ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন - বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস

আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এবং বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে। যারা ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এবং বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক হেল্পফুল হবে। তো চলুন ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এবং বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস গুলো জেনে নিই। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন 

ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এ নিয়ে অনেক মত বিমত রয়েছে। আমাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এই সম্পর্কে। তো যারা  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এ প্রশ্নটি করেন বা যাদের জানার ইচ্ছে রয়েছে  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তাদের জন্য আজকের পোস্ট টি অনেক হেল্পফুল হবে। আজকের পোস্টের "ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন" এই প্যারাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এ সম্পর্কে। 

তো যারা ইতিমধ্যে জানেন যে  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তারাও এই পোস্ট পড়তে পারেন। কেননা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন। যদি আপনি ভালো করে বুঝে যান যে  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তাহলে আপনাকে যখন কোনো মানুষ জিগ্যেস করবে  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তাহলে আপনি তাকে সহজেই বলতে পারবেন   ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এই নিয়ে। তো চলুন আমরা এখন জেনে নিই  ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে। এবং কিছু লোক এমন হবে যারা একটি পর্বতের নিকটে অবস্থান করবে এবং সন্ধ্যাবেলায় তাদের মেষপালক তাদের নিকট মেষগুলো নিয়ে আসবে এবং তাদের নিকট কিছু চাইবে, কিন্তু তারা বলবে, ‘আগামীকাল ফেরত এসো’। রাতের বেলায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং তাদের উপর পর্বত ধ্বসিয়ে দিবেন, বাকি লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত তারা এই অবস্থায় থাকবে”। (বুখারী, ভলিউম ৭, বুক ৬৯,সংখ্যা ৪৯৪)

এখানে নবী কারিম সাঃ বলে দিয়েছেন বাদ্যযন্ত্র আমাদের জন্য হারাম এবং যে একে সমর্থন বা হালাল মনে করবে তার জন্য নিশ্চয়ই অনেক বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে। তাই ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এই প্রসঙ্গে কখনো একে হালাল মনে করা উচিত নয়। আল্লাহ ও বলেছেন এটি আমাদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। তো যারা বুঝতে পেরেছেন ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তারা এগুলো থেকে দূরে থাকবেন। 

আর যারা ভালো করে বুঝেননি যে ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তারা আরো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ইন শা আল্লাহ বুঝতে পারবেন। আর ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এই নিয়ে যদি আপনাকে কেউ এখন বলে তাহলে আশা করি আপনি তাকে বলতে পারবেন যে ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন। ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন এ নিয়ে আরো জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস

বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস অনেক গুলোই রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও  সাহাবীগণ ও এই বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে অনেক গুলো হাদিস দিয়েছেন। তো যারা বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে কখনো শুনেননি বা বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে জানার ইচ্ছে রয়েছে তাদের জন্য বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস এই প্যারাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই প্যারার মাধ্যমে আপনি বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে পারবেন। 

যদি বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে আপনি না জানেন তাহলে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না যে কেন বাদ্যযন্ত্র কে হারাম করা হয়েছে ও বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। আর আপবি যদি না জানেন তাহলে আপনাকে যখন কেউ বলবে বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে তখন আপনি তাকে কিছুই বলতে পারবেন না। তো চলুন জেনে নিই বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস গুলো সম্পর্কে। 

এখন আমরা জানবো বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস গুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে। বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হাদিস নিরুপণ করা হলোঃ

  • গান-গায়িকা এবং এর ব্যবসা ও চর্চাকে হারাম বলে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, "তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর না এবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম।" (জামে তিরমিযী হাদিস: ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীস: ২১৬৮)
  • একদিন হজরত আয়েশা (রা.) এর নিকট বাজনাদার নূপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা (রা.) বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন যে, "যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ননম্বর: ৪২৩১, সুনানে নাসাঈ, হাদীস নম্বর: ৫২৩৭)
  • রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, "ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হলো শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।" (সহীহ মুসলিম, হাদীস নম্বর: ২১১৪)

উক্ত বর্ণিত বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস গুলিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বাদ্যযন্ত্র কেন হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস জানার পর নিশ্চয়ই আমাদের সপথ করা উচিত এগুলো থেকে বেঁচে থাকার। যদি বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে না জানতাম তাহলে আমরা কখনোই বাদ্যযন্ত্র হারাম কেন তা জানতে পারতাম না।

অতএব বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস গুলো নিজে জানার পর অন্য কেও বাদ্যযন্ত্র হারাম হাদিস সম্পর্কে অবগত করুন যাতে তারাও এর থেকে বেঁচে থাকতে পারে। পরবর্তীতে আমরা ইসলামে কোন বাদ্যযন্ত্র হালাল তা সম্পর্কে জানবো। ইসলামে কোন বাদ্যযন্ত্র হালাল তা জানতে নিচে চলে যান।

ইসলামে কোন বাদ্যযন্ত্র হালাল

আমরা এই প্যারাটিতে ইসালামে কোন বাদ্যযন্ত্র হালাল তা জানবো। হালাল এবং হারাম বাজনার মধ্যে পার্থক্য আছে। আর এই পার্থক্য হলো দফের বাজনা। বাদ্যযন্ত্র হারাম হলেও দফের বাজনা হালাল। একটি হাদিস দেখুন তাহলে বুঝে যাবেন।

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত- ﺩَﺧَﻞَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻋِﻨْﺪَﻫَﺎ ﺟَﺎﺭِﻳَﺘَﺎﻥِ ﺗَﻀْﺮِﺑَﺎﻥِ ﺑِﺪَﻓَّﻴْﻦِ ‏(ﻭَﻓِﻲ ﺭِﻭَﺍﻳَﺔٍ ﻋِﻨْﺪِﻱ ﺟَﺎﺭِﻳَﺘَﺎﻥِ ﺗُﻐَﻨِّﻴَﺎﻥِ‏) ﻓَﺎﻧْﺘَﻬَﺮَﻫُﻤَﺎ ﺍﺑُﻮْﺑَﻜﺮٍ ﻓَﻘﺎﻝَ ﺻَﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺩَﻋْﻬُﻦَّ ﻓَﺎﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻗَﻮْﻡٍ ﻋِﻴْﺪًﺍ ﻭَﺇﻥَّ ﻋِﻴْﺪَﻧَﺎ ﻫَﺬﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡ ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ) 

একদা রাসূল সা. তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন। তখন তার ঘরে দুই বালিকা দফ বাজাচ্ছিল। অন্য রেওয়ায়েতে আছে গান করছিল। আবু বকর রা. তাদের ধমক দেন। তখন রাসূল সা. বললেন: তাদের গাইতে দাও। কারণ প্রত্যেক জাতিরই ঈদের দিন আছে। আর আমাদের ঈদ হল আজকের দিন। (বুখারী) 

আশা করি ইসলামে কোন বাদ্যযন্ত্র হালাল তা বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনি যদি বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পরবর্তী প্যারাটি পড়ে নিন।

আরো পড়ুনঃ গ্রামে কি ব্যবসা করা যায়

বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত 

আপনারা কি বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত সম্পর্কে জানেন? এই প্যারাটিতে আমরা বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত সম্পর্কে জানবো। তো যারা বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত সম্পর্কে অবগত নয় তারা বাদ্যযন্ত্র হারাম কুরআনের আয়াত সমূহ জেনে নিন।

বাদ্যযন্ত্র হারাম সম্পর্কে কুরআনে বর্ণিত আছেঃ-

আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা সেগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আজাব। (সূরা: লুকমান, আয়াত নং: ০৬-০৭) 

অতএব কুরআনেও অনেকবার বাদ্যযন্ত্রের সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। তাই আমাদের এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও হারাম বাদ্যযন্ত্র বাজানোর শাস্তি কি তা জানতে পরবর্তী প্যারা অনুসরণ করুন। 

হারাম বাদ্যযন্ত্র বাজানোর শাস্তি 

আমরা অনেকেই বাদ্যযন্ত্র বাজায়। কিন্তু আমরা কি হারাম বাদ্যযন্ত্র বাজানোর শাস্তি সম্পর্কে জানি? হারাম বাদ্যযন্ত্র বাজানোর শাস্তি কতটা ভয়ানক তা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। বাদ্যযন্ত্র যেহেতু আমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তাই এই নির্দেশ যে অমান্য করবে তাকে অবশ্যই ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। 

কারণ আল্লাহর নির্দেশ অমান্য কারী কখনো আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারেনা। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ নির্দেশ মেনে চলা ও পরকালকে সুন্দর করে তোলা। আশা করি আজকের পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হয়েছেন এবং ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করবেন। 18801


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url