বাংলাদেশ সংবিধান pdf - বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
আমরা অনেকেই বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট কিছুই জানি না। আজ আমরা আমাদের পোস্টটিতে বাংলাদেশ সংবিধান pdf, বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কয়টি, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে তা নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন আর দেরি না করে বাংলাদেশ সংবিধান pdf, বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কয়টি, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে তা বিস্তারিত জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ সংবিধান pdf - বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
- বাংলাদেশ সংবিধান pdf | বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
- বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ
- বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ
- বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি
- বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে
- বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে
- বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি
- বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ সংবিধান pdf - বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
বাংলাদেশ সংবিধান pdf | বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল।
বাংলাদেশের লিখিত সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় আর একই বছরে বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২ দেখতে এখানে চাপ দিন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ
বাংলাদেশ সংবিধানের ধারা বা অনুচ্ছেদ ১৫৩ টি। নিচে ১৫৩ টি ধারা সম্পর্কে দেওয়া হল-
- প্রজাতন্ত্র
- প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
- রাষ্ট্রভাষা
- জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
- রাজধানী
- নাগরিকত্ব
- সংবিধানের প্রাধান্য
- মূলনীতি সমূহ
- জাতীয়তাবাদ
- সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
- গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
- ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
- মালিকানার নীতি
- কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
- মৌলিক প্রয়ােজনের ব্যবস্থা
- গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
- অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
- জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
- সুযোগের সমতা
- অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম
- নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
- নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ
- জাতীয় সংস্কৃতি
- জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন
- আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সঙ্ঘতির উন্নয়ন
- মৌলিক অধিকারের অসামঞ্জস্য আইন বাতিল
- আইনের দৃষ্টিতে সমতা
- ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ প্রভৃতি কারণে বৈষম্য
- সরকারী নিয়ােগ লাভের সুযােগের সমতা
- বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ
- আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার।
- জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার।
- গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষকবচ।
- জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
- বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে নীতি।
- চলাফেরার স্বাধীনতা।
- সমাবেশের স্বাধীনতা।
- সংগঠনের স্বাধীনতা।
- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতা
- পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা
- ধর্মীয় স্বাধীনতা
- সম্পত্তির অধিকার
- গৃহ ও যােগাযােগের সংরক্ষণ
- মৌলিক অধিকারের প্রয়োগ
- শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন
- দায়মুক্তি প্রদানের ক্ষমতা
- কয়েকটি আইনের হেফাজত
- রাষ্ট্রপতি
- ক্ষমার অধিকার
- রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ
- রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
- রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
- অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
- অনুপস্থিতি ও অন্যন্য সময়ে রাষ্ট্রপতি পদে স্পীকার
- মন্ত্রিসভা
- মন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ
- মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ
- স্থানীয় শাসন
- স্থানীয় শাসন প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা
- সর্বাধিনায়ক
- প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি
- যুদ্ধ
- অ্যাটর্নি জেনারেল
- সংসদ প্রতিষ্ঠা
- সংসদে নির্বাচিত হইবার যােগ্যতা ও অযােগ্যতা
- সংসদের আসন শূন্য হওয়া
- সংসদ সদস্যের পারিশ্রমিক
- শপথগ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভােটদান করলে সদস্যের অর্থদণ্ড
- পদত্যাগ কারণে আসন শূন্য হওয়া
- দ্বৈত সদস্যতায় বাধা
- সংসদের অধিবেশন
- সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
- স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার
- কার্যপ্রণালী বিধি, কোরাম প্রভৃতি
- সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
- ন্যায়পাল
- সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি
- সংসদ সচিবালয়
- আইন প্রণয়ন পদ্ধতি
- অর্থবিল
- আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ
- সংসদের আইন ব্যতীত করারােপে বাধা
- সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব
- সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রণ
- প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রদেয় অর্থ
- বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি
- সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়
- বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি
- নির্দিষ্টকরণ আইন
- সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরি
- হিসাব ঋণ প্রভৃতির ওপর ভােট
- অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা
- সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
- বিচারক নিয়ােগ
- বিচারকদের পদের মেয়াদ
- অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি
- সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ
- বিচারকগণের অক্ষমতা
- সুপ্রীম কোর্টের আসন
- হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার
- কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা।
- আপীল বিভাগের ক্ষমতা।
- আপীল বিভাগের পরােয়ানা জারী ও প্রয়োগ।
- আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা।
- সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার।
- সুপ্রীম কোর্টের বিধি-প্রণয়ন ক্ষমতা।
- কোর্ট অব রেকর্ড রূপে সুপ্রীম কোর্ট।
- আদালত সমূহের উপর তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ।
- অধস্তন বিভাগ হইতে হাইকোর্ট বিভাগের মামলা স্থানান্তর।
- সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকারিতা।
- সুপ্রীম কোর্টকে সহায়তা
- সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারী
- অধঃস্তন আদালতসমূহ প্রতিষ্ঠা
- অধঃস্তন আদালতে নিয়ােগ
- অধঃস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা
- প্রশাসনিক ট্রাইবুনালসমূহ
- নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
- নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব
- নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ
- প্রতিটি এলাকার জন্য একটি মাত্র ভােটার তালিকা
- ভােটার তালিকায় নামভুক্তির যােগ্যতা
- নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়
- নির্বাচন সম্পর্কে সংসদে বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
- নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা
- নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান
- মহা হিসাব নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা
- মহা হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব
- মহা হিসাব নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ
- অস্থায়ী মহা হিসাব নিরীক্ষক
- প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষার আকার ও পদ্ধতি
- সংসদে মহা নিরীক্ষকের হিসাব উপস্থাপন
- নিয়ােগ ও কর্মের শর্তাবলী
- কর্মের মেয়াদ
- অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি
- কর্মবিভাগ পুনর্গঠন
- কমিশন প্রতিষ্ঠা
- সদস্য নিয়ােগ
- পদের মেয়াদ
- কমিশনের দায়িত্ব
- বার্ষিক রিপাের্ট
- সংবিধানে বিধান সংশােধনের ক্ষমতা
- প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি
- সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব
- চুক্তি ও দলিল
- বাংলাদেশের নামে মামলা
- কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি
- পদের শপথ
- প্রচলিত আইনের হেফাজত
- ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী
- রহিতকরণ
- ব্যাখ্যা
- প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযােগ্য পাঠ
বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ | বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কয়টি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান হল স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইন। ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় আর একই বছরে বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে আছে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ১টি প্রস্তাবনা, ৪টি তফসিল।
বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
লিখিত সংবিধান- পৃথিবীতে মোট ২ ধরনের সংবিধান আছে। তা হল- (১) লিখিত সংবিধান, (২) অলিখিত সংবিধান।
লিখিত সংবিধান- লিখিত সংবিধান হল সেই সংবিধান যা একটি বই আকারে সংবিধানের সকল মূলনীতি লিখা থাকবে।
অলিখিত সংবিধান- অলিখিত সংবিধান হল সেই সংবিধান যা কোথাও লেখা থাকবে না, বা সংবিধানের সকল মূলনীতি একটি বই আকারে লিখা থাকবে না বরং বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে লিখা থাকবে। বাংলাদেশ লিখিত সংবিধানের আওতাভুক্ত। বাংলাদেশে লিখিত সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর আর কার্যকর হয় ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ, ১টি প্রস্তাবনা ও ৪টি তফসিল আছে।
অনমনীয় সংবিধান- অনমনীয় সংবিধান বলতে বোঝায় যে সংবিধান সংশোধন করা কঠিন, বা যা সাধারন আইনের মতো সংশোধন করা যায় না। এই ধরনের ভুল সংবিধান সংশোধন করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনমনীয় সংবিধান কারণ এই সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের ক উপঅনুচ্ছেদের আ দফায় বলা হয়েছে মোট সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট না পেলে এই সংবিধান সংশোধন করা যাবে না।
প্রস্তাবনা- বাংলাদেশের সংবিধান প্রস্তাবনা দিয়ে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে সংবিধানের মূল কথা ও মূলনীতি বিদ্যমান। সংবিধানের প্রস্তাবনা হল আইনগত ও নৈতিক ভিত্তি। বাংলাদেশের সংবিধানেই এই দেশের উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্যর কথা বলা হয়েছে।
সংবিধানের আধিপত্য- সকল আইনের উপরে হল সংবিধান। যদি সংবিধানের সাথে অন্য কোন আইন অসামঞ্জস্য হয় তাহলে ঐ আইন বাতিল করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদে সংবিধানের আধিপত্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৭(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সংবিধানই হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন এবং সংবিধানের সাথে যদি অন্য কোন আইন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে সেই আইন যতখানি অসামঞ্জস্য হবে ততখানি আইন বাতিল হবে।
একক সরকার পদ্ধতি- বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সকল সরকারি ক্ষমতা এককভাবে থাকবে অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে একক। বাংলাদেশ সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদে একক সরকার পদ্ধতিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ হবে একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র হবে।
এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা- এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা বলতে বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট সেটাকেই বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশের আইনসভা সম্পর্কে বাংলাদেশ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এই কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশের আইনসভা হবে এক কক্ষ বিশিষ্ট যার নাম জাতীয় সংসদ। জাতীয় সংসদ দ্বারা তৈরি করা আইন বাংলাদেশের সকল জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি- বাংলাদেশ সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। মূনলীতিগুলো হল - জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই নীতি অনুসারে অন্যসকল আইন বা মূলনীতি তৈরি করতে হবে।
মৌলিক অধিকার- বাংলাদেশ সংবিধানে মোট ১৮টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা, গ্রেফতার সম্পর্কে রক্ষাকবচ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ইত্যাদি অধিকারগুলো সংবিধান নিশ্চিত করেছে। এই সকল অধিকার সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। কেউ যদি এই সকল অধিকারের মধ্যে থেকে যেকোন একটি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সে ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রীট আবেদন করতে পারবে এবং সুপ্রিমকোর্ট তা কার্যকর করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কেউ মৌলিক অধিকারের আইন সম্পর্কে অসামঞ্জস্য আইন তৈরি করতে পারবে না। যদি কেউ তা করে তাহলে যতটুকু অসামঞ্জস্য হবে ততটুকু বাতিল করে দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা- বাংলাদেশ সংবিধানের ২ অধ্যায়ের ২২ নং অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ পৃথক করার কথা বলা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে আরও বলা আছে রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গসমূহ থেকে বিচার বিভাগের পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে নিশ্চিত করবে। এই কথাটি সংবিধানে বলা থাকলেও মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তা কার্যকর হয়। রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে অন্যান্য বিচারপতি ও অধস্তন আদালতের বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ন্যায়পাল- বাংলাদেশ সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল পদ সংসদ আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে সংসদ আইনের মাধ্যমে ন্যায়পালকে কোন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারির কাজ সম্পর্কে তদন্ত করার ক্ষমতা ও অন্যান্য ক্ষমতা দিতে পারবে এবং তাকে যে সকল ক্ষমতাগুলো দেওয়া হবে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং তার কাজ অনুযায়ী বাৎসরিক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে ও সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে এখনও কোন ন্যায়পাল পদ প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ন্যায়পাল একটি সাংবিধানিক পদ। বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজে ন্যায়পাল প্রয়োজন।
বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে
তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান উপস্থাপন করেন এবং ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর তা গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি
বাংলাদেশের সংবিধানের মাত্র একটি প্রস্তাবনা আছে। তা নিচে দেওয়া হল-
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের জনগন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠা করেছি।
আমরা শপথ করছি যে, বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতি হবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। কারণ এই সকল আদর্শের জন্য আমাদের দেশের আদর্শ বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্ননিয়োগ ও বীর শহীদকে প্রাণোৎসর্গ করতে হয়েছিল।
আমরা শপথ করছি যে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য। আইন শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, ও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে সকল নাগরিকের জন্য।
আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, আমরা যাতে স্বাধীন সত্ত্বায় সমৃদ্ধি লাভ করতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি, সেজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি স্বরূপ ও সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা এবং রক্ষণাবেক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য।
এতদ্বারা আমাদের গণপরিষদে জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর (বাংলা ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ১৮ কার্তিক) এই সংবিধান রচনার লিপিবদ্ধ করে সমবেতভাবে গ্রহন করলাম।
বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে
বাংলাদেশ সংবিধানের অভিভাবক হল সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের ২ টি ডিভিশন আছে তা হল-
- আপিল বিভাগ
- হাইকোর্ট বিভাগ।
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে
বাংলাদেশ সংবিধানের রক্ষক হল সুপ্রিমকোর্ট।
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি?
বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতি হল ৪ টি। যথাঃ
- জাতীয়তাবাদ,
- গণতন্ত্র,
- সমাজতন্ত্র ও
- ধর্মনিরপেক্ষতা।
বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে
বাংলাদেশ সংবিধান দিবস ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর। কিন্তু এই দিনে সরকারি ছুটি পালিত হয় না। এটি সরকারি ছুটি নয়।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ সংবিধান pdf - বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২
বন্ধুরা, আজ আমরা বাংলাদেশ সংবিধান pdf - বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২ নিয়ে একটি পোস্ট তৈরি করেছি। আমাদের এই পোস্টে বাংলাদেশ সংবিধান pdf, বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কয়টি, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আশাকরি, আমাদের এই বাংলাদেশ সংবিধান pdf, বাংলাদেশ সংবিধান pdf ২০২২, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধানের লেখক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে, বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কয়টি, বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কয়টি, বাংলাদেশ সংবিধান দিবস কবে পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। এই ধরনের আরও সুন্দর নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন, ধন্যবাদ।