কেমোথেরাপি দিলে কি হয় - কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয়
কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো আমাদের অনেকের অজানা। কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এগুলা আমাদের অনেক জানা দরকার। আজকে আমাদের আলচনার মূল বিষয় হল কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় সেই সম্পর্কে। জেনে নিন
বর্তমানে একটি বহুল পরিচিত চিকিৎসা হচ্ছে কেমোথেরাপি। বর্তমানে এমন কোন হাসপাতাল নেই যেখানে কেমোথেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়না। কেমোথেরাপি চিকিৎসাতেই কিছুটা সাশ্রয়ী এজন্য অনেকেই চিকিৎসা নিতে সুবিধা হয়। কেমোথেরাপি দেয়া হয় সচরাচর ক্যান্সারের রোগীদের।
পেজ সূচিপত্রঃ কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয়
ক্যান্সারের একটি পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত চিকিৎসা হচ্ছে কেমোথেরাপি। ক্যান্সার চিকিৎসার কথা মাথায় আসলেই আমাদের মাথায় আসে কেমোথেরাপির কথা। কিন্তু আমরা কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এই সম্পর্কে কোন ধারনাই রাখিনা।
কেমোথেরাপির অনেক ধরনের প্রকার রয়েছে এবং অনেক পদ্ধতিতে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত ধারণা নেব কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয়।
কেমোথেরাপি কি
কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় কে সম্পর্কে আমাদের জানার পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে কেমোথেরাপি কি? কেমোথেরাপি হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা। ক্যান্সারের জন্য একটি বিশেষ ধরনের চিকিৎসা রয়েছে এই চিকিৎসা কে বলা হয় কেমোথেরাপি।
আরো পড়ুনঃ মসজিদে নববী কোথায় অবস্থিত
কেমোথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়
সচরাচর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হিসেবে কেমোথেরাপি প্রচলিত। কেমোথেরাপি কিভাবে দেয়া হয় এই সম্পর্কে আমাদের খুব কম মানুষের ধারণা রয়েছে। কেমোথেরাপি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস করা এবং সেই ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো।
কেমোথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়। ক্যান্সার এর ধরন এবং লক্ষণ অনুযায়ী ৩ রকম ভাবে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।
- ইঞ্জেকশন
- ওরাল
- টপিক্যাল
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য আলাদা অনেক বড় রকমের একটি মেশিন ব্যবহার করে এই থেরাপি প্রদান করা হয়। এ কেমোথেরাপির নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো সম্পর্কে রোগী এবং রোগীর লোক ধারণা রাখা উচিত।
কেমোথেরাপির প্রকারভেদ
ক্যান্সারের চিকিৎসা চালু হওয়ার পরে কেমোথেরাপি বেশ কয়েক রকম ভাবে প্রয়োগ করা হয়।কেমোথেরাপির বেশ কয়েকটি প্রকার রয়েছে। কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো পুরোপুরি নির্ভর করে কেমোথেরাপির প্রকারভেদ এর উপর কারণ কোন প্রকার থেকে মথুরাপুর সাইডিফেক্ট পড়ছে সেটা সহজে বুঝা যাবে।
নিচের কেমোথেরাপির বেশকিছু প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো
- অ্যাডজুভেন্ট কেমোথেরাপি।
- প্যালিয়েটিভ কেমোথেরাপি।
- সেকেন্ড লাইন কেমোথেরাপি।
- নিউ অ্যাডজুভেন্ট কেমোথেরাপি।
- ইন্ডাকশন কেমোথেরাপি।
- কনসলিডেশন কেমোথেরাপি।
- ফাস্ট লাইন কেমোথেরাপি।
- মেইনটেন্স কেমোথেরাপি।
উপরিউক্ত এই ৮ ধরনের কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। ক্যান্সার চিকিৎসা চালু হওয়ার পরে যখন কেমোথেরাপি দেওয়া হয় ঠিক তখনই আট ধরনের কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয় একজন রোগীর দেহে।
কেমোথেরাপির ধরন
কেমোথেরাপির অনেক রকমের ধরন রয়েছে।কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো জানার পূর্বে আমাদের কেমোথেরাপির ধরন গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
কেমোথেরাপির কিছু ধরন
সাধারণত কেমোথেরাপি এই ৪ ধরনের ঔষধ এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
- অ্যালকাইলেটিং এজেন্ট।
- এন্টিমেটাবলিটস।
- প্লান্ট অ্যালকালয়েড।
- আন্থ্রা সাইক্লিন।
উপরিউক্ত এই চার ধরনের ঔষধ এর মাধ্যমে খুব সহজে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপির এই ধরনের লোক রোগীর শারীরিক অবস্থান এবং ক্যান্সারের মাত্রা অনুযায়ী প্রদান করা হয়।
কেমোথেরাপি দিলে কি হয়
কেমোথেরাপি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্যান্সারের প্রসার রোধ করা। সচরাচর ক্যানসারের কোষ গুলো ধ্বংস করা এবং সেই কোষগুলো থেকে যাতে ক্যান্সার ছড়িয়ে না পড়ে সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা কেমোথেরাপির কাজ। কেমোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করা হয় এবং সে কোষগুলো থেকে যাতে নতুন কোনো আক্রান্ত না হয় সেই দিক প্রাচীর তৈরি করা থেরাপির কাজ। ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এগুলো জানা আমাদের দরকার।
কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয়
ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা হিসেবে যখন কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয় ঠিক সেইরকম ভাবে এই কেমোথেরাপির অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। । এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গোলক কিছু কিছু রোগী সহ্য করতে পারে আবার কিছু কিছু রোগী সহ্য করতে পারেনা।কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এই প্রশ্ন গুলোর মধ্যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অন্যতম।
নিচে কেমোথেরাপির বেশ কিছু সমস্যা উল্লেখ করা হলোঃ
- কেশ গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে যার কারণে প্রায়ই রোগীর মাথার চুল পড়ে যায়।
- প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
- ছেলে মেয়ে উভয়েই বন্ধ্যাত্বের প্রবণতা প্রকাশ পায়।
- বমি বমি ভাব হয়।
- ত্বক শুকিয়ে যায়।
- নখ শুকিয়ে যায়।
- ঘন ঘন মন মেজাজের পরিবর্তন ঘটে।
উপরিউক্ত সমস্যাগুলো সহ নানারকম সমস্যা একজন রোগীর দেহে প্রকাশ পায় কেমোথেরাপি শুরু হলে। কেমোথেরাপি দিলে সচরাচর এই সমস্যাগুলো প্রকাশ পায়।
উপসংহার
উপরিউক্ত তথ্যগুলো থেকে আমরা অবশ্যই জানতে পেরেছি কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে কেমোথেরাপি কেমোথেরাপি সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই ধারণা রাখে কিন্তু আমরা ধারণা রাখিনা কেমোথেরাপি দিলে কি হয়-কেমোথেরাপি দিলে কি কি সমস্যা হয় এই সকল বিষয়।উপরোক্ত লেখা থেকে আমরা অবশ্য এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।22042