রেজিস্টর এর কাজ কি - রেজিস্টর এর প্রকারভেদ
আপনি কি জানেন? রেজিস্টর কি বা রেজিস্টর এর কাজ কি বা রেজিস্টর এর প্রকারভেদ সম্পর্কে? আপনি যদি রেজিস্টর এর কাজ কি, রেজিস্টর এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উক্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। রেজিস্টর এর কাজ কি আর্টিকেলটিতে আপনি রেজিস্টর সম্পর্কে জানতে পারবেন।
রেজিস্টর এর কাজ হচ্ছে একটি বিদ্যুৎ প্রবাহিত শক্তিকে বাঁধা প্রদান করা অর্থাৎ ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এর কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রদান করা। যাহোক আমরা রেজিস্টর সম্পর্কে উক্ত আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব। রেজিস্টর সম্পর্কে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর উন্মোচন করব ইনশাল্লাহ।
পোস্ট সূচিপত্র : রেজিস্টর এর কাজ কি - রেজিস্টর এর প্রকারভেদ
- রেজিস্টর কি
- রেজিস্টর এর প্রকারভেদ
- রেজিস্টর এর ব্যবহার
- রেজিস্টর এর কালার কি
- রেজিস্টর এর কালার কোড
- রেজিস্টর কোড মনে রাখার উপায়
- রেজিস্টরের মান কিভাবে নির্ণয় করবেন
- রেজিস্টর এর একক কি
রেজিস্টর কি
রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটিতে আমরা প্রথমেই জানবো রেজিস্টর কি বা রেজিস্টর কাকে বলে। রেজিস্টর সাধারণত ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এ যে ধরনের পার্টস ব্যবহৃত হয় এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় রেজিস্টর। রেজিস্টর এর রোধকে R দিয়ে সার্কিট ডায়াগ্রাম প্রকাশ ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত রেজিস্ট্রারের কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করা। বিদ্যুৎ প্রবাহের কতটুকু বাধা সৃষ্টি করবে সেটা নির্ভর করে রেজিস্টর এর মানের উপর। রেজিস্টরের মান বোঝার জন্য এর গায়ে বিভিন্ন রকমের কালার কোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মানের একক হচ্ছে ওহম।
রেজিস্টর এর প্রকারভেদ
রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা আলোচনা করব রেজিস্টর এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। আমরা অনেকে রেজিস্টর এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানি না। কম্পিউটারে ব্যবহৃত রেজিস্টর এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করব। কম্পিউটারে ব্যবহৃত রেজিস্টর কে সাধারণত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়।যেমন সাধারণ রেজিস্টর এবং বিশেষ রেজিস্টর।
সাধারণ রেজিস্টর
প্রোগ্রাম বিবাহের সময় ডাটা এবং তাৎক্ষণিক ফলাফল সাধারণ রেজিস্ট্রারের জমা হয়ে থাকে। সাধারণ রেজিস্টরে তথ্য বিনিময়ের গতি প্রধান মেমোরির থেকে অনেক বেশি তাই সাধারন রেজিস্টর এর সংখ্যা বেশি থাকলে প্রক্রিয়াকরণের কাজ টি দ্রুত হয়ে থাকে। একটি সাধারন রেজিস্টরকে কখনো গণক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার কখনো কখনো প্রয়োজনে মেমোরি স্থানের ঠিকানা বা তথ্য রেজিস্টর হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
বিশেষ রেজিস্টর
কিছু কিছু রেজিস্টর রয়েছে যেগুলো রেজিস্ট্রারকে মাইক্রোপ্রসেসর নিজে ব্যবহার করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । অর্থাৎ শুধুমাত্র প্রসেসর এর নির্দেশে নির্দেশিত কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে পারে না। এ জাতীয় রেজিস্টরকেই বিশেষ রেজিস্ট্রার বলে। এই দুই ধরনের রেজিস্টর ছাড়াও আরো অনেক ধরনের রেজিস্টর রয়েছে যেমন প্রোগ্রাম কাউন্টার রেজিস্টর,মেমোরি এড্রেস রেজিস্টর, মেমোরি ডাটা রেজিস্টর, ফ্লাগ রেজিস্টর, ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টর ইত্যাদি।
রেজিস্টর এর ব্যবহার
আমরা অনেকেই রেজিস্টর এর ব্যবহার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটিতে এবারে জানবো রেজিস্টর এর ব্যবহার সম্পর্কে। নানাভাবে রেজিস্টর এর ব্যবহার করা হয়। যেমন
- রেজিস্টর হচ্ছে প্রথম মেমোরি ডিভাইস যেটা সিপিইউ এর অভ্যন্তরে থেকে থাকে । এতে যতক্ষণ সার্কিটের পাওয়ার থাকে ততক্ষণ অস্থায়ীভাবে ডাটাগুলো সঞ্চিত হতে থাকে।
- রেজিস্টর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ক্যাশ মেমোরি হিসেবে।
- কিবোর্ড বাফার এবং বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার এর কাজে রেজিস্টর ব্যবহৃত হয়।
- বিভিন্ন প্রকার লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর নির্দেশ দিয়ে রেজিস্টরে তথ্য-উপাত্ত সঞ্চিত রাখা যায়।
- ডিজিটাল ঘড়ি ক্যালকুলেটর এর ব্যবহার করা হয়।
রেজিস্টর এর কালার কি
রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো রেজিস্টর এর কালার কি। রেজিস্টর হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্সে ব্যবহৃত একটি কম্পনেন্ট ক্ষমতা এবং কাজের ধরন অনুযায়ী রেজিস্টরের মান এবং সাইজ ভিন্ন হয়ে থাকে। কখনো কখনো রেজিস্টর এর সাইজ এত ছোট হয় যে এর গায়ে লিখা সম্ভব নয় তখন কালার কোডের মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে রেজিস্টরের মান প্রকাশ করা হয়। রেজিস্টর এর কোন নির্দিষ্ট কালার নেই। রেজিস্টরের বিভিন্ন ধরনের কালার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন কালারের মান রয়েছে যা হিসাব করে রেজিস্টরের মান প্রকাশ করা হয়।
রেজিস্টর এর কালার কোড
আমরা অনেকেই রেজিস্টরের কালার কোড সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা। রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেল টিতে রেজিস্টর কালার কোড সম্পর্কে জেনে নিব। রেজিস্টরে বিভিন্ন রকমের কালার ব্যবহার করা হয়। আপনি কালার দেখে রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে পারবেন। আমরা এখন রেজিস্টরের কালার কোড গুলো জেনে নিব
- কালো (BLACK) কোড ০
- বাদামি (BROWN) কোড ১
- লাল (RED) কোড ২
- কমলা (ORANGE) কোড ৩
- হলুদ (YELLOW) কোড ৪
- সবুজ (GREEN) কোড ৫
- নীল (BLUE) কোড ৬
- বেগুনী (VIOLET) কোড ৭
- ধূসর (GREY) কোড ৮
- সাদা (WHITE) কোড ৭
টলারেন্স কালার
- সোনালি (GOLDEN) ৫%
- রুপালী (SILVER) ১০%
- নো কালার (NO COLOUR) ২০%
রেজিস্টর কোড মনে রাখার উপায়
রেজিস্টরের মান কিভাবে নির্ণয় করবেন
রেজিস্টর এর একক কি
রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ অ্যাটিকেলটিতে এবারে জানবো রেজিস্টর এর একক কি। আমরা অনেকেই রেজিস্টর এর একক কি জানিনা। আর্টিকেলটিতে জানব রেজিস্টর এর একক সম্বন্ধে। প্রায় সকল রেজিস্টর গুলি দেখতে একই হলেও এদের মান কিন্তু আলাদা আলাদা হয়। মান বলতে এখানে কোন রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্ট কেমন সেটা কে বোঝানো হচ্ছে।
রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের একক হচ্ছে ওহম। এবং 1000 ওহম কে বলা হয় এক কিলো ওহম। কাজের ধরন এবং সার্কিট অনুযায়ী আমাদের একেক সময় একেক রকমের রেজিস্ট্রারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। রেজিস্টর গুলো দেখতে প্রায় একই রকম হয় তেমন কোন পার্থক্য বোঝা যায় না। কোন রেজিস্টর রেজিস্ট্যান্স কত কারণ রেজিস্টর গুলো এত বেশি ছোট হয়ে থাকে যে এদের গায়ে এর ভ্যালু লেখা সম্ভব নয়। এর পরিবর্তে রেজিস্টর রেজিস্ট্যান্স প্রকাশ করার জন্য কতগুলো বিশেষ কালার কোড ব্যবহার করা হয়। আর এই কালার কোড দেখেই রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটি পড়ে রেজিস্টর সম্পর্কে সকল ইনফরমেশন পেয়ে গেছেন। আর্টিকেলটিতে আপনার রেজিস্টর সম্পর্কিত সকল জিজ্ঞাসার অবসান করতে পেরেছি বলে মনে করি। রেজিস্টর এর কাজ কি ও রেজিস্টর এর প্রকারভেদ আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এ ধরনের আরও তথ্য মুলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে খোঁজ করতে পারেন। তাহলে আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন। ২৩২৬১