গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে - গান শোনা কি জায়েজ

আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে  ও গান শোনা কি জায়েজ সে সম্পর্কে। তো যারা গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে  ও গান শোনা কি জায়েজ কিনা সে সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে  ও গান শোনা কি জায়েজ কিনা তা সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ

গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে - গান শোনা কি ইসলামে হারাম

আজকের পোস্ট এর " গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে - গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে " এই প্যারাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে ও গান শোনা কি ইসলামে হারাম কিনা সে সম্পর্কে। আমরা যারা গান শুনি তারা অনেকে প্রশ্ন করি গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে। যারা মনে মনে ভাবেন যে গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে বা কারো থেকে জিগ্যেস করেন যে গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে বা গান শোনা কি ইসলামে হারাম কিনা এটা। 

তাহলে যাকে জিগ্যেস করবেন সে যদি না জানে যে গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে কিংবা গান শোনা কি ইসলামে হারাম নাকি তাহলে সে কখনোই আপনাকে বলতে পারবেন না যে গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এটা সম্পর্কে। তো যাদের মনে এতদিন ধারণা ছিল গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে বা গান শোনা কি ইসলামে হারাম নাকি এই অজানা বিষয়কে জানার তাহলে আজকের পোস্ট টি আপনার জন্য। তো চলুন আমরা জেনে নিই গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে। 

গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই প্রসঙ্গে অনেক ব্যাখ্যা আছে কুরআন শরীফে। গান শোনা একটি হারাম কাজ। গান শোনা কখনো ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলামে গানকে সম্পূর্ণ হারাম বলে দেয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি গান শুনবে তার জন্য রয়েছে পরকালে কঠিন ও ভয়ানক শাস্তি। কেননা গানকে ইসলামে হারাম করে দিয়েছেন। যারা আল্লাহর আদেশ বা হুকুম অমান্য করে গান শোনার কাজে লিপ্ত হবে সে পরকালে শাস্তি ভোগ করবে তাই স্বাভাবিক। তার মানে গান শোনা কি ইসলামে হারাম নাকি সেটা বুঝা যাচ্ছে। 

আশা করি গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে বুঝে গেছেন।তো গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই নিয়ে আরো অনেক তথ্য রয়েছে।  আপনি যদি গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই পোস্ট টি ভালো ভাবে পড়ুন। এছাড়া গান শোনা কি কবিরা গুন্নাহ কিনা তা জানতে নিচের পাঠটি পড়ে নিন।

গান শোনা কি জায়েজ - গান শোনা কি কবিরা গুন্নাহ

পূর্বের প্যারায় আমরা আলোচনা করেছি গান শোনা নিয়ে ইসলাম কি বলে এই প্রসঙ্গ নিয়ে। এখন আমরা জানবো গান শোনা কি জায়েজ এ নিয়ে। আমাদের সমাজে কম বেশি সবাই গান শোনে। আর এই গান শোনা নিয়েই যত মত বিরোধ। সবাই বলে গান শোনা কি জায়েজ কি না। আপনাদের ভাবনা দূর করতেই আজকে এই পোস্ট। 

তো যারা গান শোনা কি জায়েজ এ প্রশ্নে ডুবে আছেন তাদের জন্য আজকের পোস্ট টি অনেক হেল্পফুল হবে। এই "গান শোনা কি জায়েজ " প্যারাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে গান শোনা কি জায়েজ কি না। তো চলুন জেনে নিই গান শোনা কি জায়েজ এ সম্পর্কে। 

আমরা এখন আলোচনা করবো গান শোনা কি জায়েজ কিনা এ বিষয় সম্পর্কে। আসলে গানকে আমাদের ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে যে ব্যাক্তি গান গায় বা শোনে তারা উভয় গুন্নাহর শামিল। গান শোনা হলে কবিরা গুন্নাহ। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছে করে জানা সত্বেও গুন্নাহ করে সেটি বেশিরভাগ সময়ে কবিরা গুন্নাহ হয়। আর গান ও কবিরা গুন্নাহ। গান শোনা নিয়ে অনেক তথ্য ইসলামে আলোচনা আছে। সব জায়গায় গান শোনা কি জায়েজ এই প্রসঙ্গে গান কে মারাত্মক হারাম কাজ বলা হয়েছে। 

তো যারা ভাবছে গান শোনা কি জায়েজ বা গান শোনা কি কবিরা গুন্নাহ নাকি তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন গান শোনা কি জায়েজ নাকি না জায়েজ। গান শোনা কি জায়েজ কিনা এই প্রশ্নে যে বলবে গান শোনা জায়েজ সেও জাহান্নামের অংশিদার হবে। কেননা গান শোনা কখনোই জায়েজ নয় বরং এটি মারাত্মক ধরনের গুন্নাহর সামিল। তো আশা করি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি গান শোনা কি জায়েজ নাকি না জায়েজ। 

তো যারা এখনো বুঝেননি গান শোনা কি জায়েজ নাকি না জায়েজ তারা আবার পোস্টটি ভালো ও মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনার কাছে গান শোনা কি জায়েজ এই প্রশ্নের উওর পরিস্কার হয়ে যাবে। তো গান শোনা কি জায়েজ এটা নিয়ে কারো কোনো মত থাকলে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তীতে গান শোনা নিয়ে হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

গান শোনা নিয়ে হাদিস

আমরা অনেকে গান শোনা নিয়ে হাদিস সম্পর্কে জানতে চায়। এই পাঠটি তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যারা গান শোনা নিয়ে হাদিস সম্পর্কে জানতে চান। গান শোনা নিয়ে ১৩ জন সাহাবি গণ হাদিসে বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকএি হাদিস হলঃ

ইমরান ইবন হুসাইন রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

‏ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَقَذْفٌ‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَتَى ذَاكَ قَالَ إِذَا ظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ

এই উম্মতের জন্য ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণের আযাব রয়েছে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি তখন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, কখন হবে তা? তিনি বললেন, যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে এবং মদ্যপান দেখা দিবে। (তিরমিযী ২২১৫)

আবু মালিক আশআ’রী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ ، يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا ، يُعْزَفُ عَلَى رُءُوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ وَالْمُغَنِّيَاتِ ، يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمْ الْأَرْضَ ، وَيَجْعَلُ مِنْهُمْ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ

আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন। আর তাদের কিছুকে বানর ও শূকর বানিয়ে দিবেন। (ইবন মাজাহ  ৪০২০ সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৭৫৮)

আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি দিয়ে পুঁজ পড়া

তাহলে এই হাদিস সম্পর্কে বুঝতেই পারছেন গান জতটা জঘন্য অপরাধ আমাদের জন্য। তাহলে নিশ্চয়ই গান শোনা নিয়ে হাদিস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া গান শোনা কেন হারাম তা জানতে পরবর্তী প্যারাটি পড়ুন।

গান শোনা হারাম কেন - গান শোনা হারাম - গান শোনার শাস্তি

আপনারা কি জানেন গান শোনা হারাম কেন বা গান শোনার শাস্তি  সম্পর্কে? যারা গান শোনা হারাম কেন ও গান শোনার শাস্তি সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই প্যারাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন জেনে নিই গান শোনা হারাম কেন ও গান শোনার শাস্তি সম্পর্কে।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

قَالَ اذْهَبْ فَمَنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَاؤُكُمْ جَزَاءً مَوْفُورًاوَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ بِصَوْتِكَ وَأَجْلِبْ عَلَيْهِمْ بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكْهُمْ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ وَعِدْهُمْ ۚ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا

আল্লাহ (শয়তানকে) বলেন: ঠিক আছে, তুমি যাও, এদের মধ্য থেকে যারাই তোমার অনুসরণ করবে, তুমি-সহ তাদের সবার জন্য জাহান্নামই হবে পূর্ণ প্রতিদান। তুমি যাকে-যাকে পারো তোমার আওয়াজের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করো। তাদের ওপর অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনীর আক্রমণ চালাও। ধন-সম্পদে ও সন্তান-সন্ততিতে শরীক হয়ে যাও। এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতির জালে আটকে ফেলো। আর শয়তানের প্রতিশ্রুতি ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়।

গান হলো শয়তানের আওয়াজ। যে এগুলো অবলম্বন করলো সে যেন শয়তানকে অনুসরণ করলো। তাই গান কে হারাম করা হয়েছে। যার কারণে গান শোনার শাস্তি ও অনেক ভয়াবহ। তাই আমাদের উচিত গান শোনা থেকে নিজেকে ও অন্যকে বিরত রাখা। আশা করি গান শোনা হারাম কেন ও গান শোনার শাস্তি সম্পর্কে ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। পরবর্তী পাঠে আমরা গান শোনার উপকারিতা ও গান শোনার অপকারিতা জানবো।  

গান শোনার উপকারিতা - গান শোনার অপকারিতা

এই পাঠে আমরা গান শোনার উপকারিতা ও গান শোনার অপকারিতা সম্পর্কে জানবো। আপনি যদি গান শোনার উপকারিতা ও গান শোনার অপকারিতা না জেনে থাকেন তাহলে এই পাঠটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গান আমাদের ইসলামে হারাম। তাই গান শোনার উপকারিতা নাই বললেই চলে। সুতরাং হারাম জিনিস কখনোই আমাদের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে না। বরং গান শোনার  অপকারিতা হলো এগুলো শোনার ফলে আমরা গুন্নাহ এর ভাগিদার হচ্ছি, পরকালে শাস্তি পেতে হবে, আল্লাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, নিজের ইমানকে নষ্ট করছি, ইত্যাদি। 

তাহলে গান শোনার উপকারিতা ও গান শোনার অপকারিতা সহ আজকের পোস্টের আলোচিত সকল টপিক সম্পর্কে নিশ্চয়ই ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকের পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি বিন্দুমাত্র উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। 18801


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url