নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ - নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজে চলেছি। মানব জীবনে এই প্রশ্নগুলো আমাদেরকে সবসময় তাড়া করে এবং নানা রকম প্রতিবন্ধকতা এই নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বাধা সৃষ্টি করে। আসুন আজকে বিস্তারিত জানি নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। 
মানবজীবনে বন্ধ্যাত্ব একটি বড় রকমের সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান আছে কিনা তা আমাদের কারো জানা নেই। বাকি করলে এর সমাধান হবে সেই সিস্টেম আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। বিস্তারিত

পেজ সূচিপত্রঃ নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা

মানবজীবনে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাটা একটি বরো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমরা মনে করি নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সমস্যাটি শুধু নারীদের হয় কিন্তু এটি সম্পূর্ণ আমাদের ভুল ধারণা এটা পুরুষদের হয়। এই সমস্যাটির সমাধান হয় নাই নানারকম কুসংস্কারের জন্য বানানো রকম কুসংস্কারের পড়ে মানুষ মনে করে এর কোনো চিকিৎসা নেই।

মানবজীবনে এটি একটি বড় রকমের ভুল ধারণা এর যথাযথ চিকিৎসা রয়েছে আবার যথাযথ নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো ফলে খুব সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই আসুন আমরা বিস্তারিত জানি নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ  নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।

বন্ধ্যাত্ব কি

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে বন্ধ্যাত্ব কি? বন্ধ্যাত্ব বলতে আমরা বুঝি সচরাচর দুই বছরেরও অধিক সময় বা তারও বেশি সময় কোনো দম্পতি যদি গর্ভ ধারণে ব্যর্থ হয় এবং তারা তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পরও ব্যর্থ হচ্ছেন সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও তখন আমরা তাকে বন্ধ্যাত্ব বলবো।
বন্ধ্যাত্বের বিষয়টি নারী-পুরুষ উভয়ই হয় আমরা যদি বন্ধ্যাত্বের জন্য শত নারী কে দায়ী করি তাহলে সম্পূর্ণ ভুল হবে কারণ এটি পুরুষেরও হতে পারে। এটি ধরা পড়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আসলে সমস্যাটি একজন নারীর একজন পুরুষের।

নারীদের বন্ধ্যাত্ব কি

সচরাচর নারী-পুরুষের বিবাহের মাধ্যমে তারা দম্পতিতে পরিণত হয় আর এ দম্পতি যখন একসাথে বসবাস শুরু করে তখন তাদের মধ্যে মিলন হয়। কিন্তু তাদের এই একসাথে থাকা বা নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় যখন কোনো দম্পতি গর্ভধারণ করতে ব্যর্থ হয় তখন তাকে বন্ধ্যাত্ব বলবে আর সমস্যাটা যখন নারীর মাধ্যমেই হয় একজন নারীর সমস্যা হয় তখন সেটাকে নারীদের বন্ধ্যাত্ব বলা হবে একজন নারীর সেটা বলা হবে।

সচরাচর নারীদের বন্ধের বিষয়টি প্রতি লক্ষ্য করা যায় নানা রকম কারণ রয়েছে। এই কারণগুলোর কারণে সচরাচর নারীরা বন্ধ হয় তাই নারীদের বন্ধ্যাত্বের জন্য বেশ কিছু জিনিস লক্ষণ আগে থেকে প্রকাশ পায়।

নারীদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানার পূর্বে অবশ্যই বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ আপনাদেরকে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ জানতেন না পারেন তাহলে কি করে বুঝবেন যে একজন নারী ভবিষ্যতে বন্ধ্যা হতে চলেছে। আসুন নিজে কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
এন্ডোমেট্রিওসিসঃ সচরাচর কিছু মহিলাদের পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে কম ব্যথা হয় আবার অনেকের ব্যথা হয়না বললেই চলে। আবার কিছু কিছু মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন সময় অতিরিক্ত ব্যথা হয় এবং ক্রেম্পের সম্মুখীন হতে হয়।
মাসিক চক্রের অনিয়মঃ নিয়মিত বা অনিয়মিত মাসিক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মাসিক চক্রের অনিয়ম বা অনিয়মিত পিরিয়ড সকলকে সকলের এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত যার কারণে বন্ধ্যাত্ব হয়।
হরমোন সমস্যাঃ কিছু কিছু মানুষের হরমোনের সমস্যা থাকে কারো হরমোন কম উৎপাদন হয় আবার কারও হরমোন বেশি উৎপাদন হয়। এটি হলো বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ।
সেক্সের সময় ব্যথাঃ সেক্সের সময় ব্যথা এই জিনিসটি আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এটি মা একজন নারীর প্রজননের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ এটি উপর ভালো-মন্দ নির্ভর করে।
ঋতুস্রাবের সময় রক্তক্ষরণঃ ঋতুস্রাবের সময় যদি রক্তক্ষরণ হয় তাহলে অবশ্যই এর জন্য চিকিৎসা করতে হবে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ বন্ধ্যাত্ব হওয়ার ক্ষেত্রে এই কারণটিও একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
স্থূলতাঃ স্থূলতা বা অতিরিক্ত মেদ বা শরীর অতিরিক্ত মোটা এ বিষয়গুলো সব সময় মাথায় রাখতে হবে কারণ স্থূলতা সবসময়ই একটি ক্ষতিকর দিক স্থূলতা থাকলে খুব সহজেই একজন মানুষ বন্ধ হতে পারে কারণ স্থূলতা সবসময় দেহের জন্য ক্ষতিকর
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অবশ্যই জানতে পেরেছি নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব

নারী-পুরুষ উভয়েই দম্পতি হিসেবে থাকার পরেও যখন তারা গর্ভ ধারণে ব্যর্থ হয় তখন সেটি বন্ধ্যাত্বের কারণ ব্যক্তিকে বলা হবে কিন্তু সেই সমস্যাটি যখন একজন পুরুষের হয় তখন সে পুরুষকে বন্ধা বলা হয়। এই রকম পরিস্থিতিতে সচরাচর নারী বন্ধ হয় না বন্ধ হয়ে পুরুষ নারী সুস্থ থাকার ফলে তারা গর্ভ ধারণে ব্যর্থ হচ্ছে তার মানে সমস্যাটি যখন পুরুষের হয় তখন একজন পুরুষকে বন্ধ বলা হয়।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে গেলে অবশ্যই পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ আপনাকে জানতে হবে কারণ আপনি যদি এটা না জানেন তাহলে সবসময় নারীদের প্রতি আপনাদের লক্ষ্য থাকবে কিন্তু একজন পুরুষের প্রতি কখনো আপনাদের লোক থাকবে না।
নিচে বন্ধ্যাত্বের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হল যেগুলো পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়ঃ
  • শুক্রাণুর সংখ্যা কম শুক্রাণু সাথে অন্য কোন ধরনের বা অন্য কোন অঙ্গের বা নানারকম সমস্যা সৃষ্টি। 
  • টেস্টিকুলার প্রটেস্ট বা যৌন সমস্যার অতীতের ইতিহাস।
  • পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব থাকা কিছুটা বংশপরম্পরায়।
  • ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে কেমোথেরাপির মত চিকিৎসা।
  • অন্ডকোষের অস্বাভাবিক আকৃতি বা ফোলা ভাব।
  • যৌনাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানার পূর্বে উপরিউক্ত লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে আগে। কারণে লক্ষণগুলো না জানলে আমরা কখনই বন্ধ্যা ধারণাটি পাবনা এবং সে অনুযায়ী আমরা কোন ধরনের চিকিৎসা বা সর্তকতা মধ্যে যেতে পারবো না।

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা এইটি আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। একজন নারী পুরুষ একসাথে থাকার পরেও নিজেদের অনেক চেষ্টা করার পরেও যখন দ্বারা গর্ভ ধারণে ব্যর্থ হয় তখন এই বিষয়টি বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার দিকে চলে যায়। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা বেশ কিছু জিনিসের ওপর নির্ভর করে যেমনঃ 
  • বন্ধ্যাত্বের কারণ জানা থাকলে।
  • আপনার পাশাপাশি আপনার সঙ্গীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য।
  • আপনি কতদিন ধরে গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন সেটার উপর।
  • আপনার জীবন যাত্রা।
  • বয়স।
উপরোক্ত কারণগুলো সচারচর চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এছাড়াও যদি সমস্যা বেশি হয় সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ, সার্জারি সহ নানা রকম চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো যথাযথভাবে করলেই সমস্যা খুব সহজেই চলে যায়।

উপসংহার

 নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্ক উপরোক্ত আলোচনা থেকে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছি। আমাদের প্রত্যেককেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আমরা খুব সহজেই এই সমস্যায় জড়িয়ে পড়বো এবং কোনভাবেই এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পাবোনা।
নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ সহ নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের যথাযথ ধারণা রাখতে হবে যদি আমরা যথাযথ ধারণা ধারণা রাখি খুব সহজেই আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে পারবো এবং নতুন ভাবে জীবন-যাপন করতে পারব একই সুখী জীবন পার করতে পারবো।22042
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url