথা ঝুঁকিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে গেম আসক্ত যার ফলে তাদের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময় ধরে। অনেকক্ষণ মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে - গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘ সময় ধরে চোখের খুব কাছে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে মানুষের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে। বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত পরিমাণে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ফলে আমাদের অনেকক্ষণ স্ক্রিনের দিকে দৃষ্টি রাখতে হয় যার ফলে চোখের জ্যোতি কমে যেতে পারে।

কানে কম শোনার সমস্যা হতে পারে - মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলা এবং উচ্চস্বরে গান শোনা এছাড়া ইয়ার ফোনের মাধ্যমে গান শোনার ফলে কানের শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে। বর্তমানে যুবক-যুবতীদের শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার হার সবথেকে বেশি।

শুক্রাণু কমে যাওয়া - মোবাইলের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে এবং পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে এমনটা করেছে একদল গবেষক। ফোন ব্যবহারের পর প্যান্টের পকেট এ আজ আমার সাইডে রেখে দেওয়ার সময় মোবাইলে যথেষ্ট উত্তাপ থাকার ফলে অন্ডকোষের চারদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হয় যার ফলে শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া - দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীরা খিটখিটে হয়ে যায়। একই সাথে অতিরিক্ত অমনোযোগিতা বৃদ্ধি পায় সাধারণ ব্যবহারকারী সহজে এসমস্যার উপলব্ধি করতে পারে না।

চিন্তা শক্তি কমে যাওয়া - মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের চিন্তা শক্তি কমে যায়। সৃজনশীল মেধা কমে যাওয়ার ফলে কোন কিছুর উদ্বোধনী ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। মোবাইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার উপর মনোযোগ উঠে যায়।

মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার

ছোট্ট একটি পদার্থ হল ফোন। যার মাধ্যমে আমাদের তথ্য আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট কাজগুলো হয়ে থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আপনাদের সামনে ইতিমধ্যেই কিছু তুলে ধরেছি। আপনার অনেকে আছেন যারা মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতেন না। চলুন তাহলে আমরা মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানব।

চার্জের সময় কথা না বলা

আমাদের অনেককেই দেখা যায় মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলতে থাকি। আবার অনেকেই চার্জারের লাইন মোবাইল ফোন লাগিয়ে দারিয়ে দারিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতে থাকি। এটি মোটেও উচিত নয়। মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের অন্যতম কারন এটি।

কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনটিকে বাম কানে ধরুন  

আমাদের মস্তিস্ক অনেক স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। বিজ্ঞানিরা বিভন্ন গবেষণার কারনে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য ডান কান ব্যবহার করতে মানা করেছেন।

অবেবহারিত আপ্পস আনইন্সটল করে দিন 

 আজ কাল মোবাইল ফোনের আপ্পস ধারন ক্ষমতা অনেক বেশি। আমরা সবাই ইচ্ছা মত আপ্পস ইন্সটল করে রাখি মোবাইলে। যার মধ্যে কিছু কিছু দরকারি বাকি গুলো বিনাকারনেই রাখি। এতে করে আপনার ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এই কাজ থেকে বিরত থাকুন।

মোবাইলের সিগন্যাল বারে হাত না রাখা 

 আমরা অনেকেই কথা বলার সময় অভ্যাস গত কারনে একটা আঙ্গুল সিগন্যাল বারের উপরে রাখি। সাধারনত মোবাইল ফোনগুলোর পিছনের দিকে উপরের অংশে সিগন্যালবার অবস্থান করে। আমরা কথা বলার সময় ওই অংশে আঙ্গুল রাখা আমাদের সিগন্যালবার কে ক্রমশ দুর্বল করে তুলে।

ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা 

স্মার্ট ফোন গুলোতে আমরা আজ কাল যেনতেন ভাবে আপ্পস ইন্সটল করে থাকি। যা অনেক সময় প্রচুর পরিমানে malware তৈরি করে। টাই আমাদের উচিত ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা যা শুধু ভাইরাসের জন্য নয়, আমাদের মোবাইল ফোনকে সব রকম প্রযুক্তিগত দিক থেকে রক্ষা করবে।

অতিরিক্ত চার্জ না দেওয়া 

মোবাইল ফোনের ব্যাপারে এই মোবাইল টিপসটি অনেক পুরানো। আমরা অনেকেই ফোনের চার্জ ফুল হয়ে যাওয়ার পরেও অতিরিক্ত চার্জের আসাতে সেটি চার্জে লাগিয়ে রাখি। যেটি মোটেও ফলপ্রসু হয় না। উল্টা ব্যাটারির জীবনকাল শেষ করার জন্য এই একটি কাজই যথেষ্ট।

ছাত্র জীবনে মোবাইল

আমরা জানি যে মোবাইলফোন বর্তমান সময়ে সবথেকে ব্যবহৃত ডিভাইস। আমরা দৈনন্দিন কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের জীবন অচল বললেই চলে। ছাত্র জীবনে মোবাইল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে। উপরের আলোচনা গুলোতে আমরা মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে জেনে এসেছি এখন ছাত্র জীবনে মোবাইল সম্পর্কে আলোচনা করব।

বর্তমান সময়ে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সময় সবকিছু অনলাইন হয়ে গিয়েছে তাই মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম নোট বের করা যায় সহজেই। আমরা জানি যে সবথেকে বড় তথ্যভান্ডার হলো গুগোল। কোন কিছু না জানলে অথবা ভুলে গেলে অল্প সময়ের মধ্যে গুগলে সার্চ করলেই তা পাওয়া যায়।

অনেক সময় আমাদের ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্লাস করার প্রয়োজন হয়। কাছে যদি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা ঘরে বসেই ভিডিও কলের মাধ্যমে ক্লাস করে নিতে পারি। সে ক্ষেত্রে ছাত্র জীবনে মোবাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান সময়ে ছাত্র জীবনে মোবাইল খারাপ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মোবাইল এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীগণ বিভিন্ন রকম নকল পেয়ে যাচ্ছে যার ফলে তাদের পড়াশোনার মনোযোগ উঠে যাচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকম খারাপ জিনিস আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল - অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকঃ উপসংহার

মোবাইল ব্যবহারের সুফল ও কুফল, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক, ছাত্র জীবনে মোবাইল, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার, সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারাও বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url