কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস - কুষ্ঠ রোগের টিকা

কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস ও কুষ্ঠ রোগের টিকা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। কুষ্ঠ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন রোগ গুলোর অন্যতম একটি অনেকের কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে। এখনো এ ধরনের রোগ সচরাচর দেখা যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস - কুষ্ঠ রোগের টিকা

কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস - কুষ্ঠ রোগের টিকাঃ ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কুষ্ঠ রোগের কারণ, কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ, কুষ্ঠ রোগের প্রতিকার, কুষ্ঠ রোগের ওষুধ এবং কুষ্ঠ রোগের টিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

কুষ্ঠ রোগের কারণ

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করছি। তার আগে আপনাকে অবশ্যই কুষ্ঠ রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কেন কুষ্ঠ রোগ হয়ে থাকে। যেটি আপনাকে কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে সাহায্য করবে। তো চলুন কুষ্ঠ রোগের কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কুষ্ঠ রোগ সাধারণত একটি ব্যাকটিরিয়ার কারণে হয়ে থাকে যেটি আমাদের পরিবেশ বিদ্যমান থাকে। আমাদের শরীরে জিনগত পরিবর্তন এবং বিভিন্ন রকমের বৈচিত্র কুষ্ঠ রোগের ঝুঁকি আরো বেশি বাড়িয়ে দেই। কুষ্ঠ রোগ যেই ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে সেই ব্যাকটেরিয়া আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে। সাধারণত বায়ুর মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগের জীবাণু অর্থাৎ কুষ্ঠ রোগের ব্যাকটেরিয়া টি ছড়িয়ে পড়ে।

কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ

প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যেই জানলাম যে কুষ্ঠ রোগ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এর কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে আপনাকে অবশ্যই কুষ্ঠ রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। যদি আপনি কুষ্ঠ রোগের লক্ষণগুলো জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজেই কুষ্ঠ রোগ হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। নিচে আপনাদের জন্য কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ গুলো দেওয়া হল।

কুষ্ঠ রোগের লক্ষণঃ

  • চামড়া ফ্যাকাশে দাগ ছোপ দেওয়া কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ।
  • শরীরের ত্বকের মধ্যে ছোট ছোট ফোড়ার মত হয়ে যাওয়া।
  • শরীরের চামড়া শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যায়।
  • পায়ের পাতার নিচের অংশে ঘা হয়ে যায়।
  • মুখের বা কানের কিছু স্থানে ফুলে ওঠা।
  • চোখের পাপড়ি উঠে যাওয়া।
  • অনেকে আবার কুষ্ঠ রোগের কারণে পঙ্গু হয়ে যাই।
  • পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া কুষ্ঠ রোগের অন্যতম লক্ষণ।

কুষ্ঠ রোগের প্রতিকার

অনেকেই মনে করে কুষ্ঠ রোগ একটি ছোঁয়াচে রোগ কিন্তু আজকের পোষ্ট থেকে জেনে নিন যে কুষ্ঠ রোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবে এই রোগের আক্রান্ত ব্যক্তি সীমাহীন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। কারন সমাজের মানুষ কুষ্ঠ রোগের সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা। এখন আমরা কুষ্ঠ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। নিচে কুষ্ঠ রোগের প্রতিকার উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায়

কুষ্ঠ রোগের কারণে ত্বকের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। ত্বকের আসল রং তেমন ভাবে দেখা যায় না কিন্তু বিভিন্ন স্থানে গাঢ় বা হালকা রং দেখা দিতে পারে। এই দাগগুলো বেশিরভাগ লালচে হয়ে থাকে। এই রোগ নির্ণয়ঃ চিকিৎসক শরীরের ত্বক বায়োপসি করেন। কুষ্ঠ রোগ হওয়ার ফলে খুব কম মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণের কারণে কুষ্ঠ রোগ হয়ে থাকে।

কুষ্ঠ রোগের ঔষধ - কুষ্ঠ রোগের টিকা

প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে অনেকগুলো আলোচনা করেছি। এরপরে আমরা কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে জানব। আপনার যদি কুষ্ঠ রোগের লক্ষণগুলো দেখা যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অনেকেই জানতে চাই কুষ্ঠ রোগের ঔষধ সম্পর্কে। তাই এখন আমরা কুষ্ঠ রোগের ওষুধ এবং কুষ্ঠ রোগের টিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কুষ্ঠ রোগের ঔষধ এবং কুষ্ঠ রোগের টিকা আলোচনা করা হলো।

ডেপসন নামের এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া যায় চল্লিশের দশকে। এ ওষুধটি সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিল এই ঔষধটি দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া লাগত যে কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া একজন রোগীর পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা অবলম্বন করে কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা করা হতো।

এরপরে কুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য রিফামপিসিন ও ক্লোফাজিমিন নামের দুটি অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা হয়। কুষ্ঠ চিকিৎসায় এই দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করে দেখা গেল ওষুধ তিনটি সমন্বয় এর চিকিৎসা আরও বেশি কার্যকরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তখন থেকে কুষ্ঠ চিকিৎসা এই মাল্টি ড্রাগ থেরাপি চলে আসছে। চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে অল্প সময়ের মধ্যেই কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা কুষ্ঠ রোগ নিয়ে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে জানব। মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কুষ্ঠ রোগ। তাই আপনার অবশ্যই কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত।

কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হলে কেবল শারীরিক যন্ত্রণা নয় মানসিক ও সামাজিক নিপীড়নের শিকার করতে হয়। কারন সমাজের মানুষ এই রোগটিকে সাধারণভাবে নিতে পারে না। বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে কাজ করা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলেছে বেশিরভাগ সময় একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা বিশেষ করে বাংলাদেশের রোগীরা।

প্রতি ১০ হাজার মানুষের কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে একজন এর নীচে নামিয়ে আনা। এটি হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা। ১৯৯৮ বাংলাদেশ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে 4 হাজার মানুষ কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়। সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কুষ্ঠ রোগের আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করণীয় ও রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয় অনেকগুলো দেশে।

কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস - কুষ্ঠ রোগের টিকাঃ উপসংহার

কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস, কুষ্ঠ রোগের টিকা সহ আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আপনাকেও বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url