বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন - বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি

আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে। তো যারা বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সমূহ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন 

আপনারা হয়তো অনেকে মনে মনে প্রশ্ন করেন যে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা সম্পর্কে। কিন্তু লজ্জার কারণে কারো থেকে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা জানতে পারেন না। তো যারা বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন এ প্রশ্নটি লজ্জায় বলতে পারেন না বা বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা কারো থেকে জিগ্যেস করতে পারেন না তাদের জন্য আজকের পোস্টের এই " বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন "  প্যারাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

কেননা এইখানে আপনি জানতে পারবেন  বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা সম্পর্কে বিস্তারিত। তো যে বা যারা এমন লজ্জাকর প্রশ্ন বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা নিয়ে কাউকে বলতে পারছেন না তারা এই পোস্ট থেকে আপনার প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন। তো চলুন দেখে নিই বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে মাসিক নিয়ে। একজন মহিলার বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা বলতে হলে আগে তার মাসিক বা ঋতু স্রাব এর প্রতি নজর দিতে হবে। কারণ একজন মহিলা বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা তার মাসিক এর সময়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত মাসিক চক্রাকারে প্রতি মাসে হয়ে থাকে। 

মাসিক চক্র সাধারণত ২৮ দিনের হয়। তবে অনেক মহিলার ক্ষেত্রে তা ৩৪-৩৬ দিন ও হয়ে যায়। তো এখন প্রশ্ন হলো বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন?  হে! আপনার এই ' বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন ' প্রশ্নের উওর হলো মাসিক হওয়ার প্রথম দিন থেকে ধরলে এগারতম দিন থেকে চৌদ্দতম দিন পর্যন্ত হলো বাচ্চা নেওয়া বা গর্ভবতী হওয়ার সঠিক সময়।তাই বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন এই প্রসঙ্গে সঠিক সময় হলো ১১ থেকে ১৪ তম দিন এর মধ্যে। 

আশা করি বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা জানতে পেরেছেন। বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন এ টিপটি পুণরায় পড়ুন। তাহলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় কখন তা বুঝতে পারবেন। এখন আমরা ধাপে ধাপে আরো কিছু বিষয় যেমন বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে সহ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিবো।

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি 

এখন আমরা বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হবো। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি রয়েছে যা মেনে চললে আপনি সহজে বাচ্চা নিতে পারবেন। আর আপনি যদি বাচ্চা নিতে চান কিন্তু বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত না হন তাহলে এর মধ্যে কিছু ভুল ও হয়ে যেতে পারে যার ফলে আপনি বাচ্চা নিতে পারবেন না। 

তাই গর্ভবতী হওয়ার জন্য বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি  সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। তে যারা বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নন তাদের জন এই ' বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি ' অনেক হেল্পফুল হবে। আপনি বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন এই প্যারাটিতে। তো চলুন বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি গুলো কি কি তা জেনে নিই। 

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি এর মধ্যে একটি বিষয় হলো ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময়। মাসিকের কোন সময়ে ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় তা আপনাকে জানতে হবে। কারণ মেয়েদের যে সময়ে ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় সে সময় সহবাস করলে দ্রুত গর্ভবতী হওয়া যায়। যদি এই সময়ে সহবাস না হয় তাহলে বেশির ভাগ মহিলা দেখা যায় বাচ্চা নিতে পারে না। 

তাই বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি হিসেবে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সহবাসের সময় পুরুষ উপরে থাকবে ও মহিলা নিচে থাকবে এটা মাথায় রাখতে হবে। তা না হলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে এতে সমস্যা হয়। স্ত্রীর মাসিকের সময় কখনো সহবাস করা যাবে না। কারভ এটা ইসলামে হারাম। সহবাস যথাসম্ভব দীর্ঘ করতে পারলে গর্ভবতী দ্রুত হয়। আশা করি বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। 

এগুলো ছাড়াও বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি আরো রয়েছে। তো আপনি যদি বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হয়ে যান তাহলে তা অবলম্বন করুন। আর এখনো যদি বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি বুঝতে না পারেন তাহলে পোস্ট ভালো করে পড়ুন। আশা করি বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। নিচে আমরা বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবো। 

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়

আমরা বেশিরভাগ মানুষই বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় কখন তা জানি না। চলুন জেনে নিই বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে। বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় হলো মাসিক এর পর প্রথম দিন থেকে গুণে এগারো তম দিন থেকে চৌদ্দ তম দিন পর্যন্ত। এ সময়ে সহবাস করলে অতি দ্রুত বাচ্চা নেওয়া সম্ভব। তবে মহিলার ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময়ে সহবাস করতে হবে। এ সময়ে মহিলারা বেশি গর্ভবতী হয়। তাই একজন স্বামী এ সময়ে সহবাস করা সর্বোত্তম বাচ্চা নেওয়ার জন্য। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ধৈর্যশীল হওয়া যায় - ধৈর্যশীল হওয়ার দোয়া

বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি খাবার খাওয়া উচিত 

আমরা যারা বাচ্চা নিতে চাই তারা কি বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি খাবার খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জানি? একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার জন্য  বা বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি খাবার খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা নেওয়ার সময় যেসব খাবার খাওয়া উচিত তা হলো ডিম, আনারস, আখরেট, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার, কলা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, মটরশুঁটি, স্ট্রবেরি, বাদাম ও বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার। 

এসব খাবার বাচ্চা নিতে বেশ সাহায্য করে। এগুলের ফলে তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেওয়া যায়। ফলে শরীর ও সুস্থ থাকে এই ধরনের খাবার খেলে। তাহলে বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি খাবার খাওয়া উচিত তার ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও ইসলামে সহবাস করার নিয়ম ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পরবর্তী প্যারায় চলে যান। 

ইসলামে সহবাস করার নিয়ম

ইসলামে সহবাস করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানে না। ইসলামে সহবাস করার নিয়ম গুলো সবার জানা উচিত।  ইসলামে সহবাস করার নিয়ম গুলো হলো সহবাসের আগে স্বামী স্ত্রী পাক পবিত্র হওয়া ও অযু করে নেয়া, সহবাস বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করা, সহবাসের নিয়ত ঠিক রাখা, সহবাসের সময় স্ত্রীর পেছন দিকে সহবাস না করা, স্বামী উপরে ও স্ত্রী নিচে অবস্থান করা সহবাসের সময়, মাসিকের সময় সহবাস না করা, ইত্যাদি। 

বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে

আমরা অনেকে বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে তা জানিনা। আসলে বাচ্চা হলো সৃষ্টিকর্তার দান। তবে প্রত্যক নারীকে বাচ্চা নিতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। তার মধ্যে একটি হলো তার নিজের ওপর যত্ন। এছাড়াও বাচ্চা নেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সহবাস। সহবাস সঠিক পদ্ধতিতে করলে বাচ্চা নেওয়া সহজ হয়। কোনো নারী গর্ভবতী হওয়ার পর এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে যার ফলে সেটি বাচ্চার ওপর এফোর্ট আসে। তবে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে দম্পতি কে অবশ্যই সঠিক পন্থা মেনে চলা উচিত ও ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।

নিশ্চয়ই আপনারা বাচ্চা নেওয়ার জন্য কি করতে হবে ও ইসলামে সহবাস করার নিয়ম সহ সকল টপিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না ও পোস্ট সম্পর্কে কোনো মতামত থেকে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। 18801


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url