শিম পাতার উপকারিতা - শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পোস্টটি পড়ুন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন শিমের অপকারিতা ও শিম গাছের পরিচর্যা ও শিমের বিচির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তো যারা শিম পাতার উপকারিতা এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ অন্যান্য বিষয়ে ধারণা পেতে চান তাদের জন্য আর্টিকেলটি হেল্পফুল হবে। এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা খুব সহজেই ধারণা পাবেন শিম পাতার উপকারিতা এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ অন্যান্য বিষয়ে।
সূচিপত্র: শিম পাতার উপকারিতা - শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
- শিম পাতার উপকারিতা
- শিমের অপকারিতা
- শিমের বিচির পুষ্টিগুণ
- শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
- শিম গাছের পরিচর্যা
শিম পাতার উপকারিতা
শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম অন্যতম একটি সবজি। আমাদের কম বেশি সবারই চেনা শিম গাছের পাতা। শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি শিমের পাতার উপকারিতাও রয়েছে। কিন্তু আমরা শিম গাছের শিম কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও কেউ শিম গাছের পাতাকে কার্যকরী মনে করে না। আপনি হয়তো জানেন না শিমের পাশাপাশি শিম পাতার উপকারিতাও আছে৷ শিম পাতার উপকারিতা গুলো জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। এই পাঠে আমরা শিম পাতার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ধারণা পাবো। তাই শিম পাতার উপকারিতা গুলো জানতে পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাউদ দূর করতে শিম পাতার উপকারিতাঃ শরীরে দাউদ থাকলে শরীর অতিষ্ঠ হতে থাকে। অনেকে দাউদ সমস্যা হতে মুক্তি পেতে কতই না ঔষধ খেয়েছেন। কিন্তু কোনো ভাবেই দাউদ দূর হয় না। কিন্তু এই দাউদ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে শিম গাছের পাতা। আট থেকে দশটি পাতা নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে পিষিয়ে বা ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিন। তারপরে সে উপকরণ টি যেখানে যেখানে দাউদ রয়েছে সেখানে সেখামে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। এর পরে যখন শুকিয়ে আসবে তখন ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়ে সপ্তাহ ব্যবহার করলে দাউদ ইন শা আল্লাহ কমে আসবে।
চর্মরোগ দূর করতে শিম পাতার উপকারিতাঃ চর্মরোগ একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে বাঁচতে অনেকে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন। কিন্তু কোনো ভাবেই রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি জানলে অবাক হবেন চর্মরোগ দূর করতে শিম পাতা অত্যন্ত কার্যকরী। পরিষ্কার থেকে ১০ থেকে ১২ টি শিম গাছের পাতা নিন। সে পাতা গুলো পাটাতে পিষে বা ব্লেনকরে নিন। তার পরে রস গুলো পুরো শরীরে যেখানে যেখানে এ রোগ আছে সেখানে লাগান। এভাবে সাপ্তাহ খানেক ব্যবহার করলে এ সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ। শিম পাতার উপকারিতা হিসেবে এটি একটি কার্যকরী ফর্মুলা।
শিমের অপকারিতা
প্রত্যেক জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে, ঠিক তেমনি এর অপকারিতাও থাকে। শিমে উপকারিতার পাশাপাশি সামান্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই সবার শিমের অপকারিতা গুলি সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। শিমে রয়েছে অল্প পরিমাণে সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড। যা শুকনো শিমে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া অতিরিক্ত শিম খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব ও মাথা ব্যথা হতে পারে। তাছাড়া কারো কাছে শিম খাওয়ার ফলে মাইগ্রেন এর তীব্রতা বাড়তে পারে। আর এলার্জি থাকলে শিম খাওয়া কমিয়ে ফেলা উচিত। নিশ্চয়ই শিমের অপকারিতা গুলি বুঝতে পেরেছেন।
শিমের বিচির পুষ্টিগুণ
সবারই পছন্দের সবজির তালিকায় রয়েছে শিমের বিচি। আপনিও হয়তো তার মধ্যে একহন হতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন শিমের বিচির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে? শিমের মতে শিমের বিচির পুষ্টিগুণও রয়েছে। এতে রয়েছে উচ্চ মানের ফাইবার প্রোটিন। যেটি শরীর এর জন্য অত্যন্ত উপকারি। এনার্জি বৃদ্ধির জন্য এতে রয়েছে ২০ শতাংশ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া শিমে রয়েছে ভিটামনি ও আয়রন যা শরীরের শক্তি যোগায় ও ক্রোনিক রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে এতে থাকা ভিটামিন ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি শরীর এর ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে।
শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
শিমের বিচি শীতকালীন সবজি গুলোর মধ্যে পছন্দের তালিকায় অন্যতম। কম বেচি সবাই শিমের চেয়েও শিমের বিচি খেতে পছন্দ করে। অনেকর তো প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকায় সবজির মধ্যে শিমের বিচি না থাকলে চলেই না। তো যাদের শিমের বিচি পছন্দ তাদের কে জেনে রাখা উচিত শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তো যারা শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তারা আজকেই জেনে নিতে পারবেন শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো। শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে আপনি নিয়ম মতো তা খেতে পারবেন নির্ভয়ে।
শিমের বিচির উপকারিতাঃ শিমের বিচির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও আমিষ। সাধারণত ১০০ গ্রাম গরুর মাংসের মধ্যে আমিষ থাকে ২২.৬ গ্রাম। কিন্তু ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ থাকে ২৪.৯ গ্রাম। তার মানে বুঝতেই পারছেন এতে আমিষ এর পরিমাণ কেমন। আমাদের কম বেশি সবার আমিষের ঘাএতি থাকে শরীরে। তাই এই ঘাটতি পূরণ করতে শিমের বিচির কোনো জুড়ি নেই। আমিষের ঘাটতির ফলে কোয়াশিওরকরে রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ থেকে বেঁচে থাকতে শিমের বিচি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আবার অনেকে মাছ মাংস খায় না বিধায় তাদের মধ্যে আমিষের ঘাটতি থাকে।
ফলে তারা কাজ কর্মে দূর্বল হয়ে পড়ে। এ অভাবও মেটাতে সক্ষম শিমের বিচি। এছাড়াও শিমের বিচিতে অনেক পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের হাড় গুলোর ক্ষয়রোধ করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে খাদ্য আশঁ যা আমাদের খাদ্য কে হজম করাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। গর্ভধারণ অবস্থায় ব্যক্তি চাইলে এটি খেতে পারে। এতে শরীর ও সাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়। নিশ্চয়ই শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে এর উপকারিতা গুলো বুঝতে পেরেছেন। নিচে শিমের বিচির অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানবো।
শিমের বিচির অপকারিতাঃ শিম বিচির উপকারিতা থাকলেও এটি সবার জন্য উপকার বয়ে নাও আনতে পারে। তাই আপনার জন্য এটি ক্ষতিকর কিনা সেটা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। যাদের শিমের বিচি খেলে এলার্জি বেড়ে যায় তারা এর থেকে দূরে থাকুন। আবার অনেকের শিমের বিচি খেলে মাইগ্রেন এর ব্যথা বেড়ে যায়। তাই আপনার যদি এ সমস্যা টি থাকে তাহলে শিমের বিচি খাওয়া বন্ধ করুন৷ তাছাড়া অনেকের অতিরিক্ত শিমের বিচি খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এরা এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। নিশ্চয়ই ধারণা পেয়েছেন শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
শিম গাছের পরিচর্যা
সাধারণত বাজারে যেসব শিম পাওয়া যায় সেগুলো সম্পূর্ণ সাস্থ্য সম্মত নাও হতে পারে। ফলে অনেকে শিম গাছ নিজের বাড়িতেই রোপন করতে চায়। আর নিজস্ব শিম গাছের শিম খেতে আলাদা মজা। কিন্তু শিম গাছ রোপন করার কথা মাথায় আনলে একটা কথা মাথায় আসে যে কিভাবে শিম গাছের পরিচর্যা করে? শিম গাছের পরিচর্যা যেভাবে করবেন, শিমের চারা রোপন করে তার আশেপাশে প্রতিদিন আগাছা গুলো নিড়ানির সাহায্যে পরিষ্কার করবেন। তবে মাটি ঝুরঝুরে করে রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়া মাঝে মাঝে পানি দিন যদি দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি না হয়। এছাড়া সার হিসেবে ইউরিয়া ও এমওপি সার ব্যবহার করতে পারেন।
আজকের পোস্টে শিম ও শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801