কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় - ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া

প্রিয় পাঠকগণ! আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এবং ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে। তো যারা কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এবং ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এবং ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ

কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায়

ধৈর্য এমন একটি গুণ যেটা সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বেশ ধৈর্যশীল। আবার অনেকে রয়েছেন যাদের মধ্যে বিন্দু মাত্র ধৈর্য নেই। তাই আজকের এই পোস্টের "কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায়" এই প্যারাটিতে আপনাদের কে জানিয়ে দিব কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তা সম্পর্কে। 

যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরতে পারে একপ্রকার তার জন্য সব কাজই সহজ হয়ে যায়। আর যে কোনো কাজে সফলতার জন্য ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। প্রতিটি মানুষের জীবনে যদি ধৈর্যের গুণ না থাকে তাহলে সে কখনো প্রকৃত পক্ষে সফল হবেনা।আমরা যদি আমাদের জীবনকে সফলকামী করতে চাই আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদের মধ্যে ধৈর্যের গুণ কে জাগিয়ে তুলতে হবে। কিন্তু কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় বা তার উপায় কি এটা হলো মূল প্রশ্ন। 

তাই কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এই উপায় গুলো আমাদের জন্য অনেক দরকারি। প্রতিটি মানুষের জন্য কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তার উপায় জানা উচিত। তা না হলে যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে পারেনা সে কখনো কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তা জানবেনা। বিশেষ করে তাদের জন্য আজকের কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এই টপিক টা বেশ কার্যকরী হবে। তো চলুন কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তার উপায় দেখে নিই। 

সৃজনশীল কাজ করাঃ ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি বেশি সৃজনশীল কাজ করতে হবে। এর ফলে আপনার মধ্যে ধৈর্য বৃদ্ধি পাবে। তাই যেকোনো কাজে সৃজনশীলতা কাঠাতে হবে বা সৃজনশীলমূলক কাজ গুলো বেশি বেশি করতে হবে। কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এই প্রসঙ্গে প্রথম উপায়টি হলো সৃজনশীল মূলক কাজ। কেননা এটি আমাদের ধৈর্য শক্তি কে অনেকগুণে বাড়িয়ে তোলে।

নিজেকে সময় দেওয়াঃ কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এর আরেকটি উপায় হলো নিজেকে সময় দিতে হবে। কারণ আপনি যদি হাজারো ব্যস্ততার মাঝে নিজের জন্য কিছু সময় ব্যয় না করেন তাহলে আপনার ধৈর্যশক্তি কখনো বাড়বে না। তাই নিজেকে সময় দিন, নিজের মনের সাথে নিজের কথোপকথন করুন।

দলবদ্ধ হয়ে কাজ করাঃ দলবদ্ধ হয়ে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়। এর ফলে ধৈর্য শক্তি ও বাড়ে। তাই দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এর উপায়ের মধ্যে এটি একটি অভিনব উপায়।

ডায়েরি লিখাঃ ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য ডায়েরি লেখার চেষ্টা করুন। কেননা এর মাধ্যমে ধৈর্যশীল ক্ষমতা বাড়ে। তাই সুযোগ ও সময় করে নিজে নিজেকে নিয়ে ডায়েরিতে লিখুন। 

বইপড়াঃ কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এর উপায় হিসেবে বইপড়া একটি অনন্য কৌশল। নিজেকে ধৈর্যশীল করতে হলে যত বেশি পারেন অবসর সময়ে বই পড়ুন। তাহলে ধৈর্য্যশীল আপনার মধ্যে জাগ্রত হবে ইন শা আল্লাহ। 

আশা করি কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তার উপায় গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এই উপায় গুলো বাস্তবে প্রয়োগ করেন তাহলে ইন শা আল্লাহ আপনার মধ্যে ধৈর্য বাড়বে। আর আপনি যদি কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় তার উপায় গুলো বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে পুনরায় ভালো করে পড়ুন। ইন শা আল্লাহ বুঝতে পারবেন। 

ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া

আমরা কিভাবে ধৈর্যশীল হবো এ নিয়ে ইসলামে কিছু দোয়া রয়েছে। তো যারা ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টের "ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া" এই প্যারাটি অনেক হেল্পফুল হবে। কেননা এই প্যারার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া গুলো সম্পর্কে। তো যারা ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া জানেন না তারা চাইলে এখান থেকে শিখে নিতে পারেন। কারণ ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সবার জন দরকার। ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া গুলো আপনাকে ধৈর্যশীল হতে সহায়তা করবে। তো চলুন শিখে নিই ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া গুলো।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে নানা ভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা করে থাকেন। তাই আমাদের কে সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করে সকল পরিস্থিতিতে নিজেকে ধৈর্যশীল করে রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে মাজীদে বলেনঃ

ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুছতাঈনু বিছছবরি ওয়াছ ছলাতি; ইন্নাল্লাহা মাআছ ছাবিরিন।’ অর্থ: হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। [পারা: ২, সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩]

অতএব আমাদের কে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে৷ কখনোই নিরাশ হওয়া যাবে না। কেননা আল্লাহ নিজেই বলেছেন ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া এর মধ্যে যে ধৈর্য করো। তাই ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে আপনারা অবগত হোন ও আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে আরো জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। যদি  ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া - এই প্যারাটি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আবার মনোযোগ সহকারে দেখুন। 

ধৈর্যের পরীক্ষা 

আল্লাহ আমাদের কে নানা ভাবে পরীক্ষা করবেন। যদি আমরা সেগুলো ধৈর্যের সহকারে পালন করতে পারি তাহলে আল্লাহ আমাদের কে রহমত ও সফলকামী করবেন। ধৈর্যের পরীক্ষা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে অনেক আয়াত উল্লেখ করেন।
ধৈর্যের পরীক্ষা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 
আমি তোমাদিগকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের, যারা তাদের ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আমরা তো আল্লাহর এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। [পারা - ২; সূরা - ২ বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭]

উপরের আয়াত হতে বোঝা যায় যে আল্লাহ আমাদের কে পরীক্ষা করবেন। কিন্তু আমরা সে পরীক্ষা গুলো ধৈর্যের মাধ্যমে পার করবো। তাহলে আল্লাহ আমাদের সহায় হবে। যার ফলে আল্লাহর রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হবে। তাই সবসময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আশা করি আপনারা ধৈর্যের পরীক্ষা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া ও কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় এ সম্পর্কে। এখন আমরা ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত সম্পর্কে জানবো। ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত অনেক রয়েছে। 

ধৈর্য সম্পর্কে আল্লাহ কুরআনে বলেনঃ
ফাছবির লিহুকমি রব্বিকা ওয়া লা তাকুন কাছাহিবিল হুত, ইজ নাদা ওয়া হুওয়া মাকজুম।’ 

অর্থ- অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ করো তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য-সহচরের (ইউনুস আলাইহিস সালাম) ন্যায় অধৈর্য হয়ো না, সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিল। [পারা: ২৯, সূরা-৬৮ কলম, আয়াত: ৪৮]

আল্লাহ আরো বলেনঃ
ফাছবির লিহুকমি রব্বিকা ওয়া লা তাকুন কাছাহিবিল হুত, ইজ নাদা ওয়া হুওয়া মাকজুম।’ 

অর্থ- অতএব, তুমি ধৈর্য ধারণ করো তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য-সহচরের (ইউনুস আলাইহিস সালাম) ন্যায় অধৈর্য হয়ো না, সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিল। [পারা: ২৯, সূরা-৬৮ কলম, আয়াত: ৪৮]

এগুলো ছাড়াও পবিত্র কুরআন ও হাদিসে ধৈর্য নিয়ে অনেক আয়াত ও ব্যাখ্যা রয়েছে। তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত গুলো আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

ধৈর্য নিয়ে শেষকথা

ধৈর্য এমন একটি গুণ যেটি আল্লাহর নিকট অনেক পছন্দের। তাই আল্লাহ ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে পছন্দ করেন। আপনি যদি কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় বা ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট ভালো করে পড়ুন। এখানে ধৈর্য নিয়ে কোরআনের আয়াত সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

তো যাদের মনে এতদিন ধরে ধৈর্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা ছিলনা তারা আশা করি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 18801

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url