ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস

আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ। কিন্তু কেন সারা বছর ধরে ইস্রাইন ফিলিস্তিনে যুদ্ধ হচ্ছে তার কারণ, ইতিহাস কিছুই আমরা কেউ জানি না। আর তাই আজ আমরা আমাদের এই পোস্টে নিজেরা জানার জন্য ও আপনাদের জানানোর জন্য ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ইতিহাস, ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ভিডিও, ইসরাইল ফিলিস্তান যুদ্ধের কারণ কি, ফিলিস্তিন ইসরাইলের ইতিহাস, ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধের কারণ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ কোনটি, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ মুসলিম দেশ নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন আর দেরি না করে ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ইতিহাস, ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ভিডিও, ইসরাইল ফিলিস্তান যুদ্ধের কারণ কি, ফিলিস্তিন ইসরাইলের ইতিহাস, ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধের কারণ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ কোনটি, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ মুসলিম দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ | ইসরাইল ফিলিস্তান যুদ্ধের কারণ কি | ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধের কারণ

ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধের কারণ হল তারা কোন কাজেই একমত পোষণ করতে পারছে না। এছাড়াও পশ্চিম তীরে যেসন ইহুদিরা বা ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা বসবাস করছে তাদের কি সরিয়ে দেওয়া হবে নাকি থাকতে দেওয়া হবে, নাকি তাদেরকে জেরুজালেম নগরীতে ভাগাভাগি করা হবে। এছাড়াও আরও কঠিন ইস্যু হল ইসরাইলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা। ইসরাইল ও ফিলিস্তিন গন ২৫ বছর ধরে শান্তি আলোচনা করছে কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে কোন ধরনের সমোঝোতা হয়নি।

ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস | ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ইতিহাস | ফিলিস্তিন ইসরাইলের ইতিহাস | ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ

জেরুজালেম হল ফিলিস্তিনের মূল শহর। আগে এখানে ৩ ধর্মের মানুষ বসবাস করত তার মধ্যে আছে, মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি। ৩ ধর্মের মানুষ এখানে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করেছে। জেরুজালেম মুলত ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানের কাছে পবিত্র শহর। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধের মূল কারণ মূলত এই শহরের মালিকানা।

এখন থেকে ৭৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের দিকে এই অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি আরবদের ছিল। কিন্তু পশ্চিমা মদদপুষ্ট ধর্ম ভিত্তিক ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল নিজেদের পেশি শক্তির জোরে পুরো এলাকাটি দখল করেছে। 

বর্তমান মানচিত্রে ফিলিস্তিনের প্রায় ৭৮% ভূখন্ড ইসরাইলের দখলে আর মাত্র ১২% ভূমি আছে ফিলিস্তিনিদের দখলে। পৃথীবির ইতিহাসে ফিলিস্তিন একমাত্র দেশ যারা মানবিকতা দেখাতে গিয়ে তাদের সম্পূর্ণ ভূখন্ড হারাচ্ছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যেরামূল পরিবর্তন শুরু হয় আর এই দীর্ঘ সংঘাতের শুরু হয়।

ইসরায়েলের জন্ম- ইউরোপে ১৮ শতকের শেষের দিকে জায়ানিজম বা ইহুদীবাদ গড়ে ওঠে। ইসরায়েলের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ইউরোপ ও রাশিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোগীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইহুদীদের ধর্ম মতে তারা বিশ্বাস করত, ' তাদের নবী "মশীহ" পৃথিবীতে না আসা পর্যন্ত তারা নিজেদের কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। ইহুদীদের এই বিশ্বাসকে পাশ কাটিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় জায়ানবাদিরা একটি স্বতন্ত্র ইহুদী রাষ্ট্র গড়তে আন্দোলন করে।

১৮৯৭ সালে ‘ওয়াল্ড জায়ানিষ্ট অর্গানাজেশন’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেন থিওডোর হার্সেল নামের্ এক ইহুদি। তিনি প্রথমে মনে করেছিলেন ইউরোপের কোথাও ইহুদিদের জন্য একটি ছোট রাষ্ট্র হবে কিন্তু ইহুদীদের বিদ্বেষ পুরো ইউরোপ জুরে এতটাই প্রবল ছিল যে, সে সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যায়।
 তারপর বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর ব্রিটেন ইহুদীদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরির পথ প্রসস্ত করে। সেসময়ের ডাকসাইটে একজন ব্রিটিশ ইহুদী নেতা ছিলেন ব্যারন রথচাইল্ড। ব্যারন রথচাইল্ডকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোর একটি চিঠি পাঠান। এবং সেই চিঠিতেই ব্রিটেন ইহুদীদের রাষ্ট্র গঠনের সম্মতি জানায়। সেই চিঠিটি সংবাদ মাদ্ধমের ৫দিন পর প্রকাশ পায় এবং সারাবিশ্বে অতিদ্রুত ইহুদী রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি ‘বেলফোর ঘোষণা’ ছড়িয়ে পড়ে।

তারপর ৩৫ হাজারের একটি দল ১৯০২ সালে ফিলিস্তিনে যায় যাকে ইহুদীদের প্রথম আলিয়া বলা হয়। তারপর আবার ১৯১৪ সালে ৪০ হাজার, ১৯২৩ সালে ৪০ হাজার ও ১৯২৮ সালে ৮২ হাজার ইহুদীরা ফিলিস্তিনে পৌঁছায়।

ফিলিস্তিনে ১৯০২ সালে ইহুদীর সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু ১৯৩১ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮০ হাজারে। ১৯৩৩ সালে ফিলিস্তিনে আবার ৫ম বারের মত অর্থাৎ ৫ম আলিয়াতে ৫০ হাজার ইহুদি পাঠানো হয়। ফিলিস্তিনে ১৯৪৮ সালে ইহুদীর সংখ্যা হয় ৬ লাখেরও বেশীও। 

তারপর আবার আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে যাওয়া প্রায় ১ লাখ ইহুদীকে ফিলিস্তিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে করে নতুন দিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি। যে ব্রিটেন ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারাই আবার এদের বিরোধিতা করে। ব্রিটেন মনে করেছিল যদি এই বিশাল ইহুদীর দল সেখানে যায় তাহলে স্থানীয় আরবদের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।

তারপর ব্রিটেনরা ইসরাইলের মিত্র থেকে শত্রু হয়ে গেল এবং ইহুদীরা আরব ও ব্রিটিশ দুইপক্ষের বিরুদ্ধে একসাথে যুদ্ধ করতে শুরু করল। শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে নিতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনকে নতুন একটি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তা হল ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হবে এবং তা কার্যকর হয়। তার মধ্যে ৫৬.৫ শতাংশ পায় ইহুদি রাষ্ট্র, ৪৩.৫ শতাংশ পায় আরব রাষ্ট্র ফিলিস্তিন এবং পবিত্র শহর জেরুজালেমকে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়।

কিন্তু জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনিরা প্রত্যাখ্যান করে কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ইহুদিরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তাদের বহুদিনের স্বপ্ন পূরন হয় এবং তারা সেই দেশের নাম রাখে 'ইসরায়েল'।

ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ভিডিও | ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধের ভিডিও নিচে দেওয়া হল-

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ কোনটি? | ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ আলজেরিয়া। ১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর আলজেরিয়া ফিলিস্তিনকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়।

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ | ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ তুরস্ক। ১৯৪৯ সালের ২৮ মার্চ মুসলিম দেশ তুরস্ক ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ মিশর।

শেষ কথাঃ ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস

বন্ধুরা, আজ আমরা ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি পোস্ট তৈরি করেছি। আমাদের এই পোস্টে ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ইতিহাস, ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ভিডিও, ইসরাইল ফিলিস্তান যুদ্ধের কারণ কি, ফিলিস্তিন ইসরাইলের ইতিহাস, ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধের কারণ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ কোনটি, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ মুসলিম দেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আশাকরি, আমাদের এই ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণ - ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ইতিহাস, ইসরাইল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ভিডিও, ইসরাইল ফিলিস্তান যুদ্ধের কারণ কি, ফিলিস্তিন ইসরাইলের ইতিহাস, ফিলিস্তিন ইসরাইল যুদ্ধের কারণ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ কোনটি, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ মুসলিম দেশ পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। এই ধরনের আরও পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন, ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url