কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে - কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে ও কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের আজকের এই পোস্ট। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত। আপনারা যারা কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে ও কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে ও কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে।
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে ও কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য গুলো ছাড়াও এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি এবং কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি।
পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে - কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি
- শেষ কথা: কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে - কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে
মানবদেহ অসংখ্য কোষ দ্বারা তৈরি। এই কোষ গুলোর কাজ ও ভিন্ন। এই কাজের বিভিন্ন তার জন্য ই কোষ গুলো পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে থাকে। অনেক সময় একই আকার ও আকৃতি একাধিক কোষ গুচ্ছবদ্ধ হয় এবং তারা একই ধরনের কাজ করে থাকে। এদের গুচ্ছ ও একই থাকে। এই গুচ্ছবদ্ধ কোষ গুলো কেই টিস্যু বলা হয়।
প্রাণী টিস্যু গুলো কে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো: আবরণী টিস্যু, যোজক টিস্যু, পেশী টিস্যু এবং স্নায়ু টিস্যু। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় আবরণী টিস্যুর ১ টি প্রকার নিয়ে। এটি হলো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা জানার আগে চলুন জেনে নিই আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ নিয়ে।
আবরণী কোষ গুলো ঘন সন্নিবেশিত এবং ভিত্তি পর্দার ওপর বিন্যস্ত থাকে। এই টিস্যুর কোষের অবস্থান, আয়তন ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: স্কোয়ামাস, কিউডয়ডাল এবং কলামনার আবরণী টিস্যু। স্কোয়ামাস: যে আবরণী টিস্যু গুলো মাছের আঁইশের মতো চ্যাপ্টা এবং নিউক্লিয়াস বড় হয়ে থাকে তাদেরকে স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু বলে। কলামনার: কলামনার আবরণী টিস্যু হলো স্তম্ভের মতো কোষ গুলো সুরু ও লম্বা। এই টিস্যু গুলো অন্ত্রের অন্ত: প্রাচীরে থাকে। এদের কাজ হলো ক্ষরণ, রক্ষণ এবং শোষণ করা।
আবার আবরণী টিস্যুকে ভিত্তি পর্দার সজ্জার ওপর নির্ভর করে ৩ প্রকার করা হয়েছে। এগুলো হলো: সাধারণ আবরণী টিস্যু, স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু এবং সিউডো স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু। সাধারণ আবরণী টিস্যু: সাধারণ আবরণী টিস্যুতে ভিত্তি পর্দার ওপর কোষ গুলো এক ই স্তরে সজ্জিত থাকে। বৃক্কের অন্ত্রের নালিকা এবং বোমান্স ক্যাপসুলে এদের পাওয়া যায়। স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু: স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যুতে একটি স্তরের আরেকটি স্তর সজ্জিত থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বকে এই টিস্যু গুলো অবস্থিত। যেমন: মানুষের গালে।
সিউডো স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু: সিউডো স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কোষ গুলো ভিত্তি পর্দার ওপর একসঙ্গে সজ্জিত থাকে কিন্তু কোষের উচ্চতা ভিন্ন হওয়ায় দেখতে মনে হয় ভিন্ন ভিন্ন স্তরে সজ্জিত। এরা ট্রাকিয়াতে অবস্থান করে। এছাড়াও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে আবরণী টিস্যু আবার বিভিন্ন ভাবে রুপান্তরিত হয়। যেমন: সিলিয়াযুক্ত আবরণী টিস্যু, ক্ষণপদ যুক্ত আবরণী টিস্যু, ফ্লাজেলাযুক্ত আবরণী টিস্যু এবং জনন কোষের আবরণী টিস্যু।
সিলিয়াযুক্ত আবরণী টিস্যু: যে আবরণী টিস্যু গুলো চুলের ন্যায় তাদেরকে সিলিয়াযুক্ত আবরণী টিস্যু বলে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্বাসনালীর প্রাচীরে এদের দেখা যায়।ফ্লাজেলাযুক্ত আবরণী টিস্যু: থেকে নির্গত চাবুকের মতো অংশকে ফ্লাজেলাযুক্ত আবরণী টিস্যু বলে। এগুলো চলনে সাহায্য করে। ক্ষণপদ যুক্ত আবরণী টিস্যু: হাইড্রার এন্ডোডার্মে এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের অন্ত্রে এদের পাওয়া যায়। জনন কোষের আবরণী টিস্যু: জনন কোষের আবরণী টিস্যু শুক্রাণু এবং ডিম্বানু উৎপন্ন করে।
এখন আমাদের আজকের বিষয় হলো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি এবং কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। প্রথমেই জানাবো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে। পরবর্তীতে বলবো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি। চলুন দেখে নেই কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে:
যে টিস্যুর কোষ গুলো ঘনকের মতো এবং কিউব আকৃতির ও বড় নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট তাকে কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু। এই আবরণী টিস্যু কিউবের মতো দেখতে বলে একে কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বলে। এই আবরণী টিস্যু গুলো বৃক্কের সংগ্ৰাহক নালিকায় থাকে। পরবর্তীতে আমরা জানবো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য গুলো কী, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি।
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি
এই পোস্টের আমি শুরুতেই বলেছি টিস্যু সম্পর্কে। একটি টিস্যু একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত। একটি টিস্যুতে কতগুলো কোষ থাকবে তার কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। আর প্রত্যেকটি কোষে একটি করে নিউক্লিয়াস থাকে। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি। চলুন দেখে নেই কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি:
আরো পড়ুন: কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি সেই প্রশ্নের উত্তর হলো একটি কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুতে অসংখ্য কোষ থাকে। এই প্রত্যেকটি কোষে ই একটি করে বড় নিউক্লিয়াস থাকে। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি আশাকরি তা বুঝতে পেরেছেন। এরপর আমি আপনাকে বলবো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য গুলো কী এবং কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য গুলো এবং কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি তা জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য
আপনি কি জানেন কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য গুলো কী। বিশেষ করে স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনেকেই খুঁজছেন কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য গুলো কী। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি তা এতক্ষণে আলোচনা করেছি। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য। চলুন তাহলে দেখে নেই কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য গুলো কী। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য:
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য হলো কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু গুলো দেখতে কিউবের মতো
- কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য হলো কিউবয়ডাল আবরণী কোষ গুলোর প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা অনেকটা ই সমান থাকে
কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি
প্রত্যেকটি টিস্যুর ই নিজ নিজ কাজ করে থাকে। অবস্থান অনুযায়ী তাদের নিজ কাজ রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করে তাদের নিজ নিজ কাজ সম্পন্ন করে থাকে। যেমন: স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু বৃক্কের ছাঁকন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। আবার কলামনার আবরণী টিস্যু ক্ষরণ, রক্ষণ এবং শোষণ কাজ করে থাকে।
ঠিক এমনি কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর ও কাজ রয়েছে। আপনি কি জানেন কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য ও কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি তা সম্পর্কে পূর্বেই বলেছি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি তা জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আসুন জেনে নেই কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি। কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি: এর প্রধান কাজ হলো পরিশোষণ করা। এছাড়াও এটি যেহেতু আবরণী টিস্যু। তাই আবরণ দেওয়াও এর কাজ।
শেষ কথা: কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে - কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য
বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট। এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু কাকে বলে, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু বৈশিষ্ট্য, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি ইত্যাদি বিষয়ে। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর কাজ কি এবং কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর নিউক্লিয়াস কয়টি।
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। পোস্ট এর কোথাও কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে পোস্টটি শুরু থেকে আবার মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এরপর ও কোনো সমস্যা হলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এরকম আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট পড়তে আমাদের অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আসুন। আজকে এই পর্যন্তই। ২২০৭০