গান শোনা কি হারাম - গান বাজনা শোনার শাস্তি

গান শোনা কি হারাম এ বিষয়ে জানার জন্য যারা ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন এবং এই বিষয়ে জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গান শোনা কি হারাম না হালাল তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক গান শোনা কি হারাম না হালাল।

গান বাজনা শোনার শাস্তি

গান শোনা কি হারাম না হালাল এবং গান-বাজনা শোনার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে আজকের এই আর্টিকেলে তাই যারা গান শোনার শাস্তি কি এ বিষয়ে জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন

পেজ সূচিপত্রঃ গান শোনা কি হারাম - গান বাজনা শোনার শাস্তি 

গান শোনা কি হারাম।গান বাজনা হারাম

গান শোনা কি হারাম এই বিষয়ে অনেকে জানতে চান। তাই আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের বলব গান শোনা কি হারাম। গান শোনা কি হারাম এই বিষয়ে অনেকে অনেক মত দিয়ে থাকেন। আসলে এখন যেই গান গুলো আমরা শুনতে পাই এগুলো থেকে কোন শিক্ষার কিছু নাই। এই গানগুলো শোনার জন্য অনেকেই ইসলামী দিকগুলো ভুলে যায়। সেজন্য বলা যায় গান শোনা কখনো হালাল হতে পারে না বা ভাল কাজ হতে পারেনা গান শোনা হারাম।

এখন যে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান বাজনা করা হয় এগুলো কখনো ভালো হতে পারে না তাই বলে যাই গান-বাজনা এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো সবগুলোই হারাম। গান বাজনার মাধ্যমে শয়তান মানুষকে আল্লাহর এবাদত থেকে দূরে রাখতে চাই। তাহলে আশা করছি বুঝতে পারছেন যেই জিনিসটা আপনাকে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে রাখতে চাই সেই জিনিসটা কখনো ভালো হতে পারে না সেই জিনিসটা সব সময় হারাম। তাহলে আশা করছি বুঝতে পারছেন গান শোনা কি হারাম না হালাল।

গান বাজনা হারাম সম্পর্কে হাদিস

গান বাজনা হারাম সম্পর্কে অনেক সাহাবীগণ কিছু হাদীস প্রকাশ করেছেন। গান বাজনা কখনো মুসলমানদের কালচার হতে পারে না গান বাজনা হারাম এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হারাম। গান বাজনা এবং বাদ্যযন্ত্র কে কখনো ইসলাম সমর্থন করে না। গান বাজনার জন্য অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক গান বাজনা সম্পর্কে কিছু হাদিস সমূহ।

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন শেষ যুগে অচিরেই দেখা দিবে ভূমিধস বিকৃতি ও নিক্ষেপ তখন এক সাহাবী আল্লাহর রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসূল এমনটা কখন দেখা দিবে তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন যখন গায়ক গায়িকা এবং বাদ্যযন্ত্র বেশি হারে দেখা দিবে (ইবনে মাজাহ ২/১৩৫০)

রাসুলুল্লাহ (সা) আরো বলেছেন এক সময় আসবে তখন আমার উম্মতের কিছু লোক মদ এর নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। এবং তাদের মাথার উপরে গায়িকা অর্থাৎ রমণীদের গান বাজনা বাজতে থাকবে। তখন আল্লাহ তাদের মধ্যে কিছু লোককে বানর এবং শূকর এ পরিণত করবেন (ইবনে মাজাহ ৪০২০)

গান বাজনা হারাম সম্পর্কে কোরআন 

যদি গান এমন হয় যে গানের ভেতর কোন অশ্লীলতা নেই কোন বাদ্যযন্ত্রের বাজনা নেই ইসলামী গঠনমূলক গান যদি হয় বা গজল যদি হয় তাহলে সোনা যাবে। কিন্তু কোন গানে যদি অশ্লীল কথাবাত্রা থাকে এবং বাদ্যযন্ত্রের বাজনা থাকে তাহলে সেই গান শুনা অবশ্যই হারাম।যদি কোন প্রকার বাদ্যযন্ত্রের বাজনা ছাড়া খালি গলায় কোন ইসলামী সংগীত গাওয়া হয় তাহলে গাওয়া যাবে।

আরো পড়ুনঃ পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল 

তবে কোন প্রকার অশ্লীল যেগুলো মানুষকে খারাপের পথে নিয়ে যায় সে ধরনের গান গাওয়া যাবে না সেইগুলো গান সব সময় হারাম। এই গান গুলো সব সময় মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। তাই চাইলে আপনি কোন বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ইসলামী গঠনমূলক সংগীত বা গজল গাইতে পারেন।

গান শোনা কেন হারাম।ইসলামে গান বাজনা হারাম কেন

উপরের অংশ পড়ে হয়তো ইতোমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন গান শোনা কি হারাম গান বাজনা সম্পর্কে কোরআন কি বলে গান বাজনা সম্পর্কে হাদিস কি বলে তা ইতোমধ্যেই হয়তো জানতে পেরেছেন। এখন আপনাদের বলব গান শোনা কেন হারাম।

গান শোনা হারাম কারণ গান শোনার জন্য আমাদের সকল আমল ধ্বংস হয়ে যায়। বাদ্যযন্ত্র দিয়ে যেগুলো গান তৈরি করা হয় সেগুলো হারাম কারণ এগুলো গান আমাদেরকে খারাপ পথে নিয়ে যায় এবং অশ্লীল করে তুলে। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে যেগুলো গান পরিবেশন করা হয় সেগুলো গান শোনা হল শয়তানের ধোকা শয়তান আমাদেরকে ধোকাই ফেলে আমাদেরকে খারাপ পথে নিয়ে যায় ভাল কাজ থেকে দূরে রাখতে চাই ঈমান আমল নষ্ট করে দেয়।

ইসলামে গান বাজনা হারাম কেন কারণ রাসূলুল্লাহ (সা) গান বাজনা শুনতে নিষেধ করেছেন। এই অশ্লীল গান বাজনা শোনার শাস্তি রয়েছে ভয়াবহ। রাসুলুল্লাহ (সা) এই সব অশ্লীল গান বাজনা শুনতে নিষেধ করেছেন তাই ইসলামে গান বাজনা হারাম। আশা করছি বুঝতে পারছেন ইসলামে গান বাজনা কেন হারাম। এখন আমরা জানবো গান বাজনা শোনার শাস্তি।

গান বাজনা শোনার শাস্তি

গান-বাজনা এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রতি যাদের আগ্রহ আছে তাদের শাস্তি খুবই অপমানজনক হবে। গান বাজনা শোনা গান-বাজনা গাওয়া দুটোই হারাম। এই অশ্লীল গান বাজনার জন্য পেতে হবে অনেক শাস্তি। ইসলামে কখনো কোন খারাপ কিছু না থাকলে সেই জিনিসটি হারাম বলে নি বা বলতে পারেনা। তাহলে গান-বাজনা কে যেহেতু হারাম বলেছে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গান বাজনা ভালো না খারাপ।

এই অশ্লীল গান-বাজনার জন্য শাস্তি হিসেবে রয়েছে জাহান্নাম আর দুনিয়াতে গান বাজনা শোনার জন্য রয়েছে অনেক ভয়াবহতা যারা রমণীদের সাথে গান বাজনায় লিপ্ত থাকে তাদেরকে বানর এবং শূকর এ পরিণত করবেন। যারা রমণীদের সাথে অশ্লীল গান বাজনা লিপ্ত থাকবে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হতে পারে। আশা করছি গান বাজনা শোনার শাস্তি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ গান শোনা কি হারাম - গান বাজনা শোনার শাস্তি 

তো প্রিয় পাঠক পাঠিকা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম গান শোনা কি হারাম গান বাজনা সম্পর্কে হাদিস এবং কুরআন কি বলে এবং গান-বাজনা কেন হারাম গান-বাজনা শোনার শাস্তি কি হতে পারে। আপনি যদি ভালোভাবে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে গান বাজনা শোনার শাস্তি এবং গান বাজনা সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা পেয়ে গেছেন।

আমাদের ওয়েবসাইটে এইরকম আরও নতুন নতুন আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করা হয় তাই এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭  

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url