শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত

আপনি কি শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি বলতে যাচ্ছি শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো কী। চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেই শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়। 



এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ, শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়, কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়, শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত - শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত 

শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ 

মানবশরীরে ৩ ধরনের রক্ত কণিকা থাকে। এগুলো হলো: ১.লোহিত রক্ত কণিকা, ২.শ্বেত রক্ত কণিকা, ৩.অনুচক্রিকা। যখন রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কমে যায় তখন তাকে Anemia বা রক্ত শূন্যতা বলে। রক্ত শূন্যতা বললে ভুল হবে। কারণ রক্ত শূন্যতা বলতে বুঝায় রক্ত একেবারেই নেই। কিন্তু রক্ত একেবারেই না থাকলে তো আমরা বাঁচবো ই না। এটাকে রক্ত স্বল্পতা বললে ঠিক হবে। হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ ১০ মিলি গ্ৰাম এর নিচে নেমে আসলে তখন তাকে রক্ত স্বল্পতা ধরা হয়। আর হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ যদি ৬ মিলি গ্ৰাম বা ডেসি লিটার এর নিচে নেমে আসে তখন তাকে মারাত্মক রক্ত স্বল্পতা বা Anemia বলে।

এই রক্ত সল্পতা আমাদের মাঝে অনেকেরই দেখা যায়। সাধারণত এটাকে আমরা তেমন কোনো বড় রোগ হিসেবে ধরি না। তবে হতে পারে এই রক্ত সল্পতা বড় কোনো রোগের আভাস। আপনি কি জানেন শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ গুলো কী। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ  গুলো কী। চলুন তাহলে জেনে নিই শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ গুলো কী। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ: 

সাধারণত আপনার খাবারে যদি বিভিন্ন ভিটামিন যেমন: ভিটামিন বি১২, ফলিক এসিড বা অনেক সময় ভিটামিন সি এর অভাব থাকে তাহলে আপনার শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দিবে। এছাড়াও অতিরিক্ত বা দীর্ঘমেয়াদি রক্ত ক্ষরণের কারণেও রক্ত স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে মাসিক হওয়ার কারণে রক্ত সল্পতা দেখা দিতে পারে। আবার পাইলসের কারণেও দীর্ঘমেয়াদি রক্ত ক্ষরণের কারণে রক্ত স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন অপারেশনের পরেও শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেয়। কারো কারো জন্মগতভাবেই রক্ত স্বল্পতা হয়। 

কিডনিতে সমস্যা, লিভারে সমস্যা অথবা ক্যান্সার রোগীদের ও রক্ত স্বল্পতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জন্মগত ভাবে অনেকের বংশগত কারণে বা অন্য কোনো কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়ে থাকে। থ্যালাসেমিয়া রোগে রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক মতো উৎপন্ন হয় না বা উৎপন্ন হলেও আবার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে আমরা জানবো শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়, কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ।

শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়। শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়

শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় সেই লক্ষণ গুলো সাধারনত খুব ই নীরব থাকে। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় তা যদি আপনার আগে থেকেই জানা থাকে তাহলে লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে আপনি খুব সহজেই টের পেয়ে যাবেন। আর যদি শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেই লক্ষণ গুলো আগে থেকেই জানা না থাকে তাহলে আপনার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলেও টের পাবেন না।  এজন্য অবশ্যই আপনাকে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় তা পূর্বেই জেনে নিতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেই শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়। শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়: 

  • শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় তার অন্যতম একটি লক্ষণ হলো শারীরিক দূর্বলতা। সবসময় ক্লান্তি বোধ করা
  • শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় তার মধ্যে একটি হলো অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা
  • সারাদিন কোনো কাজ না করে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করা
  • অল্প পরিশ্রমে বা সামান্য পরিমাণে হাঁটলেই শ্বাস ঘন হয়ে যাওয়া
  • বুক ধড়ফড় করা 
  • দীর্ঘ মেয়াদি রক্ত স্বল্পতার কারণে চোখ সহ পুরো শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যায় 
  • মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথা ঘোরানো 
  • হাত পা ঝিন ঝিন করে 
  • চোখ ঝাপসা হয়ে আসে 
  •  হাত ভেঙে আসে হাতে জোর পাওয়া যায় না। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় তার মধ্যে এই সমস্যাটি কারো কারো হয় আবার কারো কারো হয় না।
  • নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় তার মধ্যে এই সমস্যাটি কারো কারো হয় আবার কারো কারো হয় না।
  • রোগী বিষন্নতায় ভুগেন 
  • রোগীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া 
  • খাওয়ায় অরুচি বা বমি বমি ভাব
  • ঠোঁটের কোণে বা জিহ্বায় ঘা হওয়া। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় তার মধ্যে এই সমস্যাটি কখনো কখনো কারো দেখা যায় আবার কখনো কখনো দেখা যায় না।

এই সমস্যা গুলো আপনার শরীরে দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হিমোগ্লোবিন টেস্ট করুন এবং ঔষধ সেবন করুন। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ এবং শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় তা এতক্ষণে জানলাম। পরবর্তীতে আমরা জানবো রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো কী, কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ ।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় 

আপাত দৃষ্টিতে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো নিয়ে কেউ ই খুব বেশি একটা সচেতন নয়। কিন্তু এটি মোটেও অবহেলা করার বিষয় নয়। রক্ত স্বল্পতা থেকে শরীরে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। আবার কোনো বড় রোগের উপক্রম ও হতে পারে। তাই শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো টের পেলেই কী করবেন দেখে নিন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো হলো: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ সেবন করা, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত গোসল ও ব্যায়াম করা। 

পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিন এর স্বাভাবিক পরিমাণ প্রতি লিটারে ১৩০-১৮০ গ্ৰাম। আর মহিলাদের দেহে এর স্বাভাবিক পরিমাণ ১১৫-১৬৫ গ্ৰাম। এর থেকে কম হলে রক্ত সল্পতা দেখা দিবে। আর যদি হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ প্রতি লিটারে ৭০-৮০ এর মধ্যে চলে যায় তাহলে তাকে মারাত্মক এনিমিয়া বলে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলো নিয়মিত মেনে চলতে পারলে বিভিন্ন জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

আরো পড়ুন: সোভা নামের অর্থ কি - শোভা নামের ইসলামিক অর্থ কি

বিশেষ করে শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত এগুলো আপনাকে জানতে হবে। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত তা মেনে চলতে পারলে আপনি রক্ত স্বল্পতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ এবং শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় তা আমরা পূর্বেই জেনেছি পরবর্তীতে শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত, কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ তা নিয়ে আলোচনা করব।

রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত 

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়  গুলোর মধ্যে খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। খাবারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। দুটি উৎস থেকে আপনি আপনার শরীরের আয়রন, ফলিক এসিডের অভাব পূরণ করতে পারেন। এই দুটি উৎস হলো প্রানিজ উৎস এবং খনিজ উৎস। 

আপনি চাইলে প্রানিজ উৎস থেকেও আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আবার চাইলে উদ্ভিজ উৎস থেকেও হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। অথবা উভয় উৎস থেকেও হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। এই খাবার গুলো শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। চলুন তাহলে দেখে নেই রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত: 

উদ্ভিদ উৎস 

আপেল, বেদানা, আঙ্গুর, পেয়ারা, পাকা কলা, ড্রাগন ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এই খাবার গুলো রক্ত বৃদ্ধি করতে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করবে। এছাড়াও উদ্ভিজ উৎসের মধ্যে আরো রয়েছে কচু শাক, পালং শাক, ছোলা, বিট, সিদ্ধ আলু, ধনিয়া পাতা, পুদিনাপাতা, ফুলকপি, কাঁচাকলা, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, লাল শাক, শিম, মুসুর ডাল, মাসকলাইয়ের ডাল, মুগ ডাল, খেজুর, বাদাম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে এই খাবার গুলোর ঘাটতির কারণেও আপনার শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। যার ফলে শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেইসব জটিলতা দেখা দিতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলোর মধ্যে এই খাবার গুলো খেতে পারেন।

প্রানিজ উৎস

গরুর মাংস, খাসির মাংস, যেকোনো লাল মাংস, গরু বা খাসির কলিজা, টার্কি মুরগি, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে এই খাবার গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় তা সম্পর্কেও আমারা আলোচনা করব। পরবর্তীতে শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ এর মধ্যে আয়রনের ঘাটতি অন্যতম। যা এই খাবারের মাধ্যমে পূরণ করতে পারেন। যার ফলে শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় বা শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেই সব জটিলতা গুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

ধনিয়া পাতা এবং পুদিনাপাতার মিশ্রণ 

ধনিয়া পাতা এবং পুদিনাপাতা ব্লেন্ড করে তার সাথে ভিটামিন সি হিসেবে কাঁচামরিচ বা তেঁতুল, আদা কুচি, রসুন কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে। এছাড়াও এই মিশ্রণটি আবার মুখের রুচি বাড়াতেও সাহায্য করবে। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ এর মধ্যে অন্যতম কারণ আয়রনের ঘাটতি এই মিশ্রণটির মাধ্যমে পূরণ করতে পারবেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলোর মধ্যে এই টিপসটি ফলো করতে পারেন। শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত তার মধ্যে এটি অন্যতম একটি উপায়। পরবর্তীতে আমরা জানবো কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলো কী।

কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়

শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত তা তো এতক্ষনে জানলাম। এখন জানবো কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়। আপনি কি জানেন কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়? কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় তা জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেই কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়।‌‌ শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে হলে আপনাকে জানতে হবে কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়। কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়: রক্ত বৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক মাছের গুরুত্ব তুলনাহীন। 

সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলোর মধ্যে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন।আর আয়রনের ঘাটতি হলো শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ। যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করে। কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় তার মধ্যে সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও আমাদের দেশী যে মাছ গুলো রয়েছে তার মধ্যে শিং মাছ এবং টেংরা মাছ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্ত বৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক মাছ, শিং মাছ এবং টেংরা মাছ খেতে পারেন। এই মাছ গুলো আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ 

কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয় তা আমরা জেনেছি এখন আমরা দেখে নিব শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলো কী। শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে যেই ঔষধ ই সেবন করেন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলোর মধ্যে একটি হলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ সেবন করা।‌ একজন রক্ত স্বল্পতার রোগীর অন্যতম করণীয়। 

আপনার শরীরের লক্ষণ গুলো শুনে ডাক্তার আপনাকে প্রয়োজনীয় টেস্ট দিবেন। এরপর যদি আপনার শরীরে সত্যি ই রক্ত শূন্যতা ধরা পড়ে তাহলে ডাক্তার আপনাকে প্রয়োজনীয় শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলো দিবেন। শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলোর কয়েকটির নাম আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ গুলো যেমন আয়রন, ফলিক এসিড এবং লৌহের ঘাটতি গুলো পূরণ শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলো সাহায্য করবে।চলুন তাহলে দেখে নেই শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ গুলো কী। শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ:

Compiron 

আপনি যদি রক্ত স্বল্পতায় ভুগে থাকেন। তাহলে এই শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ টি খেতে পারেন। শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেই সকল জটিলতা গুলো থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তাররা এই ঔষধ টি দিয়ে থাকেন। ঔষধ টি আপনার শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ২ বেলা ১ চামচ করে খেতে পারবে। আর ৬-১০ বছরের শিশুরা ১ চামচ করে ১ বেলা খেতে পারবে। 

তবে যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে ২ বেলা খেতে পারবে। ২-৬ বছরের বাচ্চারা ১ চামচ করে ১ বেলা খেতে পারবে। আর রোগীর বয়স ১-২ বছরের হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ টি তে খুব বেশি একটা সাইড এফেক্ট নেই। তবে খুব অল্প সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা দিতে পারে। যেমন: বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা। আবার খুব বেশি পরিমাণে খেলেও এই সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। 

Dexorange syrup 

৩ টি উপাদান যথা: আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ফলিক এসিড এর মিশ্রণ রয়েছে এই সিরাপ টিতে। যা আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে। শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ টি পুরুষ অথবা মহিলা কিংবা শিশু অথবা বৃদ্ধা উভয় মানুষেরাই খেতে পারবে। আপনার শরীরে যদি হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি থাকে তাহলে এই সিরাপ টি সেবন করতে পারেন। এটি আপনার শরীরে খুব দ্রুত রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেই সব জটিলতা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।

Zif-CI 

রক্ত স্বল্পতার কারণে যারা শারীরিক দূর্বলতা বা অন্যান্য জটিলতায় ভুগছেন তারা এই ঔষধ টি সেবন করতে পারেন। কার্বোনিল আয়রন, ফলিক এসিড এবং জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট এর মিশ্রণ দিয়ে এই ঔষধ টি তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ স্কয়ার কোম্পানির একটি ঔষধ। রক্ত তৈরির মূল উপাদান আয়রন এর ঘাটতি পূরণ করে এই ঔষধ টি। শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ আয়রন, ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর ঘাটতি এই ঔষধ টি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

Maltofer Iv injection 

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির করতে এই ঔষধ টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধটি সেবন করুন। এই ঔষধ টি খুব দ্রুত আপনার শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে। শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয় সেই সকল জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে এই ঔষধ টি সেবন করুন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় গুলোর মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন।

শেষ কথা: শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত

এই ছিল আমাদের আজকের "শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত" সেই সম্পর্কে কিছু টিপস। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও জানতে পারে শরীরে রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত। এছাড়াও আরো জানতে পারবে  রক্ত কমে গেলে কি খাওয়া উচিত, শরীরে রক্ত বৃদ্ধির ঔষধ, শরীরে রক্ত কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়, কোন মাছ খেলে শরীরে রক্ত হয়, শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়, শরীরে রক্ত কমে যাওয়ার কারণ, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়। আজকে এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ। ২২০৭০

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url