পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে ও পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে আজকের এই আর্টিকেল এ আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে এবং পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে। পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে আপনি যদি ক্লিয়ারলি ধারণা পেতে চান আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এই আর্টিকেলটিতে খুব সহজ ভাবে আপনাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি পুলিশ কিভাবে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে, কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনারা জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে
- পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে
- পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে
- কেউ কল রেকর্ড করছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
- পুলিশ কিভাবে কল লিস্ট বের করে
- সিম বন্ধ থাকলে কি লোকেশন বের করা যায়
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে ও পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এই আর্টিকেলটিতে আমরা এবারে জানবো পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে। আমাদের বিভিন্ন সময়ে ফোন হারিয়ে ফেলি। দুশ্চিন্তায় পড়ে। যায় কিভাবে মোবাইল ব্যাক পাবো। পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে আজকে এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমরা সাধারনত এন্ড্রয়েড মোবাইল স্মার্ট ফোন হারিয়ে ফেলি। স্মার্ট ফোন ট্রাকিং করার জন্য ফোনে থাকা জিপিএস সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে থাকে। অপরাধী যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে আর তাতে যদি জিপিএস লাগানো থাকে তাহলে পুলিশের খুঁজে বের করতে অনেক সহজ হয়। যদি জিপিএস থাকে তাহলে সেল অপারেটরের সাথে যোগাযোগ না করেও লোকেশন খুজে বের করা সম্ভব।
পুলিশের কাছে কিছু সিস্টেম সেটআপ আছে যার মাধ্যমে ফোনের জিপিএস থেকে এক্সেস নিয়ে লোকেশন ট্র্যাক করতে পারে। বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে জিপিএস ট্র্যাকিং করে অপরাধীকে খুঁজে বের করে। বিভিন্ন বড় বড় দেশের কাছে সরাসরি স্যাটেলাইট এক্সেস থাকে ফলে তাঁরা সহজেই সেই স্যাটেলাইট থেকে সিগনাল গ্রহণ করে থাকে।
যার ফলে সকল তথ্য সহজে পেয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশের পুলিশ সাধারণত দুই ভাবে জিপিএস ট্র্যাকিং করে থাকে। যেমন প্রথমত, অপরাধীর ফোনটি যদি স্মার্ট হয় এবং সেইসাথে এন্ড্রয়েড ফোন যদি হয়ে থাকে তখন পুলিশ লগ ইন থাকা জিমেইল আইডিতে এক্সেস পাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। কারন গুগল ফোনের লোকেশন হিস্টরি সবকিছু সেভ করে রাখে। গুগোল এ ফোন ট্র্যাক করার অপশন রয়েছে। সেই কারণে গুগল একাউন্ট এর উপর কন্ট্রোল পেয়ে গেলেই ফোনটি ট্রাকিং করা খুব সহজ হয়ে যাবে।
গুগোল যদি অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোলে আনতে না পারে তবে আবার সেল অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। জিপিএস ওয়ালা প্রত্যেকটি ফোনের আরেকটি অপশন থাকে যেটার নাম জিপিএস নামে পরিচিত। মনে করুন আপনি যে জায়গায় রয়েছেন সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিপিএস স্যাটেলাইট নেই। সে কারণে আপনার লোকেশন নির্ভর করার জন্য আপনার ফোনের জিপিএস এর সাহায্য নিতে হয়।
মোবাইল অপারেটর আপনাকে এই সেবাটি প্রদান করে থাকে লোকেশন নির্ভুল করার জন্য। ফলে আপনার অপারেটরের কাছে আপনার লোকেশনের তথ্যটি থাকে। এছাড়াও আপনি যত বেশি লেটেস্ট সেলফোন টেকনোলজি ব্যবহার করবেন ততই দ্রুত গতিতে আপনাকে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনি যদি ফোর জি ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত এবং সঠিক লোকেশন পাওয়া সম্ভব।
পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে ও পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এই আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানবো পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে থাকে। পুলিশ সাধারণত IMEI নম্বর দিয়ে মোবাইল ট্র্যাক করে থাকে। এই নম্বরটি দিয়ে কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে থাকে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিন।
IMEI এর পূর্ণরূপ হচ্ছে International Mobile Equipment Identity। যেটি মোবাইল ট্র্যাক করার অন্যতম মাধ্যম। এটি প্রত্যেকটি ফোনেই থাকে যত ছোট ফোন ই হোক না কেন। আইফোন কিংবা নকিয়া ফোন যেটাই হোক না কেন। প্রতিটি ফোনেই IMEI নম্বর থাকে এবং প্রতিটি ফোনের IMEI নম্বর আলাদা আলাদা হয়। আপনার ফোনে যদি ডুয়েল সিম থাকে তাহলে সেখানে দুটি IMEI নাম্বার থাকে।
এখানে আপনি যদি মোবাইলের IMEI নম্বরটা পুলিশকে দিয়ে দিতে পারেন তাহলে কাজটি করতে সহজ হয়ে যায়। আমরা সবাই ফোন কিনে থাকি কিন্তু ফোনের এই নাম্বারটি কারো ই লেখা বা মুখস্থ থাকেনা। এই নাম্বারটি ফোনের প্যাকেটেও লেখা থাকে। কিন্তু সেই প্যাকেট কি আমরা কেউ যত্ন করে রাখি? বিপত্তি ঘটে এখানেই। যখন আমরা এই নাম্বারটি পুলিশকে দিতে পারিনা।
এক্ষেত্রে পুলিশ সবার আগে খোঁজ নেয় ওই ফোনে সবার শেষে কোন সিম ব্যবহার করা হয়েছে। পরবর্তীতে শেষে যে সিম ব্যবহার হয়েছিল সেই সিমের কোম্পানির কাছ থেকে পুলিশ IMEI নম্বর সংগ্রহ করে। তারপর পুলিশ তাদের কাছ থেকে জেনে নিবে বর্তমানে ওই মোবাইলে কোন কোম্পানির সিম ব্যবহার হচ্ছে। এটা জানা পুলিশের কাছে খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
আসলে যখনই কোন মোবাইল অন হয় তখন আশপাশে থাকা কোন না কোন নেটওয়ার্ক থেকে ওই সিগনাল চলে আসে। যখন কোন ফোন কোন টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড হয় তখন ফোনটা তার IMEI এর মত তথ্যগুলো ওই টাওয়ারে পাঠিয়ে দেয়। এবার ফোনে কোন সিম ব্যবহার হচ্ছে সেটা জানা পুলিশের কাছে খুবই সহজ হয়। আর আর ওই সিম কে ব্যবহার করছে এটা জানা যায় সিমটা কার নামে নেওয়া হয়েছিল সে ডকুমেন্ট থেকে।
তবে এখানেই শেষ নয়। সমস্যা তখনই তৈরি হয় যখন কোন ভুয়া নাম দিয়ে সিমটি কেনা হয়। তবে যত যাই করুক না কেন এখান থেকেও চোর পালাতে পারে না। পুলিশ তখন বুঝতে পারে ঐ সিমের সাথে কোন নেটওয়ার্ক কানেক্টেড আছে। এভাবে পুলিশ অপরাধীর এরিয়াটা ছোট করে নিয়ে আসে। এরপরেও সমস্যা থেকে যায়। যেমন অপরাধী যদি কোনো বড় ধরনের বিল্ডিং এ প্রবেশ করে তখন পুলিশ বুঝতে পারে যে অপরাধী এই বিল্ডিং এর মধ্যেই আছে। কিন্তু কোথায় আছে?
এটা জানার জন্য পুলিশ পুরো বিল্ডিংটাকে ঘিরে ইনফর্মেশন জোগাড় করার চেষ্টা করে। এছাড়াও পুলিশ ওই ফোনে স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারে যা ক্লিক করা মাত্রই মোবাইলটা হ্যাক হয়ে যাবে। এখানে জানিয়ে রাখি হ্যাকিং যে শুধু খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয় তা না। ক্রিমিনালদের ধরার জন্য হ্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ভাইরাস ক্রিমিনাল এর ফোনে আপলোড করে তার সঠিক লোকেশন টা জেনে নেয়। এভাবে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে থাকে।
কেউ কল রেকর্ড করছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে উক্ত আর্টিকেলটিতে আমরা এবারে আলোচনা করব কেউ কল রেকর্ড করছে কিনা কিভাবে বুঝবেন। বর্তমান যুগে কল রেকর্ড করা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার বিষয়। আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেক কল রেকর্ড করে থাকি। এখনো কিছু কিছু মোবাইল রয়েছে যা অটো কল রেকর্ডিং হয়ে থাকে এ কাজের জন্য নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়।
যেমন কোন third-party যদি আপনার কল রেকর্ড পায় সেই রেকর্ডটি এডিটিং করে নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম করে থাকে। যা থেকে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। অনুমতি না নিয়ে কল রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা অহরহ ঘটছে। এজন্য কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।
আগের মতো গোপন কল রেকর্ড করার দিন শেষ। এন্ড্রয়েড ফোন গুলোতে রেকর্ডিংয়ে বিধিনিষেধ চাপিয়েছে গুগল। কোন ব্যক্তি স্মার্টফোনে যদি অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথাগুলো রেকর্ড করে তাহলে যান্ত্রিক ভয়েস এ ওই ব্যক্তি কাছে একটি বার্তা পৌঁছাবে যে, আপনার এই কলটি রেকর্ড করা হচ্ছে।
আবার রেকর্ডিং যদি বন্ধ করা হয় তাহলে দুই ব্যক্তি এই বার্তা পেয়ে যাবে। যে সকল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ধরনের ফিচার নেই তারা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে এ সুবিধাটি পেতে পারেন। এছাড়াও থার্ড পার্টি অ্যাপ দিয়ে আপনার কথাগুলো রেকর্ড করলে কিভাবে বুঝবেন তা জেনে নিন।
যেমন কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে না জানিয়ে আপনার ভয়েস রেকর্ড করতে শুরু করে তাহলে আপনি একটি বিপ এর মতো শব্দ শুনতে পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কথাগুলো ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মানুষটি রেকর্ড করছে।
পুলিশ কিভাবে কল লিস্ট বের করে
পুলিশ কিভাবে কল লিস্ট বের করে আমরা অনেকেই জানিনা। পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো পুলিশ কিভাবে কল লিস্ট বের করে।
পুলিশ যদি কোন ব্যক্তির কললিস্ট বের করতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তি যে সিম ব্যবহার করেছিল সেই সিম অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করে। তারপর নির্দিষ্ট কিছু সময় পর সেই সিম কোম্পানি থেকে পুলিশকে ওই নাম্বারের কল লিস্ট পাঠানো হয় পুলিশ সেই কল লিস্ট দেখার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির লিস্ট সম্পর্কে জানতে পারে।
সিম বন্ধ থাকলে কি লোকেশন বের করা যায়
পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এ আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানবো সিম বন্ধ থাকলে লোকেশন বের করা যায় কিনা। এককথায় এর উত্তর হবে না। লোকেশন বের করতে অবশ্যই সিম চালু থাকতে হবে না হলে লোকেশন বের করা সম্ভব নয়।
অর্থাৎ অবশ্যই সিমটি কোন না কোন ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। সিম কোন না কোন টাওয়ারের সাথে যুক্ত থাকার ফলে IMEI নম্বর এবং সিমের সিরিয়াল নম্বর সেই নিকটস্থ টাওয়ারে চলে যায়। যার ফলে সিমটির অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। সিমটি সচল না থাকলে লোকেশন বের করা সম্ভব না।
প্রিয় পাঠক পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে - পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভাল লেগেছে। পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে ও পুলিশ কিভাবে মোবাইল ট্র্যাক করে এই বিষয় এ আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। পুলিশ কিভাবে লোকেশন বের করে এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ । ২৩২৬১